Hi

১২:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৫ বছর ধরে জমানো অর্থ দিয়ে পবিত্র কাবা ভ্রমণ, ভাইরাল হওয়ার পর রাজকীয় অতিথি হলেন বৃদ্ধ

পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের ৮২ বছর বয়সী ছাগলপালক আব্দুল কাদির বখশ ১৫ বছর ধরে উমরাহ করার জন্য অর্থ সঞ্চয় করার পরে ভাইরাল হন এবং পরে সৌদি সরকারের রাজকীয় অতিথি হওয়ার সৌভাগ্য লাভ করেন।

এই কাহিনীতে দেখা যায়, দরিদ্র এবং একটি কুঁড়েঘরে বসবাস করা সত্ত্বেও আব্দুল কাদির বখশের স্বপ্ন ছিল পবিত্র কাবা ও নবীর রওজা যিয়ারত করা। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে ছাগল পালন ও বিক্রির মাধ্যমে তিলে তিলে জমানো অর্থ দিয়ে তিনি নতুন পাসপোর্ট, ভ্রমণের খরচ এবং কিছু অতিরিক্ত অর্থ জোগাড় করেন।

রমজান মাসে, আব্দুল কাদির বখশ যখন নবীর মসজিদে একা হেঁটে যাচ্ছিলেন, তখন দুর্বল ও দৃষ্টিহীন অবস্থায় তার ছবি ও ভিডিও আরব মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে এবং তিনি দ্রুত পরিচিতি লাভ করেন।

বিষয়টি রাজ পরিবারের সদস্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। একজন যুবরাজ তাকে রাজকীয় অতিথি হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান। বেলুচিস্তানের কুঁড়েঘরে ফিরে আসার পর, তাকে খুঁজে বের করা হয় এবং রাজকীয় ভোজের আয়োজন করা হয়। ১৪৪৪ হিজরিতে সরকার হজ পালনের প্রস্তাবও দেওয়া হয়।

মক্কা দেখে আব্দুল কাদির বখশ তার অনুভূতির কথা জানান। তিনি বলেন, মক্কা দেখে তার সব চিন্তা দূর হয়ে গেছে এবং তার হৃদয় প্রশান্তিতে ভরে উঠেছে। মক্কা ও নবীর রওজা দেখার ইচ্ছা পূরণ হওয়ায় তিনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

 

ট্যাগ :
লেখক সম্পর্কে তথ্য

জনপ্রিয়

জামালগঞ্জে ৪ ব্যাংকের উদ্যোগে প্রকাশ্যে কৃষি ঋণ বিতরণ: ১১ কৃষক পেলেন পৌনে ১৮ লাখ টাকা

১৫ বছর ধরে জমানো অর্থ দিয়ে পবিত্র কাবা ভ্রমণ, ভাইরাল হওয়ার পর রাজকীয় অতিথি হলেন বৃদ্ধ

আপডেট : ০৮:০৫:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের ৮২ বছর বয়সী ছাগলপালক আব্দুল কাদির বখশ ১৫ বছর ধরে উমরাহ করার জন্য অর্থ সঞ্চয় করার পরে ভাইরাল হন এবং পরে সৌদি সরকারের রাজকীয় অতিথি হওয়ার সৌভাগ্য লাভ করেন।

এই কাহিনীতে দেখা যায়, দরিদ্র এবং একটি কুঁড়েঘরে বসবাস করা সত্ত্বেও আব্দুল কাদির বখশের স্বপ্ন ছিল পবিত্র কাবা ও নবীর রওজা যিয়ারত করা। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে ছাগল পালন ও বিক্রির মাধ্যমে তিলে তিলে জমানো অর্থ দিয়ে তিনি নতুন পাসপোর্ট, ভ্রমণের খরচ এবং কিছু অতিরিক্ত অর্থ জোগাড় করেন।

রমজান মাসে, আব্দুল কাদির বখশ যখন নবীর মসজিদে একা হেঁটে যাচ্ছিলেন, তখন দুর্বল ও দৃষ্টিহীন অবস্থায় তার ছবি ও ভিডিও আরব মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে এবং তিনি দ্রুত পরিচিতি লাভ করেন।

বিষয়টি রাজ পরিবারের সদস্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। একজন যুবরাজ তাকে রাজকীয় অতিথি হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান। বেলুচিস্তানের কুঁড়েঘরে ফিরে আসার পর, তাকে খুঁজে বের করা হয় এবং রাজকীয় ভোজের আয়োজন করা হয়। ১৪৪৪ হিজরিতে সরকার হজ পালনের প্রস্তাবও দেওয়া হয়।

মক্কা দেখে আব্দুল কাদির বখশ তার অনুভূতির কথা জানান। তিনি বলেন, মক্কা দেখে তার সব চিন্তা দূর হয়ে গেছে এবং তার হৃদয় প্রশান্তিতে ভরে উঠেছে। মক্কা ও নবীর রওজা দেখার ইচ্ছা পূরণ হওয়ায় তিনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।