Hi

০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুদ-ঘুষের বিরুদ্ধে বয়ান দেওয়ায় চাকরি হারালেন গাইবান্ধার ইমাম!

গাইবান্ধা, ১৭ জুন ২০২৫: গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার চিকনী সরকার পাড়া জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মো. হামিদুল ইসলাম সুদ, ঘুষ ও জুলুমের বিরুদ্ধে স্পষ্ট বয়ান দেওয়ায় মুসল্লিদের একাংশের অসন্তোষের শিকার হয়ে চাকরি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। প্রায় চার বছর ধরে মসজিদটিতে ইমামতি করলেও ন্যায়ের পক্ষে তার দৃঢ় অবস্থান তাকে চরম মূল্য দিতে হয়েছে।

জানা গেছে, গত বছর জুলাই মাসে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় জুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে তার বয়ান কিছু মুসল্লির রোষের কারণ হয়। তাকে অবমাননাকর ভাষায় গালি দেওয়া হয় এবং পরবর্তীতে সুদ-ঘুষের বিরুদ্ধে বয়ান দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে চাপ বাড়তে থাকে। মসজিদ পরিচালনাকারীদের একাংশ তাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি শুরু করে। গত রমজানে তাকে তারাবির নামাজ পড়াতে বাধা দেওয়া হয়, এমনকি মসজিদের নাম পরিবর্তন করে চিকনী উত্তরপাড়া জামে মসজিদ রাখা হয়।

এদিকে ইমাম হামিদুল ইসলামের পক্ষে কথা বলায় স্থানীয় এক মুসল্লিকেও সামাজিকভাবে সমাজ ছাড়তে বাধ্য করা হয়। শেষ পর্যন্ত চাপ সহ্য করতে না পেরে ইমাম পদত্যাগ করেন। তিনি বলেন, “ধর্মের সত্য কথা বলার কারণে আমাকে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হলো।”

মসজিদ পরিচালনা কমিটির এক সদস্য ঘটনা স্বীকার করে বলেছেন, ইমামকে গালি দেওয়ার ঘটনা সত্য, তবে বিষয়টি আর না বাড়ানোই ভালো। অন্যদিকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ঘটনাটিকে নিন্দনীয় বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বিষয়টি লোকমুখে শুনলেও আনুষ্ঠানিকভাবে তার কাছে উঠে আসেনি বলে জানিয়েছেন।

লেখক সম্পর্কে তথ্য

জনপ্রিয়

জামালগঞ্জে ৪ ব্যাংকের উদ্যোগে প্রকাশ্যে কৃষি ঋণ বিতরণ: ১১ কৃষক পেলেন পৌনে ১৮ লাখ টাকা

সুদ-ঘুষের বিরুদ্ধে বয়ান দেওয়ায় চাকরি হারালেন গাইবান্ধার ইমাম!

আপডেট : ১০:৪৫:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

গাইবান্ধা, ১৭ জুন ২০২৫: গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার চিকনী সরকার পাড়া জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মো. হামিদুল ইসলাম সুদ, ঘুষ ও জুলুমের বিরুদ্ধে স্পষ্ট বয়ান দেওয়ায় মুসল্লিদের একাংশের অসন্তোষের শিকার হয়ে চাকরি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। প্রায় চার বছর ধরে মসজিদটিতে ইমামতি করলেও ন্যায়ের পক্ষে তার দৃঢ় অবস্থান তাকে চরম মূল্য দিতে হয়েছে।

জানা গেছে, গত বছর জুলাই মাসে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় জুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে তার বয়ান কিছু মুসল্লির রোষের কারণ হয়। তাকে অবমাননাকর ভাষায় গালি দেওয়া হয় এবং পরবর্তীতে সুদ-ঘুষের বিরুদ্ধে বয়ান দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে চাপ বাড়তে থাকে। মসজিদ পরিচালনাকারীদের একাংশ তাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি শুরু করে। গত রমজানে তাকে তারাবির নামাজ পড়াতে বাধা দেওয়া হয়, এমনকি মসজিদের নাম পরিবর্তন করে চিকনী উত্তরপাড়া জামে মসজিদ রাখা হয়।

এদিকে ইমাম হামিদুল ইসলামের পক্ষে কথা বলায় স্থানীয় এক মুসল্লিকেও সামাজিকভাবে সমাজ ছাড়তে বাধ্য করা হয়। শেষ পর্যন্ত চাপ সহ্য করতে না পেরে ইমাম পদত্যাগ করেন। তিনি বলেন, “ধর্মের সত্য কথা বলার কারণে আমাকে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হলো।”

মসজিদ পরিচালনা কমিটির এক সদস্য ঘটনা স্বীকার করে বলেছেন, ইমামকে গালি দেওয়ার ঘটনা সত্য, তবে বিষয়টি আর না বাড়ানোই ভালো। অন্যদিকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ঘটনাটিকে নিন্দনীয় বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বিষয়টি লোকমুখে শুনলেও আনুষ্ঠানিকভাবে তার কাছে উঠে আসেনি বলে জানিয়েছেন।