Hi

১২:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ২০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এস আলমসহ কয়েকজন ব্যবসায়ীর লুটপাট, দরিদ্রদের জন্য তহবিল গঠন

এস আলম গ্রুপসহ কয়েকজন ব্যবসায়ী ছয়টি ইসলামী ব্যাংক থেকে ঋণের নামে কয়েক লাখ কোটি টাকা লুট করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু ইসলামী ব্যাংক থেকেই দেড় লাখ কোটি টাকার বেশি অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে, যার মধ্যে ৭০ হাজার কোটি টাকার উৎস শনাক্ত হয়েছে।

এই আর্থিক কেলেঙ্কারিতে এস আলম গ্রুপের পাশাপাশি ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ব্যবসায়ী, যেমন সালমান এফ রহমান ও নজরুল ইসলাম মজুমদারের নাম উঠে এসেছে। তারা দেশ-বিদেশে অবৈধ সম্পদের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার এসব অর্থের উৎস তদন্ত করছে এবং বিপুল পরিমাণ অর্থ ও সম্পদ জব্দ করেছে।

সোমবার উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর সংবাদ সম্মেলনে জানান, ব্যাংক থেকে অর্থ আত্মসাৎকারীদের নামে থাকা শেয়ার ও বিভিন্ন সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, জব্দ করা সম্পদ থেকে একটি বিশেষ তহবিল গঠন করা হবে, যা দরিদ্রদের কল্যাণে ব্যয় করা হবে। একইসাথে, ব্যাংক থেকে লুট হওয়া অর্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে ফেরত দেওয়া হবে যাতে আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষা করা যায়।

দেশের অভ্যন্তরে এ পর্যন্ত এক লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকারও বেশি সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। বিদেশে পাচার করা হয়েছে আরও দুই হাজার কোটি টাকার সম্পদ। বৈদেশিক বিভিন্ন স্থানে ১৬৪ মিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ অ্যাটাচমেন্ট হয়েছে। এছাড়া, দেশের ভেতরে প্রায় চার হাজার কোটি টাকার অস্থাবর সম্পদ ফ্রিজ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর জানান, অর্থ উদ্ধার ও পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া চলমান। তিনি মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’ এর বিরুদ্ধে ৬৫০ কোটি টাকার অতিরিক্ত ই-মানি তৈরির অভিযোগ করেন, যা ব্যাংকিং আইনের গুরুতর লঙ্ঘন।

তবে আশার কথা, কয়েকটি দেশ পাচার করা অর্থ ফেরত পাঠাতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আইনি কাঠামো তৈরি করে দ্রুত পদক্ষেপ নিলে এসব অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে গভর্নর জানান। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই অর্থনৈতিক সংস্কার বাস্তবায়িত হলে দেশের আর্থিক খাত ঘুরে দাঁড়াবে এবং জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার হবে।

ট্যাগ :
লেখক সম্পর্কে তথ্য

হাজারো শঙ্খর ধ্বনি ও প্রদীপের আলোয় বিতর্কিত পুজোর– প্রতিমার নিরঞ্জন শোভাযাত্রা।

এস আলমসহ কয়েকজন ব্যবসায়ীর লুটপাট, দরিদ্রদের জন্য তহবিল গঠন

আপডেট : ০৫:১৬:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

এস আলম গ্রুপসহ কয়েকজন ব্যবসায়ী ছয়টি ইসলামী ব্যাংক থেকে ঋণের নামে কয়েক লাখ কোটি টাকা লুট করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু ইসলামী ব্যাংক থেকেই দেড় লাখ কোটি টাকার বেশি অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে, যার মধ্যে ৭০ হাজার কোটি টাকার উৎস শনাক্ত হয়েছে।

এই আর্থিক কেলেঙ্কারিতে এস আলম গ্রুপের পাশাপাশি ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ব্যবসায়ী, যেমন সালমান এফ রহমান ও নজরুল ইসলাম মজুমদারের নাম উঠে এসেছে। তারা দেশ-বিদেশে অবৈধ সম্পদের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার এসব অর্থের উৎস তদন্ত করছে এবং বিপুল পরিমাণ অর্থ ও সম্পদ জব্দ করেছে।

সোমবার উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর সংবাদ সম্মেলনে জানান, ব্যাংক থেকে অর্থ আত্মসাৎকারীদের নামে থাকা শেয়ার ও বিভিন্ন সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, জব্দ করা সম্পদ থেকে একটি বিশেষ তহবিল গঠন করা হবে, যা দরিদ্রদের কল্যাণে ব্যয় করা হবে। একইসাথে, ব্যাংক থেকে লুট হওয়া অর্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে ফেরত দেওয়া হবে যাতে আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষা করা যায়।

দেশের অভ্যন্তরে এ পর্যন্ত এক লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকারও বেশি সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। বিদেশে পাচার করা হয়েছে আরও দুই হাজার কোটি টাকার সম্পদ। বৈদেশিক বিভিন্ন স্থানে ১৬৪ মিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ অ্যাটাচমেন্ট হয়েছে। এছাড়া, দেশের ভেতরে প্রায় চার হাজার কোটি টাকার অস্থাবর সম্পদ ফ্রিজ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর জানান, অর্থ উদ্ধার ও পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া চলমান। তিনি মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’ এর বিরুদ্ধে ৬৫০ কোটি টাকার অতিরিক্ত ই-মানি তৈরির অভিযোগ করেন, যা ব্যাংকিং আইনের গুরুতর লঙ্ঘন।

তবে আশার কথা, কয়েকটি দেশ পাচার করা অর্থ ফেরত পাঠাতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আইনি কাঠামো তৈরি করে দ্রুত পদক্ষেপ নিলে এসব অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে গভর্নর জানান। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই অর্থনৈতিক সংস্কার বাস্তবায়িত হলে দেশের আর্থিক খাত ঘুরে দাঁড়াবে এবং জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার হবে।