জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে জামায়াতে ইসলামী বা অন্য কোনো ইসলামি দলের সঙ্গে নয়, বরং বাংলাদেশপন্থি দলগুলোর সঙ্গে একটি নতুন জোট গঠনের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। দলটির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব জানিয়েছে যে, তারা এই মাসের মধ্যেই নিবন্ধন পাবে এবং দেশব্যাপী সাংগঠনিক কার্যক্রম ও নির্বাচনি প্রস্তুতি শুরু করেছে।
এনসিপির কৌশলগত অবস্থান
- নতুন জোট গঠন: এনসিপি ইসলামি দলগুলোকে বাদ দিয়ে একটি নতুন নির্বাচনি জোট গঠন করতে চায়, যেখানে তারা নিজেরাই চালকের ভূমিকায় থাকবে।
- নেতৃত্বের আকাঙ্ক্ষা: দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, একদিন বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেব। সেক্ষেত্রে আমরা মনে করি আমাদের নেতৃত্বে জোট হবে।”
- বিএনপি-জামায়াত প্রসঙ্গে: এনসিপি দাবি করেছে যে, বিএনপি বা জামায়াত—কোনো পক্ষের সঙ্গেই তাদের সরাসরি কোনো বৈরিতা বা সখ্যতা নেই।
সাম্প্রতিক পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
- শিক্ষার্থী নির্বাচনে ফল: সাম্প্রতিক ছাত্র সংসদ নির্বাচনগুলোতে এনসিপি-এর ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ প্রত্যাশিত ফল না পেলেও, দল এটিকে নিজেদের ব্যর্থতা মনে করছে না। যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন বলেন, যেহেতু এটি একটি নতুন সংগঠন, তাই এটি এখনো তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছাতে পারেনি।
- নির্বাচনের পূর্বশর্ত: এনসিপি মনে করে, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হবে না। তাই তারা অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকে এই বিষয়ে দ্রুত ঐকমত্যে পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়েছে।
সব মিলিয়ে, এনসিপি দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নিজেদের একটি স্বতন্ত্র শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে এবং নতুন ধরনের একটি জোট গঠনের মাধ্যমে নির্বাচনি রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করতে আগ্রহী।