🔥 ব্রেকিং: মিটফোর্ড কিলিং: আনসার ডিজির ‘দায়িত্ব এড়ানোর’ বক্তব্য! ‘সেখানে আনসার ছিল না, সিসি ক্যামেরাও নেই’ – নতুন করে তোলপাড়! 🔥

আপডেট : ১২:৫১:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫
৬২৮ জন দেখেছে

ঢাকা, ১৩ জুলাই ২০২৫, সন্ধ্যা ৬:৫৭: পুরান ঢাকার মিটফোর্ড (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আনসার সদস্যদের দায়িত্বে অবহেলার কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছেন আনসার ব্যাটালিয়নের মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ! আজ রোববার (১৩ জুলাই) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নির্দেশিত কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী ওই সময় ঘটনাস্থলে কোনো আনসার সদস্য কর্তব্যরত ছিলেন না। তার এই বক্তব্য সোহাগ হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছে।

ডিজি মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ লোকবল সংকটের কথা উল্লেখ করে বলেন, পুরো হাসপাতালের নিরাপত্তায় সর্বমোট ৮০ জন আনসার সদস্য নিয়োজিত আছে। সাপ্তাহিক ছুটি ও শিফট অনুযায়ী একেক শিফটে মাত্র ৩০ জন আনসার সদস্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিয়োজিত থাকেন। তিনি আরও জানান, দুপুর ২টার আগে গেটে এবং হাসপাতাল ভবনে আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করলেও দুপুর ২টার পরে গেটে আর কোনো আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করেন না।

‘দায়িত্ব চাপানোর সুযোগ নেই, নেই সিসি ক্যামেরাও!’

আনসার ব্যাটালিয়নের মহাপরিচালক জোরালোভাবে বলেন, “কোন আনসার সদস্য কখন কোথায় দায়িত্ব পালন করবেন তা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে দেয় বিধায় সোহাগ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আনসার সদস্যদের ওপর দায় চাপানোর কোনো সুযোগ নেই।”

তিনি আক্ষেপ করে বলেন, “শত শত মানুষ দাঁড়িয়ে ঘটনা দেখলেও বা ভিডিও করলেও কেউ কাছেই আনসার ক্যাম্পে গিয়ে খবর পর্যন্ত দেয়নি।” এমনকি মিটফোর্ড হাসপাতালের তিন নম্বর গেট এলাকায় কোনো সিসি ক্যামেরাও নেই বলে অভিযোগ করেন তিনি, যা নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতাকে আরও স্পষ্ট করে তুলেছে।

গ্রেপ্তার ৭, বাকিরা অধরা:

এদিকে, সোহাগকে প্রকাশ্যে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় আরও দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মোট সাতজনকে গ্রেফতার করা হলো। রোববার ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, “গত ৯ জুলাই মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী সোহাগকে হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেফতার করা হলো। এজাহারনামীয় আসামি ১৯ জন। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। সিসিটিভি ফুটেজ ও আটকদের তথ্যানুযায়ী ঘটনার মোটিভ জানার চেষ্টা করছি।”

আনসার ডিজির এই বক্তব্য কি পুলিশের তদন্তকে প্রভাবিত করবে? যেখানে শত শত মানুষ দাঁড়িয়ে হত্যাকাণ্ড দেখছিল, সেখানে কেন কোনো নিরাপত্তা কর্মী ছিল না এবং সিসি ক্যামেরা ছিল না – এই প্রশ্নগুলো এখন জনমনে আরও বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডের বিচার কি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে?

ট্যাগ :