ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান সংঘাতের তীব্রতা বাড়ার প্রেক্ষাপটে ইসরায়েলে অবস্থিত চীনা দূতাবাস তাদের নাগরিকদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেশে ফিরে যেতে অথবা স্থল সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে ইসরায়েল ত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছে। দূতাবাস সম্ভাব্য বিপদের ইঙ্গিত দিয়ে চীনাদের দ্রুত আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ নিতে তাগাদা দিচ্ছে। মঙ্গলবার (১৭ জুন) দ্য টাইমস অব ইসরায়েল এ তথ্য জানিয়েছে।
চীনা দূতাবাস জানিয়েছে, ইসরায়েলে নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে এবং ইসরায়েলি আকাশসীমা এখনও বন্ধ রয়েছে। তাই স্থল সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে চীনাদের ইসরায়েলি সীমানা অতিক্রম করতে বলা হচ্ছে। উইচ্যাটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে দূতাবাস সতর্ক করে বলেছে যে, বর্তমানে ইসরায়েল-ইরান সংঘাত ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বেসামরিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে, যা নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলছে। নোটিশে চীনা নাগরিকদের জর্ডান অভিমুখে স্থল ক্রসিং দিয়ে চলে যাওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে চীনের জড়িয়ে পড়ার গুঞ্জন চলছে। বলা হচ্ছে, চীন গোপনে ইরানকে অস্ত্র সরবরাহ করছে। ইরানের রাজধানী তেহরানে বেইজিংয়ের একটি কার্গো বিমান নামার পর থেকেই এমন জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। মিডিয়ার প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ওই বিমানটি আকাশে থাকতেই ট্রান্সপন্ডার বন্ধ করে দিয়েছিল, যাতে রাডারে সেই বিমানের অস্তিত্ব ধরা না পড়ে। সেই থেকেই ডানা মেলেছে নানা গুঞ্জন। তাহলে কী গোপনে ইরানকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র সরবরাহ করছে চীন?
নির্ভরযোগ্য সূত্র না থাকলেও ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া ডটকম বেশ গুরুত্ব দিয়েই ওই বিমান অবতরণের খবর প্রকাশ করেছে। এভাবে ট্রান্সপন্ডার বন্ধ করে ওই বিমানের অবতরণের ঘটনা, গোপন কোনো অভিযানের দিকেই ইঙ্গিত করে বলে জানিয়েছে গণমাধ্যমটি। ইরানের সঙ্গে চীনের সামরিক ও কৌশলগত সম্পর্ক রয়েছে। তাই ওই বিমানে সামরিক অস্ত্র বা নিষিদ্ধ কোনো পণ্য থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও এমন খবরের সত্যতা এখনো যাচাই করা যায়নি।