তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) এবং বেলুচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্টের (বিএলএফ) সঙ্গে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর তীব্র সংঘর্ষে ১২ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী। পাকিস্তানের অভিযোগ, ভারত এই নিষিদ্ধ সংগঠনগুলোকে মদদ দিচ্ছে।
মঙ্গলবার (২০ মে ২০২৫) ডনের খবরে বলা হয়েছে, আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ বিভাগ (আইএসপিআর) জানিয়েছে, গত শনিবার ও রোববার গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে (আইবিও) টিটিপি এবং বেলুচিস্তানে নিষিদ্ধ বিএলএফের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় পাক সেনারা। আইএসপিআর-এর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, লাক্কি মারওয়াত জেলায় অভিযানে পাঁচজন “ভারতীয় স্পনসরড” সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। একই জেলায় আরেকটি অভিযানে আরও দুই “ভারতীয় স্পনসরড” সন্ত্রাসীকে “নিষ্ক্রিয়” করে নিরাপত্তা বাহিনী।
উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলার মির আলীর জেনারেল এলাকায় সন্ত্রাসীরা নিরাপত্তা বাহিনীর একটি কনভয়ে অতর্কিত হামলা চালালে সেনাদের পাল্টা আক্রমণে দুই “ভারতীয় মদদপুষ্ট” সন্ত্রাসী নিহত হয়। আইএসপিআর আরও জানায়, তীব্র গুলি বিনিময়ের সময় দুই সেনা সদস্য – সিপাহী ফরহাদ আলী তুরি ও ল্যান্স নায়েক সাবির আফ্রিদি নিহত হয়েছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রথমে বেলুচিস্তানের আওরান জেলার গিশকুর এলাকায় সন্ত্রাসীদের অবস্থানে অভিযান চালায় সেনারা এবং সেখানে “ভারত-স্পন্সর সন্ত্রাসী ইউনাস” নিহত হয়। কেচ জেলার তুরবাত সিটিতে আরেকটি সংঘর্ষে নিরাপত্তা বাহিনী দুই “ভারতীয় মদদপুষ্ট” সন্ত্রাসীকে “নিষ্ক্রিয়” করে।
অভিযানে সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। সামরিক বাহিনী হুঁশিয়ারি দিয়েছে, পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী বেলুচিস্তানের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও অগ্রগতি বিনষ্টের “ভারতীয় প্রক্সিদের” প্রচেষ্টা ব্যর্থ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারদারি ও প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ সফল অভিযানের জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর প্রশংসা করেছেন।
পাকিস্তান ইনস্টিটিউট ফর কনফ্লিক্ট অ্যান্ড সিকিউরিটির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত মার্চ মাসে দেশটিতে জঙ্গি সহিংসতা ও নিরাপত্তা অভিযান উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে এবং ২০১৪ সালের নভেম্বরের পর প্রথমবারের মতো জঙ্গি হামলার সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে গেছে।