Hi

০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তরুণদের কর্মসংস্থানে বিনিয়োগভিত্তিক মডেলের প্রস্তাবনা, চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান ড. ইউনূসের

গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যুবসমাজকে আত্মনির্ভরশীল করে তুলতে বিনিয়োগভিত্তিক মডেলকে একটি কার্যকর উপায় হিসেবে তুলে ধরেছেন। শনিবার (১৭ মে, ২০২৫) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) ভবন উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।

ড. ইউনূস বলেন, “যদি এই শিল্পে বিনিয়োগ আসে, তবে কোনো তরুণকে চাকরির খোঁজে ঘুরতে হবে না, চাকরির প্রয়োজনও হবে না।” তিনি তরুণদেরকে চাকরির পরিবর্তে নিজেদের উদ্যোগে ব্যবসা শুরু করার জন্য উৎসাহিত করেন।

তার মতে, “সরকার হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হলো এমন প্রতিষ্ঠান তৈরি করে দেওয়া, যা তরুণদের বিনিয়োগ পেতে সাহায্য করবে। ব্যাংক তৈরি করার দায়িত্ব আমাদের, যাতে তরুণ-তরুণী, নারী-পুরুষ, যেখানেই থাকুক না কেন, তারা যেন বিনিয়োগ পায় এবং নিজেদের বুদ্ধি দিয়ে ব্যবসা করতে পারে।”

তিনি আরও বলেন, “হাজার হাজার তরুণ এখন এই কাজ করছে এবং তাদের ব্যবসা সম্প্রসারিত হচ্ছে। মাইক্রো ব্যাংকগুলো তাদের কাছে বিনিয়োগের টাকা পৌঁছে দিচ্ছে, আর তারা ধাপে ধাপে মালিকানা অর্জন করছে।”

ড. ইউনূস স্পষ্ট করে বলেন, “আমার কাজ হলো তাদের সহযোগিতা করা। আমি তাদের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতে চাই না, বরং তারা যেন নিজেদের ভাগ্য নিজেরাই গড়ে তোলে, সেটাই আমার লক্ষ্য।”

এই বক্তব্যে তিনি সরকার ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বিত ভূমিকার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন, যা তরুণদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে এবং অর্থনীতিতে নতুন গতি আনতে পারে।

ট্যাগ :
লেখক সম্পর্কে তথ্য

জনপ্রিয়

জামালগঞ্জে ৪ ব্যাংকের উদ্যোগে প্রকাশ্যে কৃষি ঋণ বিতরণ: ১১ কৃষক পেলেন পৌনে ১৮ লাখ টাকা

তরুণদের কর্মসংস্থানে বিনিয়োগভিত্তিক মডেলের প্রস্তাবনা, চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান ড. ইউনূসের

আপডেট : ০৯:৫৫:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যুবসমাজকে আত্মনির্ভরশীল করে তুলতে বিনিয়োগভিত্তিক মডেলকে একটি কার্যকর উপায় হিসেবে তুলে ধরেছেন। শনিবার (১৭ মে, ২০২৫) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) ভবন উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।

ড. ইউনূস বলেন, “যদি এই শিল্পে বিনিয়োগ আসে, তবে কোনো তরুণকে চাকরির খোঁজে ঘুরতে হবে না, চাকরির প্রয়োজনও হবে না।” তিনি তরুণদেরকে চাকরির পরিবর্তে নিজেদের উদ্যোগে ব্যবসা শুরু করার জন্য উৎসাহিত করেন।

তার মতে, “সরকার হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হলো এমন প্রতিষ্ঠান তৈরি করে দেওয়া, যা তরুণদের বিনিয়োগ পেতে সাহায্য করবে। ব্যাংক তৈরি করার দায়িত্ব আমাদের, যাতে তরুণ-তরুণী, নারী-পুরুষ, যেখানেই থাকুক না কেন, তারা যেন বিনিয়োগ পায় এবং নিজেদের বুদ্ধি দিয়ে ব্যবসা করতে পারে।”

তিনি আরও বলেন, “হাজার হাজার তরুণ এখন এই কাজ করছে এবং তাদের ব্যবসা সম্প্রসারিত হচ্ছে। মাইক্রো ব্যাংকগুলো তাদের কাছে বিনিয়োগের টাকা পৌঁছে দিচ্ছে, আর তারা ধাপে ধাপে মালিকানা অর্জন করছে।”

ড. ইউনূস স্পষ্ট করে বলেন, “আমার কাজ হলো তাদের সহযোগিতা করা। আমি তাদের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতে চাই না, বরং তারা যেন নিজেদের ভাগ্য নিজেরাই গড়ে তোলে, সেটাই আমার লক্ষ্য।”

এই বক্তব্যে তিনি সরকার ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বিত ভূমিকার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন, যা তরুণদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে এবং অর্থনীতিতে নতুন গতি আনতে পারে।