Hi

০১:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চরম উত্তেজনা: ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ও পাল্টা হুমকি

মঙ্গলবার ভোরে ইরান থেকে ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে একযোগে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে ইসরাইলি সেনাবাহিনী নিশ্চিত করেছে। এই আক্রমণকে ‘হুমকি’ হিসেবে চিহ্নিত করে ইসরাইল তাদের প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা সক্রিয় করেছে এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ইউনিটগুলো কাজ করছে। ইসরাইলি সেনাবাহিনী নাগরিকদের সতর্কতা সংকেত পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করার নির্দেশ দিয়েছে।

এই হামলার আগে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘তেহরান খালি করার’ নির্দেশ দিয়ে হুমকি দেন। এর পরপরই ইরানের রাজধানী তেহরানসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় বড় ধরনের বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।1 বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, তেহরানের আন্দারযগৌ এলাকায় ইসরাইলি গোলার আঘাতে কমপক্ষে দুটি বড় বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে, যা আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থাগুলোও নিশ্চিত করেছে।

ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র দাবি করেছেন যে, আজকের হামলায় তারা এমন একধরনের উন্নত প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে, যা প্রতিহত করতে ইসরাইল সম্পূর্ণ অক্ষম। তার ভাষায়, এই ধরনের উচ্চ প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র কেবলমাত্র অল্প কিছু দেশের কাছেই রয়েছে এবং ইসরাইল এই হামলা প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয়েছে। ইসরাইলি সেনা সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হচ্ছে, মঙ্গলবার ভোরের দিকে ইরান থেকে প্রায় ৩০টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে, যা সরাসরি ইসরাইলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয়।

এই সর্বশেষ আক্রমণ ইরান-ইসরায়েল চলমান উত্তেজনাকে নতুন এক উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। বিশেষ করে উন্নত প্রযুক্তির অস্ত্র ব্যবহারের ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই সংঘাত গভীর উদ্বেগের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে।

 

লেখক সম্পর্কে তথ্য

জনপ্রিয়

ঝিনাইদহের ১১ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাগেরহাটে আটক: ৪ পিস্তলসহ বিপুল অস্ত্র উদ্ধার!

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চরম উত্তেজনা: ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ও পাল্টা হুমকি

আপডেট : ০৩:৪৪:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

মঙ্গলবার ভোরে ইরান থেকে ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে একযোগে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে ইসরাইলি সেনাবাহিনী নিশ্চিত করেছে। এই আক্রমণকে ‘হুমকি’ হিসেবে চিহ্নিত করে ইসরাইল তাদের প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা সক্রিয় করেছে এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ইউনিটগুলো কাজ করছে। ইসরাইলি সেনাবাহিনী নাগরিকদের সতর্কতা সংকেত পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করার নির্দেশ দিয়েছে।

এই হামলার আগে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘তেহরান খালি করার’ নির্দেশ দিয়ে হুমকি দেন। এর পরপরই ইরানের রাজধানী তেহরানসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় বড় ধরনের বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।1 বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, তেহরানের আন্দারযগৌ এলাকায় ইসরাইলি গোলার আঘাতে কমপক্ষে দুটি বড় বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে, যা আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থাগুলোও নিশ্চিত করেছে।

ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র দাবি করেছেন যে, আজকের হামলায় তারা এমন একধরনের উন্নত প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে, যা প্রতিহত করতে ইসরাইল সম্পূর্ণ অক্ষম। তার ভাষায়, এই ধরনের উচ্চ প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র কেবলমাত্র অল্প কিছু দেশের কাছেই রয়েছে এবং ইসরাইল এই হামলা প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয়েছে। ইসরাইলি সেনা সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হচ্ছে, মঙ্গলবার ভোরের দিকে ইরান থেকে প্রায় ৩০টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে, যা সরাসরি ইসরাইলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয়।

এই সর্বশেষ আক্রমণ ইরান-ইসরায়েল চলমান উত্তেজনাকে নতুন এক উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। বিশেষ করে উন্নত প্রযুক্তির অস্ত্র ব্যবহারের ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই সংঘাত গভীর উদ্বেগের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে।