Hi

০৮:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিজারের পর প্রসূতির মৃত্যু: বীরগঞ্জে ক্লিনিক ঘেরাও, উত্তেজনা

সিজারের পর প্রসূতির মৃত্যু: বীরগঞ্জে ক্লিনিক ঘেরাও, উত্তেজনা

দিনাজপুর, ২১ জুন ২০২৫: দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলায় একতা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সিজারিয়ান অপারেশনের পর এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে ক্লিনিক ঘেরাও করে রাখে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে বিক্ষুব্ধরা রাত ২টার দিকে সরে যান।

মৃত প্রসূতির নাম আশা মনি রায় (২০)। তিনি বীরগঞ্জ পৌর শহরের ৭নং ওয়ার্ডের হৃদয় রায়ের স্ত্রী।

জানা যায়, শুক্রবার সকালে প্রসবব্যথা শুরু হলে আশা মনি রায়কে একতা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করা হয়। ক্লিনিকের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে নরমাল ডেলিভারি সম্ভব নয়, সিজার করতে হবে। প্রথম সন্তান হওয়ায় পরিবারের সদস্যরা কোনো ঝুঁকি নিতে চাননি এবং সিজারে রাজি হন। বিকেল ৩টায় গাইনি ডাক্তার ইয়াসমিন সিজার করেন, যার মাধ্যমে আশা মনি একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন।

অপারেশনের পর আশা মনির রক্তক্ষরণ শুরু হয়। তবে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ রোগীর স্বজনদের বিষয়টি বুঝতে না দিয়ে তাকে অপারেশন থিয়েটারের ভেতরেই রেখে দেন এবং বলেন যে জ্ঞান ফিরলেই তাকে বেডে দেওয়া হবে। পরে রোগীর অবস্থার অবনতি হলে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। রাত ৮টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রচণ্ড রক্তক্ষরণের কারণেই প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে।

এই খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় জনতা একতা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ক্লিনিকের মালিক রিপন পালিয়ে যান।

বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল গফুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।


ট্যাগ :
লেখক সম্পর্কে তথ্য

জনপ্রিয়

পরিবেশ রক্ষায় মাটিরাঙ্গায় ব্যতিক্রমী বৃক্ষরোপণ ও চারা বিতরণ

সিজারের পর প্রসূতির মৃত্যু: বীরগঞ্জে ক্লিনিক ঘেরাও, উত্তেজনা

আপডেট : ০৭:৪১:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

সিজারের পর প্রসূতির মৃত্যু: বীরগঞ্জে ক্লিনিক ঘেরাও, উত্তেজনা

দিনাজপুর, ২১ জুন ২০২৫: দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলায় একতা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সিজারিয়ান অপারেশনের পর এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে ক্লিনিক ঘেরাও করে রাখে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে বিক্ষুব্ধরা রাত ২টার দিকে সরে যান।

মৃত প্রসূতির নাম আশা মনি রায় (২০)। তিনি বীরগঞ্জ পৌর শহরের ৭নং ওয়ার্ডের হৃদয় রায়ের স্ত্রী।

জানা যায়, শুক্রবার সকালে প্রসবব্যথা শুরু হলে আশা মনি রায়কে একতা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করা হয়। ক্লিনিকের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে নরমাল ডেলিভারি সম্ভব নয়, সিজার করতে হবে। প্রথম সন্তান হওয়ায় পরিবারের সদস্যরা কোনো ঝুঁকি নিতে চাননি এবং সিজারে রাজি হন। বিকেল ৩টায় গাইনি ডাক্তার ইয়াসমিন সিজার করেন, যার মাধ্যমে আশা মনি একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন।

অপারেশনের পর আশা মনির রক্তক্ষরণ শুরু হয়। তবে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ রোগীর স্বজনদের বিষয়টি বুঝতে না দিয়ে তাকে অপারেশন থিয়েটারের ভেতরেই রেখে দেন এবং বলেন যে জ্ঞান ফিরলেই তাকে বেডে দেওয়া হবে। পরে রোগীর অবস্থার অবনতি হলে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। রাত ৮টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রচণ্ড রক্তক্ষরণের কারণেই প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে।

এই খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় জনতা একতা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ক্লিনিকের মালিক রিপন পালিয়ে যান।

বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল গফুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।