রাজধানী ঢাকাসহ সিটি করপোরেশন এলাকা এবং জেলা শহরের ২৭ ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) অথবা ভ্যাট স্মার্ট চালান ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সম্প্রতি এনবিআরের ভ্যাট বিভাগ এই সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেছে।
যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এই নিয়ম বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, সেগুলো হলো:
- আবাসিক হোটেল
- সামাজিক ও খেলাধুলা বিষয়ক ক্লাব
- রেস্তোরাঁ ও ফাস্টফুড শপ
- তৈরি পোশাক বিপণন কেন্দ্র
- ডেকোরেটরস ও ক্যাটারার্স
- ইলেকট্রনিক/ইলেকট্রিক্যাল গৃহস্থালি সামগ্রী বিক্রয়কেন্দ্র
- বিজ্ঞাপনী সংস্থা
- শপিং সেন্টার/মল/মার্কেট এর সব ব্যবসায়ী
- ছাপাখানা ও বাঁধাই সংস্থা
- ডিপার্টমেন্টাল স্টোর (ভ্যাটযোগ্য পণ্য ক্রয়/বিক্রয়)
- কমিউনিটি সেন্টার
- ডিপার্টমেন্টাল ফার্মেসি (দেশে উৎপাদিত ওষুধ ব্যতীত)
- মিষ্টান্ন ভাণ্ডার
- জেনারেল স্টোর/সুপারশপ
- স্বর্ণকার, রৌপ্যকার, স্বর্ণের-রৌপ্যের দোকানদার এবং স্বর্ণ পাইকারি ব্যবসায়ী
- অন্যান্য বড় ও মাঝারি (পাইকারি ও খুচরা) ব্যবসায়ী
- আসবাবপত্রের বিপণন কেন্দ্র
- যান্ত্রিক লন্ড্রি
- কুরিয়ার ও এক্সপ্রেস মেইল সার্ভিস
- সিনেমা হল
- বিউটি পার্লার
- সিকিউরিটি সার্ভিস
- হেলথ ক্লাব ও ফিটনেস সেন্টার
- কোচিং সেন্টার
- ভিসা প্রসেসিং/অনলাইন অ্যাডমিশন প্রসেসিং সেন্টার
- ভ্যাটের আওতাভুক্ত অন্যান্য পণ্য ও সেবা
- বোর্ড বা কমিশনার কর্তৃক নির্বাচিত যে কোনো ব্যবসায়ী
এনবিআর জানিয়েছে, ইএফডি/এসডিসি/পিকেআই পিওএস সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবসায়িক লেনদেনের স্বচ্ছতা বাড়ানো যাবে। এর ফলে ভ্যাট ফাঁকি কমানো এবং সরকারের রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে। ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জরিমানা বা আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এনবিআর আরও হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।