Hi

১২:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ২০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঢাবি ছাত্রদল নেতা সাম্য হত্যায় উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্যার এ এফ রহমান হলের ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার প্রতিবাদে গতকাল মধ্যরাতে উত্তাল হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। প্রশাসনের গাফিলতি ও নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ তুলে ছাত্রদল কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদের পদত্যাগ দাবি করেন।

গত মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে বাংলা একাডেমির সামনে সাম্যকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। রাতভর বিভিন্ন হলে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। রাত ৩টার দিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন।

উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ শিক্ষার্থীদের সামনে এলে উত্তেজনা বেড়ে যায়। তিনি বলেন, “তোমরা যদি মনে করো, তুমি আর আমি আলাদা পক্ষ, আমি এখানে দাঁড়ায়ে আছি; আমাকে মার বেটা, মার।” তার এ বক্তব্যে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বলেন, “সিনেমা কইরেন না, স্যার।”

বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, বাংলা একাডেমির সামনে হত্যার পর খুনিরা কিভাবে পালিয়ে গেল, সেই প্রশ্নের জবাব প্রশাসন দিতে ব্যর্থ। তারা বলেন, “দোয়েল চত্বরে প্রক্টরিয়াল টিম থাকলেও খুনিরা পালিয়ে গেল কিভাবে?”

উপাচার্যের প্রতি পদত্যাগের দাবি জানিয়ে এক শিক্ষার্থী বলেন, “আপনি যদি আমাদের লোক হন, তাহলে ঘটনার সময় ফোন দিলে প্রক্টর ফোন ধরলেন না কেন?” উত্তপ্ত পরিবেশে শিক্ষার্থীরা “ব্যর্থ ভিসির বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন” স্লোগান দিতে থাকেন।

পরে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উদ্যান এলাকায় যান। সেখানে তারা সরেজমিনে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন। তবে রাতভর চলা এই বিক্ষোভে পরিস্থিতি ছিল চরম উত্তপ্ত ও অস্থির।

ট্যাগ :
লেখক সম্পর্কে তথ্য

হাজারো শঙ্খর ধ্বনি ও প্রদীপের আলোয় বিতর্কিত পুজোর– প্রতিমার নিরঞ্জন শোভাযাত্রা।

ঢাবি ছাত্রদল নেতা সাম্য হত্যায় উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি

আপডেট : ১২:৩৯:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্যার এ এফ রহমান হলের ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার প্রতিবাদে গতকাল মধ্যরাতে উত্তাল হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। প্রশাসনের গাফিলতি ও নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ তুলে ছাত্রদল কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদের পদত্যাগ দাবি করেন।

গত মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে বাংলা একাডেমির সামনে সাম্যকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। রাতভর বিভিন্ন হলে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। রাত ৩টার দিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন।

উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ শিক্ষার্থীদের সামনে এলে উত্তেজনা বেড়ে যায়। তিনি বলেন, “তোমরা যদি মনে করো, তুমি আর আমি আলাদা পক্ষ, আমি এখানে দাঁড়ায়ে আছি; আমাকে মার বেটা, মার।” তার এ বক্তব্যে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বলেন, “সিনেমা কইরেন না, স্যার।”

বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, বাংলা একাডেমির সামনে হত্যার পর খুনিরা কিভাবে পালিয়ে গেল, সেই প্রশ্নের জবাব প্রশাসন দিতে ব্যর্থ। তারা বলেন, “দোয়েল চত্বরে প্রক্টরিয়াল টিম থাকলেও খুনিরা পালিয়ে গেল কিভাবে?”

উপাচার্যের প্রতি পদত্যাগের দাবি জানিয়ে এক শিক্ষার্থী বলেন, “আপনি যদি আমাদের লোক হন, তাহলে ঘটনার সময় ফোন দিলে প্রক্টর ফোন ধরলেন না কেন?” উত্তপ্ত পরিবেশে শিক্ষার্থীরা “ব্যর্থ ভিসির বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন” স্লোগান দিতে থাকেন।

পরে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উদ্যান এলাকায় যান। সেখানে তারা সরেজমিনে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন। তবে রাতভর চলা এই বিক্ষোভে পরিস্থিতি ছিল চরম উত্তপ্ত ও অস্থির।