Hi

০৮:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইরানের ভেতরেই ইসরায়েলের তিনতলা ড্রোন কারখানা! চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস

তেহরান, ১৭ জুন ২০২৫: ইরান সম্প্রতি ইসরায়েলের একটি তিনতলা গোপন ড্রোন তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে, যা দেশটির ভেতরেই স্থাপিত হয়েছিল। ইরানের বিপ্লবী গার্ড (IRGC) এই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে।

এই কারখানার ভেতরে শুধু খুচরা যন্ত্রাংশই ছিল না, ২০০ কেজি বিস্ফোরক, ২৩টি ড্রোন উৎক্ষেপণকারী, ডানা এবং সম্পূর্ণ ইউএভি অ্যাসেম্বলিও উদ্ধার করা হয়েছে। ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা এই কারখানাটি ইরানের ভেতরে অন্তর্ঘাত ও গুপ্তহত্যার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করত বলে জানা গেছে। মনে করা হচ্ছে, ইসরায়েলি গুপ্তহত্যার ৮০% ঘটানো হয়েছে এই কারখানায় তৈরি কামিকাজে ড্রোন ব্যবহার করে।

আগে ধারণা করা হতো, ইসরায়েল দূর থেকে স্যাটেলাইট ব্যবহার করে ইরানের জেনারেল, বিজ্ঞানী এবং পরমাণু বিশেষজ্ঞদের হত্যা করত। তবে, এই কারখানার আবিষ্কারের পর মনে করা হচ্ছে, এই হামলাগুলো ভেতর থেকেই পরিকল্পনা করা হয়েছিল।

ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, যারা “জায়নবাদী শাসকদের” সঙ্গে সহযোগিতা করবে, তাদের ধ্বংস করে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে, এই নেটওয়ার্কের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, ইসরায়েলের এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানগুলো ইরানের আকাশসীমায় প্রবেশ করতে দ্বিধা বোধ করায়, তারা সম্ভবত এখন থেকে অভ্যন্তরীণ এজেন্ট এবং স্যাটেলাইট গোয়েন্দাগিরির উপর বেশি নির্ভর করবে। এই পরিবর্তনের ফলে আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে।

 

ট্যাগ :
লেখক সম্পর্কে তথ্য

জনপ্রিয়

পরিবেশ রক্ষায় মাটিরাঙ্গায় ব্যতিক্রমী বৃক্ষরোপণ ও চারা বিতরণ

ইরানের ভেতরেই ইসরায়েলের তিনতলা ড্রোন কারখানা! চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস

আপডেট : ০৮:১০:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

তেহরান, ১৭ জুন ২০২৫: ইরান সম্প্রতি ইসরায়েলের একটি তিনতলা গোপন ড্রোন তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে, যা দেশটির ভেতরেই স্থাপিত হয়েছিল। ইরানের বিপ্লবী গার্ড (IRGC) এই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে।

এই কারখানার ভেতরে শুধু খুচরা যন্ত্রাংশই ছিল না, ২০০ কেজি বিস্ফোরক, ২৩টি ড্রোন উৎক্ষেপণকারী, ডানা এবং সম্পূর্ণ ইউএভি অ্যাসেম্বলিও উদ্ধার করা হয়েছে। ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা এই কারখানাটি ইরানের ভেতরে অন্তর্ঘাত ও গুপ্তহত্যার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করত বলে জানা গেছে। মনে করা হচ্ছে, ইসরায়েলি গুপ্তহত্যার ৮০% ঘটানো হয়েছে এই কারখানায় তৈরি কামিকাজে ড্রোন ব্যবহার করে।

আগে ধারণা করা হতো, ইসরায়েল দূর থেকে স্যাটেলাইট ব্যবহার করে ইরানের জেনারেল, বিজ্ঞানী এবং পরমাণু বিশেষজ্ঞদের হত্যা করত। তবে, এই কারখানার আবিষ্কারের পর মনে করা হচ্ছে, এই হামলাগুলো ভেতর থেকেই পরিকল্পনা করা হয়েছিল।

ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, যারা “জায়নবাদী শাসকদের” সঙ্গে সহযোগিতা করবে, তাদের ধ্বংস করে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে, এই নেটওয়ার্কের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, ইসরায়েলের এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানগুলো ইরানের আকাশসীমায় প্রবেশ করতে দ্বিধা বোধ করায়, তারা সম্ভবত এখন থেকে অভ্যন্তরীণ এজেন্ট এবং স্যাটেলাইট গোয়েন্দাগিরির উপর বেশি নির্ভর করবে। এই পরিবর্তনের ফলে আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে।