Hi

০৬:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ২০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এনডিএম চট্টগ্রাম বন্দর ও এনবিআর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন

এনডিএম চট্টগ্রাম বন্দর ও এনবিআর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে। তাদের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার শাহেদুল আজম বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিদেশী শক্তির তাবেদারি বা এনজিওর এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করলে রাজপথের আন্দোলন সুখকর হবে না।


চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনা

এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনাকে বিদেশী সংস্থার কাছে তুলে দেওয়ার সরকারি পদক্ষেপের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এনডিএম অবিলম্বে সাইফ পাওয়ার টেকের ক্ষমতা অপব্যবহার ও দুর্নীতির তদন্ত এবং প্রতিষ্ঠানটির একচেটিয়া দখল থেকে চট্টগ্রাম বন্দরকে মুক্ত করে দেশীয় প্রতিষ্ঠানের হাতে কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং ও অন্যান্য কাজ হস্তান্তরের দাবি জানিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল যে পদ্ধতিতে বিদেশীদের কাছে দেওয়া হয়েছে, সেই একই পদ্ধতিতে এনসিটি টার্মিনালও বিদেশীদের হাতে তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। এনডিএম এই ষড়যন্ত্র রুখে দেবে বলে অঙ্গীকার করেছে। তারা উল্লেখ করে, এই টার্মিনালের পাশেই বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর সামরিক ঘাঁটি থাকায় বিদেশী অপারেটর দ্বারা পরিচালনা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হবে। এতে সরকারের রাজস্ব আয় অর্ধেকে নেমে আসবে।


জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)

এনডিএম অন্তর্বর্তী সরকারের জারি করা “রাজস্ব নীতি এবং রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশকে” তাদের এখতিয়ার বহির্ভূত বলে মনে করে। তাদের মতে, একটি নির্বাচিত সংসদ ছাড়া অনির্বাচিত সরকার রাজস্ব সংক্রান্ত এমন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। এনডিএম অভিযোগ করেছে, সরকার বিশ্বব্যাংককে খুশি করার জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এনডিএমের প্রস্তাবগুলো হলো:

  • অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রতিথযশা অর্থনীতিবিদ ও পরিকল্পনাবিদের সমন্বয়ে রাজস্ব নীতি প্রণয়ন সেল গঠন করতে হবে।
  • রাজস্ব আদায়ের মূল দায়িত্ব ও এখতিয়ার এনবিআর-এর অধীনেই ন্যস্ত থাকবে।
  • একটি স্বাধীন সাংবিধানিক সংস্থা বা ন্যায়পাল নিয়োগের মাধ্যমে এনবিআর-এর রাজস্ব আহরণ কার্যক্রমের সাফল্য-ব্যর্থতা মূল্যায়ন করতে হবে।
  • এনবিআর-এর শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগকে আরও কার্যকর ও বিস্তৃত করার জন্য পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগ, কারিগরি সক্ষমতা ও অবকাঠামোগত সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে।

এনডিএম মনে করে, এসব সিদ্ধান্ত একটি নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হওয়া উচিত। তারা সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, যদি তারা বিদেশীদের সন্তুষ্ট করার এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করে, তাহলে বাংলাদেশে আরেকটি গণআন্দোলন হবে।

ট্যাগ :
লেখক সম্পর্কে তথ্য

শৈলকুপায় বজ্রপাতে ১ কৃষকের মৃত্যু

এনডিএম চট্টগ্রাম বন্দর ও এনবিআর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট : ০৩:১২:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

এনডিএম চট্টগ্রাম বন্দর ও এনবিআর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে। তাদের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার শাহেদুল আজম বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিদেশী শক্তির তাবেদারি বা এনজিওর এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করলে রাজপথের আন্দোলন সুখকর হবে না।


চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনা

এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনাকে বিদেশী সংস্থার কাছে তুলে দেওয়ার সরকারি পদক্ষেপের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এনডিএম অবিলম্বে সাইফ পাওয়ার টেকের ক্ষমতা অপব্যবহার ও দুর্নীতির তদন্ত এবং প্রতিষ্ঠানটির একচেটিয়া দখল থেকে চট্টগ্রাম বন্দরকে মুক্ত করে দেশীয় প্রতিষ্ঠানের হাতে কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং ও অন্যান্য কাজ হস্তান্তরের দাবি জানিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল যে পদ্ধতিতে বিদেশীদের কাছে দেওয়া হয়েছে, সেই একই পদ্ধতিতে এনসিটি টার্মিনালও বিদেশীদের হাতে তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। এনডিএম এই ষড়যন্ত্র রুখে দেবে বলে অঙ্গীকার করেছে। তারা উল্লেখ করে, এই টার্মিনালের পাশেই বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর সামরিক ঘাঁটি থাকায় বিদেশী অপারেটর দ্বারা পরিচালনা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হবে। এতে সরকারের রাজস্ব আয় অর্ধেকে নেমে আসবে।


জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)

এনডিএম অন্তর্বর্তী সরকারের জারি করা “রাজস্ব নীতি এবং রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশকে” তাদের এখতিয়ার বহির্ভূত বলে মনে করে। তাদের মতে, একটি নির্বাচিত সংসদ ছাড়া অনির্বাচিত সরকার রাজস্ব সংক্রান্ত এমন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। এনডিএম অভিযোগ করেছে, সরকার বিশ্বব্যাংককে খুশি করার জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এনডিএমের প্রস্তাবগুলো হলো:

  • অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রতিথযশা অর্থনীতিবিদ ও পরিকল্পনাবিদের সমন্বয়ে রাজস্ব নীতি প্রণয়ন সেল গঠন করতে হবে।
  • রাজস্ব আদায়ের মূল দায়িত্ব ও এখতিয়ার এনবিআর-এর অধীনেই ন্যস্ত থাকবে।
  • একটি স্বাধীন সাংবিধানিক সংস্থা বা ন্যায়পাল নিয়োগের মাধ্যমে এনবিআর-এর রাজস্ব আহরণ কার্যক্রমের সাফল্য-ব্যর্থতা মূল্যায়ন করতে হবে।
  • এনবিআর-এর শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগকে আরও কার্যকর ও বিস্তৃত করার জন্য পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগ, কারিগরি সক্ষমতা ও অবকাঠামোগত সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে।

এনডিএম মনে করে, এসব সিদ্ধান্ত একটি নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হওয়া উচিত। তারা সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, যদি তারা বিদেশীদের সন্তুষ্ট করার এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করে, তাহলে বাংলাদেশে আরেকটি গণআন্দোলন হবে।