Hi

০৩:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বর্ষালী জাতের আমন বীজে কপাল পুড়ল চাষির

  • আপডেট : ০৫:৩০:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫৩৪ জন দেখেছে

বর্ষালী জাতের আমন বীজে কপাল পুড়ল চাষির

মো. ফয়জুর রহমান
দেওয়ানগঞ্জ, জামালপুর।

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে চলতি আমন মৌসুমে বর্ষালী ধানবীজের চারা রোপণ করে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। এসিআই কোম্পানির হাইব্রিড জাতের ওই বীজ রোপণ করে উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তায় রয়েছেন উপজেলার শতাধিক কৃষক। চারা রোপণের মাত্র ২০ দিনেই ধানের শীষ বের হওয়া দেখে তাদের এই হতাশা।

জানা গেছে, এসিআই কোম্পানি বিভিন্ন ডিলার পয়েন্ট থেকে এই অঞ্চলে ৫ টন বর্ষালী বীজধান বিক্রি করে। মৌসুমের শুরুতেই এসিআই কোম্পানির বীজধান নিয়ে প্রচার চলে। বলা হয় এটি স্বপ্লমেয়াদি, অধিক ফলনশীল। এ ধানের বীজ বাজারের অন্যান্য বীজের তুলনায় মানসম্পন্ন। প্রতি কেজি বর্ষালী ধানের বীজ বিক্রি হয়েছে ৫২০ থেকে ৫৫০ টাকায়। বাজারে অন্য ধানের বীজ পাওয়া গেছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়।

সরেজমিন দেখা যায়, ছোট ধানগাছের প্রতি গুছিতে দুই একটি শীষ বের হয়েছে। ধান গাছ দেখে মনে হয় অপরিপক্ব। মূল চারা থেকে কেবল কুসি বের হওয়া শুরু করেছে। এর মধ্যেই শীষ বের হয়েছে। পোড়ারভিটা, তারাটিয়া, মোয়ামারী, বানিয়াপাড়া, ভাতখাওয়া, কান্দাপাড়া ও কুমড়াকান্দিসহ বেশ কিছু গ্রামের প্রায় শতাধিক চাষি এমন ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তারা জানান, বর্ষালী ধানবীজ বাজারে খুব নতুন। ভালো ফলনের আশায় তারা এ জাতের বীজ রোপণ করেছেন। কিন্তু তাদের সে আশা নিরাশার পর্যবসিত হয়েছে।

উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, ১২০ দিনে বর্ষালী ধান আসে। সে ক্ষেত্রে বীজতলায় ২০ দিনের বেশি সময় ধানবীজ রাখা যায় না। বীজ বোনার ২০ দিন পর তা তুলে ক্ষেতে রোপণ করতে হয়। কিন্তু চাষিরা ৩০ থেকে ৪০ দিন বয়সের চারা বীজতলা থেকে তুলে ক্ষেতে রোপণ করেছেন। সে কারণে অকালে শীষ বের হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রতন মিয়া বলেন, বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থলে লোক পাঠানো হয়েছিল। সত্যতা পাওয়া গেছে। শেষ পর্যন্ত যদি কৃষকের ক্ষতি না কেটে ওঠে, তবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

লেখক সম্পর্কে তথ্য

পলাতক হাসিনার জন্মদিন পালন ও গোপন বৈঠক, কলেজ অধ্যক্ষ বেলাল গ্রেফতার

বর্ষালী জাতের আমন বীজে কপাল পুড়ল চাষির

আপডেট : ০৫:৩০:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বর্ষালী জাতের আমন বীজে কপাল পুড়ল চাষির

মো. ফয়জুর রহমান
দেওয়ানগঞ্জ, জামালপুর।

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে চলতি আমন মৌসুমে বর্ষালী ধানবীজের চারা রোপণ করে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। এসিআই কোম্পানির হাইব্রিড জাতের ওই বীজ রোপণ করে উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তায় রয়েছেন উপজেলার শতাধিক কৃষক। চারা রোপণের মাত্র ২০ দিনেই ধানের শীষ বের হওয়া দেখে তাদের এই হতাশা।

জানা গেছে, এসিআই কোম্পানি বিভিন্ন ডিলার পয়েন্ট থেকে এই অঞ্চলে ৫ টন বর্ষালী বীজধান বিক্রি করে। মৌসুমের শুরুতেই এসিআই কোম্পানির বীজধান নিয়ে প্রচার চলে। বলা হয় এটি স্বপ্লমেয়াদি, অধিক ফলনশীল। এ ধানের বীজ বাজারের অন্যান্য বীজের তুলনায় মানসম্পন্ন। প্রতি কেজি বর্ষালী ধানের বীজ বিক্রি হয়েছে ৫২০ থেকে ৫৫০ টাকায়। বাজারে অন্য ধানের বীজ পাওয়া গেছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়।

সরেজমিন দেখা যায়, ছোট ধানগাছের প্রতি গুছিতে দুই একটি শীষ বের হয়েছে। ধান গাছ দেখে মনে হয় অপরিপক্ব। মূল চারা থেকে কেবল কুসি বের হওয়া শুরু করেছে। এর মধ্যেই শীষ বের হয়েছে। পোড়ারভিটা, তারাটিয়া, মোয়ামারী, বানিয়াপাড়া, ভাতখাওয়া, কান্দাপাড়া ও কুমড়াকান্দিসহ বেশ কিছু গ্রামের প্রায় শতাধিক চাষি এমন ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তারা জানান, বর্ষালী ধানবীজ বাজারে খুব নতুন। ভালো ফলনের আশায় তারা এ জাতের বীজ রোপণ করেছেন। কিন্তু তাদের সে আশা নিরাশার পর্যবসিত হয়েছে।

উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, ১২০ দিনে বর্ষালী ধান আসে। সে ক্ষেত্রে বীজতলায় ২০ দিনের বেশি সময় ধানবীজ রাখা যায় না। বীজ বোনার ২০ দিন পর তা তুলে ক্ষেতে রোপণ করতে হয়। কিন্তু চাষিরা ৩০ থেকে ৪০ দিন বয়সের চারা বীজতলা থেকে তুলে ক্ষেতে রোপণ করেছেন। সে কারণে অকালে শীষ বের হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রতন মিয়া বলেন, বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থলে লোক পাঠানো হয়েছিল। সত্যতা পাওয়া গেছে। শেষ পর্যন্ত যদি কৃষকের ক্ষতি না কেটে ওঠে, তবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।