পাকিস্তান মুসলিম লীগ (এন)–এর সিনিয়র নেতা ও সাবেক সেনেটর (অব.) লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবদুল কায়্যুম বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি কনফেডারেশন প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি বলেন, উভয় দেশ চাইলে সাংবিধানিক কনফেডারেশন গঠন করে জনগণের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য কাজ করতে পারে। পাকিস্তান এক্স-সার্ভিসম্যান সোসাইটির সভাপতি জেনারেল কায়্যুম আরও বলেন, পাকিস্তান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে পূর্ণ সামরিক প্রশিক্ষণ ও সহায়তা দিতে প্রস্তুত।
ভারতের সমালোচনা ও শান্তি প্রস্তাব
জেনারেল কায়্যুম ভারতের ভূমিকাকে সমালোচনা করে বলেন, ভারত যদি কাশ্মীরিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার দেয়, সিন্ধু পানি চুক্তি সম্মান করে এবং পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন বন্ধ করে, তবে ভারতের সঙ্গে শান্তি স্থাপন সম্ভব। তবে বিজেপির হিন্দুত্ববাদী দর্শন ও আরএসএস-নিয়ন্ত্রিত চরমপন্থী সরকার ক্ষমতায় থাকলে শান্তি কঠিন বলে তিনি মনে করেন।
পাকিস্তান-চীন জোট ও ১৯৭১ প্রসঙ্গ
ভারত-ইসরায়েল জোটের বিরুদ্ধে পাকিস্তান ও চীন একটি প্রতিরোধমূলক জোট গঠন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পাকিস্তানের প্রচলিত প্রতিরোধ ক্ষমতা বৈধতা পেয়েছে এবং ভারতীয় দ্রুত শাস্তিমূলক হামলার নীতি ব্যর্থ হয়েছে। ১৯৭১ সালের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ এক জাতি ছিল এবং দুই দেশ একত্রে কাজ করলে দক্ষিণ এশিয়ায় স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি আনতে পারে।
সাম্প্রতিক সম্পর্ক ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
সম্প্রতি বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক উন্নতির লক্ষ্যে দুই দেশের সামরিক কমান্ডাররা বৈঠক করেছেন এবং যৌথ ব্যবসা পরিষদ প্রতিষ্ঠার জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর রাজনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তিত হওয়ায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক উন্নতির নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এই প্রস্তাব ও সম্পর্ক উন্নতির উদ্যোগ দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।