Hi

০৩:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডিজিটাল রূপান্তরে নারী-পুরুষের সমতা নিশ্চিত করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: ড. মুহাম্মদ ইউনূস

বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ডিজিটাল রূপান্তরের সব ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান সুযোগ ও অধিকার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘ডিজিটাল রূপান্তরে নারী-পুরুষের সমতায়ন’।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “টেলিযোগাযোগ সেবা ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারসহ ডিজিটাল রূপান্তরে নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণ একটি বৈষম্যমুক্ত ও আধুনিক সমাজ বিনির্মাণের পূর্বশর্ত।” বাণীতে তিনি আরও বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে খুবই আন্তরিক। তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সব কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা হয়েছে।” জনগণের সরকারি সেবাপ্রাপ্তি সহজতর করতে ও হয়রানি কমাতে ডিজিটাল সেবা কেন্দ্র ‘নাগরিক সেবা’ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। সারা দেশে ইউনিয়ন নাগরিক সেবাকেন্দ্রের মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি সেবা চালু করা হচ্ছে।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ ফ্রিল্যান্সিং ট্রেনিং এবং মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য শি-এসটিইএম ট্রেনিংয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ স্যাটেলাইটভিত্তিক উচ্চগতির ইন্টারনেট নেটওয়ার্কে যুক্ত হতে যাচ্ছে, যা প্রত্যন্ত ও দুর্গম অঞ্চলসহ সারা দেশে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।”

প্রধান উপদেষ্টা জনগণের জন্য বিশ্বমানের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা নিশ্চিত করতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, প্রগতিশীল ও সমতাভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ে উঠবে, নিশ্চিত হবে ডিজিটাল সমতা।”

উল্লেখ্য, ১৮৬৫ সালের ১৭ মে প্যারিসে ইন্টারন্যাশনাল টেলিগ্রাফ কনভেনশনের মাধ্যমে ‘ইন্টারন্যাশনাল টেলিগ্রাফ ইউনিয়ন’ গঠিত হওয়ার মাধ্যমে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবসের সূচনা হয়। পরে সেটিই বর্তমান আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নে (আইটিইউ) রূপ নেয়। ১৯৬৯ সাল থেকে আইটিইউ দিবসটি আন্তর্জাতিকভাবে পালন শুরু করে, যা আজও বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তিনির্ভর উন্নয়নকে তুলে ধরার গুরুত্বপূর্ণ একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ইন্টারনেট, মোবাইল নেটওয়ার্ক, ফাইভ-জি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), ব্লকচেইন ও আইওটি প্রযুক্তি শুধু যোগাযোগ ব্যবস্থারই উন্নয়ন ঘটায়নি, বরং কৃষি, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও বাণিজ্যে অভূতপূর্ব পরিবর্তন এনেছে। ফলে এসব প্রযুক্তি শুধু জীবনযাত্রা সহজ করেনি, বরং বিশ্বের নানা বৈষম্য ও সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সহায়ক হয়েছে।

ট্যাগ :
লেখক সম্পর্কে তথ্য

জনপ্রিয়

জামালগঞ্জে ৪ ব্যাংকের উদ্যোগে প্রকাশ্যে কৃষি ঋণ বিতরণ: ১১ কৃষক পেলেন পৌনে ১৮ লাখ টাকা

ডিজিটাল রূপান্তরে নারী-পুরুষের সমতা নিশ্চিত করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: ড. মুহাম্মদ ইউনূস

আপডেট : ১২:১২:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ডিজিটাল রূপান্তরের সব ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান সুযোগ ও অধিকার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘ডিজিটাল রূপান্তরে নারী-পুরুষের সমতায়ন’।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “টেলিযোগাযোগ সেবা ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারসহ ডিজিটাল রূপান্তরে নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণ একটি বৈষম্যমুক্ত ও আধুনিক সমাজ বিনির্মাণের পূর্বশর্ত।” বাণীতে তিনি আরও বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে খুবই আন্তরিক। তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সব কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা হয়েছে।” জনগণের সরকারি সেবাপ্রাপ্তি সহজতর করতে ও হয়রানি কমাতে ডিজিটাল সেবা কেন্দ্র ‘নাগরিক সেবা’ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। সারা দেশে ইউনিয়ন নাগরিক সেবাকেন্দ্রের মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি সেবা চালু করা হচ্ছে।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ ফ্রিল্যান্সিং ট্রেনিং এবং মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য শি-এসটিইএম ট্রেনিংয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ স্যাটেলাইটভিত্তিক উচ্চগতির ইন্টারনেট নেটওয়ার্কে যুক্ত হতে যাচ্ছে, যা প্রত্যন্ত ও দুর্গম অঞ্চলসহ সারা দেশে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।”

প্রধান উপদেষ্টা জনগণের জন্য বিশ্বমানের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা নিশ্চিত করতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, প্রগতিশীল ও সমতাভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ে উঠবে, নিশ্চিত হবে ডিজিটাল সমতা।”

উল্লেখ্য, ১৮৬৫ সালের ১৭ মে প্যারিসে ইন্টারন্যাশনাল টেলিগ্রাফ কনভেনশনের মাধ্যমে ‘ইন্টারন্যাশনাল টেলিগ্রাফ ইউনিয়ন’ গঠিত হওয়ার মাধ্যমে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবসের সূচনা হয়। পরে সেটিই বর্তমান আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নে (আইটিইউ) রূপ নেয়। ১৯৬৯ সাল থেকে আইটিইউ দিবসটি আন্তর্জাতিকভাবে পালন শুরু করে, যা আজও বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তিনির্ভর উন্নয়নকে তুলে ধরার গুরুত্বপূর্ণ একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ইন্টারনেট, মোবাইল নেটওয়ার্ক, ফাইভ-জি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), ব্লকচেইন ও আইওটি প্রযুক্তি শুধু যোগাযোগ ব্যবস্থারই উন্নয়ন ঘটায়নি, বরং কৃষি, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও বাণিজ্যে অভূতপূর্ব পরিবর্তন এনেছে। ফলে এসব প্রযুক্তি শুধু জীবনযাত্রা সহজ করেনি, বরং বিশ্বের নানা বৈষম্য ও সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সহায়ক হয়েছে।