Hi

১০:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বৃক্ষরোপণে জাতীয় পুরস্কার পেল খাগড়াছড়ির ‘মানিকছড়ি ডিসি অ্যাডভেঞ্চার এন্ড ইকো-ট্যুরিজম পার্ক’

খাগড়াছড়ি, ২৫ জুন ২০২৫: খাগড়াছড়ির ‘মানিকছড়ি ডিসি অ্যাডভেঞ্চার এন্ড ইকো-ট্যুরিজম পার্ক’ বৃক্ষরোপণে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ‘বৃক্ষরোপণে জাতীয় পুরস্কার- ২০২৪’ লাভ করেছে। এবারের জাতীয় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আওতায় দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে এই পার্ককে মনোনীত করা হয়েছে।


পুরস্কার গ্রহণ

আজ বুধবার (২৫ জুন) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের হাত থেকে এই পুরস্কার গ্রহণ করেন মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আফরোজ ভূঁইয়া

এসময় মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান এনডিসি এবং বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী


পার্কের প্রতিষ্ঠা ও বৃক্ষরোপণ উদ্যোগ

জানা গেছে, খাগড়াছড়ির সাবেক জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস মানিকছড়ির ২ নম্বর বাটনাতলী ইউনিয়নের ডলু মৌজার অবৈধ দখলে থাকা প্রায় ১৬৫ একর জমি উদ্ধার করে সেখানে ডিসি পার্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নেন। পরবর্তীতে ২০২৩ সালের ২৩ আগস্ট সেখানে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ও পাখির অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তৎকালীন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান। মানিকছড়ি উপজেলার তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রক্তিম চৌধুরী পার্কের বিভিন্ন স্থানে ১০০ প্রজাতির প্রায় ২৫ হাজার চারাগাছ রোপণ করেন। এছাড়াও, ৫০ প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় গাছের চারা ও ঔষধি গাছের চারা আলাদাভাবে রোপণ করার উদ্যোগ নেন।


ইউএনও’র প্রতিক্রিয়া ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আফরোজ ভূঁইয়া বলেন, “বৃক্ষরোপণে জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কার প্রাপ্তি সত্যি গর্বের। তবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সেসময় অবদান রাখা বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও উপজেলাবাসীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।” তিনি আরও যোগ করেন, “এ অর্জনের মাধ্যমে দেশব্যাপী পার্কের পরিচিতি আরও ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পাবে। আশা করি অতীতের তুলনায় আগামীতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অ্যাডভেঞ্চার অ্যান্ড ইকো ট্যুরিজম প্রেমীদের পার্কে আগমন ঘটবে। সে লক্ষ্যে আরও দৃষ্টিনন্দন কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।”


ট্যাগ :
লেখক সম্পর্কে তথ্য

জনপ্রিয়

জামালগঞ্জে ৪ ব্যাংকের উদ্যোগে প্রকাশ্যে কৃষি ঋণ বিতরণ: ১১ কৃষক পেলেন পৌনে ১৮ লাখ টাকা

বৃক্ষরোপণে জাতীয় পুরস্কার পেল খাগড়াছড়ির ‘মানিকছড়ি ডিসি অ্যাডভেঞ্চার এন্ড ইকো-ট্যুরিজম পার্ক’

আপডেট : ০৩:৩৫:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

খাগড়াছড়ি, ২৫ জুন ২০২৫: খাগড়াছড়ির ‘মানিকছড়ি ডিসি অ্যাডভেঞ্চার এন্ড ইকো-ট্যুরিজম পার্ক’ বৃক্ষরোপণে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ‘বৃক্ষরোপণে জাতীয় পুরস্কার- ২০২৪’ লাভ করেছে। এবারের জাতীয় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আওতায় দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে এই পার্ককে মনোনীত করা হয়েছে।


পুরস্কার গ্রহণ

আজ বুধবার (২৫ জুন) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের হাত থেকে এই পুরস্কার গ্রহণ করেন মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আফরোজ ভূঁইয়া

এসময় মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান এনডিসি এবং বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী


পার্কের প্রতিষ্ঠা ও বৃক্ষরোপণ উদ্যোগ

জানা গেছে, খাগড়াছড়ির সাবেক জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস মানিকছড়ির ২ নম্বর বাটনাতলী ইউনিয়নের ডলু মৌজার অবৈধ দখলে থাকা প্রায় ১৬৫ একর জমি উদ্ধার করে সেখানে ডিসি পার্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নেন। পরবর্তীতে ২০২৩ সালের ২৩ আগস্ট সেখানে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ও পাখির অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তৎকালীন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান। মানিকছড়ি উপজেলার তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রক্তিম চৌধুরী পার্কের বিভিন্ন স্থানে ১০০ প্রজাতির প্রায় ২৫ হাজার চারাগাছ রোপণ করেন। এছাড়াও, ৫০ প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় গাছের চারা ও ঔষধি গাছের চারা আলাদাভাবে রোপণ করার উদ্যোগ নেন।


ইউএনও’র প্রতিক্রিয়া ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আফরোজ ভূঁইয়া বলেন, “বৃক্ষরোপণে জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কার প্রাপ্তি সত্যি গর্বের। তবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সেসময় অবদান রাখা বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও উপজেলাবাসীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।” তিনি আরও যোগ করেন, “এ অর্জনের মাধ্যমে দেশব্যাপী পার্কের পরিচিতি আরও ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পাবে। আশা করি অতীতের তুলনায় আগামীতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অ্যাডভেঞ্চার অ্যান্ড ইকো ট্যুরিজম প্রেমীদের পার্কে আগমন ঘটবে। সে লক্ষ্যে আরও দৃষ্টিনন্দন কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।”