Hi

১২:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ২০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় কুড়িগ্রামে শিক্ষক বরখাস্ত

ফেসবুকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে নিয়ে পোস্ট দেওয়ায় কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

শনিবার (১৭ মে ২০২৫) রাতে কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা স্বপন কুমার রায় চৌধুরীর এক আদেশে ওই শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়।

বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকের নাম মনিবুল হক বসুনিয়া। তিনি রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের আবুল কাশেম সরকারি বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পত্র অনুযায়ী শিক্ষক মনিবুল হক বসুনিয়া তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টাসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করে পোস্ট করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ধরনের পোস্ট করার কারণে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এই কার্যকলাপ সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা-২০১৯ (পরিমার্জিত সংস্করণ)-এর ৭ ও ১০ অনুচ্ছেদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। ফলস্বরূপ, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা এর ৩(খ) বিধি অনুযায়ী অসদাচরণের অভিযোগে অভিযুক্ত করে শিক্ষক মনিবুল হক বসুনিয়াকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।

ফেসবুক পোস্টের বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মনিবুল ইসলাম বসুনিয়া বলেন, “আড়াই-তিন মাস আগে চট্টগ্রামে প্রাথমিকের শিক্ষকদের একটি অনুষ্ঠানে শিক্ষকরা যখন দশম গ্রেডের দাবি জানান, তখন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষকদের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করে বলেছিলেন, ‘না পোষালে চাকরি ছেড়ে চলে যান’। এর প্রতিক্রিয়ায় সাধারণ শিক্ষকরা তাদের মতো করে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন, আমিও আমার ভাষায় প্রতিবাদ করেছিলাম। আমার পোস্টের মূল বক্তব্য ছিল, উপদেষ্টা শিক্ষকদের এভাবে অপমানজনক কথা বলতে পারেন না। তিনি একজন ডাক্তার, তার উচিত নিজের পেশায় ফিরে যাওয়া। তিনি আমাদের চাকরি ছেড়ে অন্য পেশায় যেতে বলছেন, তাই আমার প্রতিবাদ ছিল, তারও উচিত নিজের পেশায় ফিরে যাওয়া। সেটি ছিল সেই সময়ের কথা। এখন কেন আমাকে সেই পোস্টের জন্য বরখাস্ত করা হলো, তা আমার বোধগম্য নয়।”

ট্যাগ :
লেখক সম্পর্কে তথ্য

হাজারো শঙ্খর ধ্বনি ও প্রদীপের আলোয় বিতর্কিত পুজোর– প্রতিমার নিরঞ্জন শোভাযাত্রা।

ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় কুড়িগ্রামে শিক্ষক বরখাস্ত

আপডেট : ০৭:১৬:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

ফেসবুকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে নিয়ে পোস্ট দেওয়ায় কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

শনিবার (১৭ মে ২০২৫) রাতে কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা স্বপন কুমার রায় চৌধুরীর এক আদেশে ওই শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়।

বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকের নাম মনিবুল হক বসুনিয়া। তিনি রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের আবুল কাশেম সরকারি বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পত্র অনুযায়ী শিক্ষক মনিবুল হক বসুনিয়া তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টাসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করে পোস্ট করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ধরনের পোস্ট করার কারণে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এই কার্যকলাপ সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা-২০১৯ (পরিমার্জিত সংস্করণ)-এর ৭ ও ১০ অনুচ্ছেদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। ফলস্বরূপ, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা এর ৩(খ) বিধি অনুযায়ী অসদাচরণের অভিযোগে অভিযুক্ত করে শিক্ষক মনিবুল হক বসুনিয়াকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।

ফেসবুক পোস্টের বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মনিবুল ইসলাম বসুনিয়া বলেন, “আড়াই-তিন মাস আগে চট্টগ্রামে প্রাথমিকের শিক্ষকদের একটি অনুষ্ঠানে শিক্ষকরা যখন দশম গ্রেডের দাবি জানান, তখন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষকদের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করে বলেছিলেন, ‘না পোষালে চাকরি ছেড়ে চলে যান’। এর প্রতিক্রিয়ায় সাধারণ শিক্ষকরা তাদের মতো করে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন, আমিও আমার ভাষায় প্রতিবাদ করেছিলাম। আমার পোস্টের মূল বক্তব্য ছিল, উপদেষ্টা শিক্ষকদের এভাবে অপমানজনক কথা বলতে পারেন না। তিনি একজন ডাক্তার, তার উচিত নিজের পেশায় ফিরে যাওয়া। তিনি আমাদের চাকরি ছেড়ে অন্য পেশায় যেতে বলছেন, তাই আমার প্রতিবাদ ছিল, তারও উচিত নিজের পেশায় ফিরে যাওয়া। সেটি ছিল সেই সময়ের কথা। এখন কেন আমাকে সেই পোস্টের জন্য বরখাস্ত করা হলো, তা আমার বোধগম্য নয়।”