পাকিস্তানের নয়টি স্থাপনায় হামলা করেছে নয়াদিল্লি। এবার ইসলামাবাদের পালা। তবে ইসলামাবাদ কোথায় হামলা করবে? এ ব্যাপারে পাকিস্তানের রাজনৈতিক বিশ্লেষক শাহিদ হোসাইন কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরাকে বলেছেন, পাকিস্তান ভারতশাসিত কাশ্মীরের বাইরে হামলা করবে না। কারণ পারস্পারিক সংঘাত বাড়ানোর ইচ্ছা পাকিস্তানের নেই।
তিনি গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও হামলায় পাকিস্তান জড়িত আছে কি-না প্রশ্ন তুলে বলেন, একদিকে যখন পাকিস্তান নিজেই সন্ত্রাসবাদের শিকার, তখন কীভাবে তারা অন্যদিকে ভারতের কাশ্মীরে গিয়ে হামলা চালাতে পারে? তার ভাষায়, যে দেশ নিজেই সন্ত্রাসের ভুক্তভোগী, সেই দেশ কীভাবে নিজেই আরেকটি অঞ্চলে গিয়ে হামলা চালাবে? এটা যুক্তিসংগত নয়।
এদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ দেশটির পার্লামেন্টে বলেছেন, তার দেশের সেনাবাহিনী ভারতের পাঁচটি বিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে। এর মধ্যে দুটি কাশ্মীরে এবং একটি ভারতের বাথিন্ডায় ভূপাতিত করা হয়েছে। শরিফের এ বক্তব্য পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর দাবির প্রতিধ্বনি।
তবে এ দাবিকে এবার ‘ভুয়া’ বলছে ভারত। চীনে অবস্থিত ভারতের দূতাবাসের পক্ষ থেকে সামাজিক মাধ্যমে বলা হয়েছে, পাকিস্তান কর্তৃক ভারতের যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার খবরটি ভুয়া। এক্স পোস্টে আরও বলা হয়, পাকিস্তানপন্থি অনেকে ভিত্তিহীন এই খবর প্রচার করছে।
এর আগে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং দাবি করেছেন, পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীরে ভারতের রাতারাতি চালানো হামলায় কোনো বেসামরিক লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
রাজনাথ সিং বলেন, আমরা শুধু তাদেরকেই আঘাত করেছি যারা নিরপরাধ মানুষদের হত্যা করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দিকনির্দেশনায় আমাদের সশস্ত্র বাহিনী গোটা জাতিকে গর্বিত করেছে।
তবে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি এক বিবৃতিতে জানায়, ভারত ‘অন্যায্য হামলা’ চালিয়েছে এবং ‘কল্পিত জঙ্গি ঘাঁটির অজুহাতে’ বেসামরিক এলাকাগুলোকে ইচ্ছাকৃতভাবে লক্ষ্যবস্তু করেছে।