Hi

০৯:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ২০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফ্রিডম ফ্লোটিলার সব নৌযান একসঙ্গে গাজার পথে এগোচ্ছে: শহিদুল আলম

  • আপডেট : ১২:৫৫:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫
  • ৫০৮ জন দেখেছে

দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে জানা যাচ্ছে যে ফ্রিডম ফ্লোটিলার সকল নৌযান বর্তমানে একসঙ্গে একযোগে গাজার দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

ফ্রিডম ফ্লোটিলার বর্তমান অবস্থা

শহিদুল আলমের দেওয়া তথ্য অনুসারে, নৌবহরের পরিস্থিতি নিম্নরূপ:

  • নৌযানের একত্রীকরণ: তিনি যে জাহাজ ‘কনশানস’-এ আছেন, সেটি বহরের সবচেয়ে বড় নৌযান এবং এটি সবার শেষে (৩০ সেপ্টেম্বর) ইতালি থেকে রওনা হয়েছিল। ‘কনশানসের’ গতি বেশি হওয়ায় এটি আগে রওনা হওয়া অন্য আটটি নৌযানকে ধরে ফেলেছে।
  • একযোগে যাত্রা: বর্তমানে ‘কনশানসের’ গতি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, এবং সব নৌযান একসঙ্গে গাজার অভিমুখে এগিয়ে যাচ্ছে। ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের আরও দুটি নৌকার অবস্থান অবশ্য এখনও নিশ্চিত নয়।

‘থাউজেন্ড ম্যাডলিনস’ এবং ফ্লোটিলার উদ্দেশ্য

শহিদুল আলম এই উদ্যোগের তাৎপর্য তুলে ধরেছেন:

  • ‘থাউজেন্ড ম্যাডলিনস’ ধারণা: তিনি ‘থাউজেন্ড ম্যাডলিনস’ ধারণাকে ‘অবিস্মরণীয়’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তার মতে, বিশ্বনেতাদের নিষ্ক্রিয়তার কারণে বিশ্বের জনগণ নিজেরাই পদক্ষেপ নিয়েছে, এবং এটি একত্রিত হওয়া সমুদ্রযানের সবচেয়ে বড় বহর
  • আয়োজক ও লক্ষ্য: ‘কনশানস’ হলো আন্তর্জাতিক উদ্যোগ ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (FFC) এবং থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজা (TMTG) নৌবহরের অংশ। FFC হলো ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার’ একটি অংশ, যার মূল লক্ষ্য হলো ইসরায়েলের অবরোধ ভাঙা এবং গাজায় ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া।
  • ত্রাণসামগ্রী: যদিও এই উদ্যোগের লক্ষ্য ত্রাণ পৌঁছানো, শহিদুল আলমের বহরে বর্তমানে কোনো খাদ্যসহায়তা নেই

দৃঢ় সংকল্প

গাজার অবরোধ ভেঙে দেওয়ার বিষয়ে শহিদুল আলম দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করেছেন:

  • তিনি লিখেছেন, “আমরা কনশানসের মানুষেরা অবরোধ ভাঙতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তারা যদি আমাদের আটকায়, তখন অন্যরা এগিয়ে আসবে।”
  • তিনি বিশ্বাস করেন, “দমন–পীড়নকারী কখনোই জনগণের শক্তির বিরুদ্ধে টিকতে পারেনি। ইসরাইলও ব্যর্থ হবে। মুক্ত হবে ফিলিস্তিন।
লেখক সম্পর্কে তথ্য

ফ্রিডম ফ্লোটিলার সব নৌযান একসঙ্গে গাজার পথে এগোচ্ছে: শহিদুল আলম

ফ্রিডম ফ্লোটিলার সব নৌযান একসঙ্গে গাজার পথে এগোচ্ছে: শহিদুল আলম

আপডেট : ১২:৫৫:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫

দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে জানা যাচ্ছে যে ফ্রিডম ফ্লোটিলার সকল নৌযান বর্তমানে একসঙ্গে একযোগে গাজার দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

ফ্রিডম ফ্লোটিলার বর্তমান অবস্থা

শহিদুল আলমের দেওয়া তথ্য অনুসারে, নৌবহরের পরিস্থিতি নিম্নরূপ:

  • নৌযানের একত্রীকরণ: তিনি যে জাহাজ ‘কনশানস’-এ আছেন, সেটি বহরের সবচেয়ে বড় নৌযান এবং এটি সবার শেষে (৩০ সেপ্টেম্বর) ইতালি থেকে রওনা হয়েছিল। ‘কনশানসের’ গতি বেশি হওয়ায় এটি আগে রওনা হওয়া অন্য আটটি নৌযানকে ধরে ফেলেছে।
  • একযোগে যাত্রা: বর্তমানে ‘কনশানসের’ গতি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, এবং সব নৌযান একসঙ্গে গাজার অভিমুখে এগিয়ে যাচ্ছে। ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের আরও দুটি নৌকার অবস্থান অবশ্য এখনও নিশ্চিত নয়।

‘থাউজেন্ড ম্যাডলিনস’ এবং ফ্লোটিলার উদ্দেশ্য

শহিদুল আলম এই উদ্যোগের তাৎপর্য তুলে ধরেছেন:

  • ‘থাউজেন্ড ম্যাডলিনস’ ধারণা: তিনি ‘থাউজেন্ড ম্যাডলিনস’ ধারণাকে ‘অবিস্মরণীয়’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তার মতে, বিশ্বনেতাদের নিষ্ক্রিয়তার কারণে বিশ্বের জনগণ নিজেরাই পদক্ষেপ নিয়েছে, এবং এটি একত্রিত হওয়া সমুদ্রযানের সবচেয়ে বড় বহর
  • আয়োজক ও লক্ষ্য: ‘কনশানস’ হলো আন্তর্জাতিক উদ্যোগ ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (FFC) এবং থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজা (TMTG) নৌবহরের অংশ। FFC হলো ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার’ একটি অংশ, যার মূল লক্ষ্য হলো ইসরায়েলের অবরোধ ভাঙা এবং গাজায় ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া।
  • ত্রাণসামগ্রী: যদিও এই উদ্যোগের লক্ষ্য ত্রাণ পৌঁছানো, শহিদুল আলমের বহরে বর্তমানে কোনো খাদ্যসহায়তা নেই

দৃঢ় সংকল্প

গাজার অবরোধ ভেঙে দেওয়ার বিষয়ে শহিদুল আলম দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করেছেন:

  • তিনি লিখেছেন, “আমরা কনশানসের মানুষেরা অবরোধ ভাঙতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তারা যদি আমাদের আটকায়, তখন অন্যরা এগিয়ে আসবে।”
  • তিনি বিশ্বাস করেন, “দমন–পীড়নকারী কখনোই জনগণের শক্তির বিরুদ্ধে টিকতে পারেনি। ইসরাইলও ব্যর্থ হবে। মুক্ত হবে ফিলিস্তিন।