Hi

০১:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ২০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইরানে হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে চীনের কড়া হুঁশিয়ারি: শি জিনপিংয়ের যুক্তরাষ্ট্রকে ‘শিক্ষা নেওয়ার’ আহ্বান

বেইজিং, ১৮ জুন ২০২৫: ইরানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য হস্তক্ষেপ সহজভাবে নিচ্ছে না চীন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্পষ্টভাবে তাদের অবস্থান বিশ্বকে জানিয়ে দিয়েছে। এবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের ‘হম্বিতম্বি’র বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছেন এবং সম্মান হারানোর আগেই যুক্তরাষ্ট্রকে ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) এক ‘এক্স’ (সাবেক টুইটার) বার্তায় প্রেসিডেন্ট শি অতীতের পরাক্রমশালী সাম্রাজ্যগুলোর ধ্বংসের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে তিনি লেখেন, “বিশ্ব যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াই এগিয়ে যেতে পারে।”

ইতিহাসের বিভিন্ন সাম্রাজ্যের উদাহরণ টেনে শি লেখেন:

  • “১০০ বছর আগে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য বিশ্ব বাণিজ্যে আধিপত্য বিস্তার করেছিল। বিশ্বের ২০% এরও বেশি সম্পদ নিয়ন্ত্রণ করেছিল। অনেকে বিশ্বাস করতেন এর সূর্য কখনো অস্ত যাবে না।”
  • “২০০ বছর আগে ফ্রান্স ইউরোপের মঞ্চে প্রভাব বিস্তার করেছিল। এর সেনাবাহিনী ভয়ের কারণ হয়ে উঠেছিল। এর সংস্কৃতি ঈর্ষার বিষয় ছিল। নেপোলিয়ন নিজেকে অমর ঘোষণা করেছিলেন।”
  • “৪০০ বছর আগে স্প্যানিশ রাজত্ব ম্যানিলা থেকে মেক্সিকো পর্যন্ত শাসন করেছিল। এর ধনরাশি বহনকারী জাহাজগুলো রুপো ও রেশমে ভরা ছিল। রাজারা ভেবেছিলেন তাদের গৌরব চিরস্থায়ী হবে।”

শি জিনপিং জোর দিয়ে বলেন, “প্রতিটি সাম্রাজ্য নিজেকে অপরিহার্য বলে ঘোষণা করেছিল। প্রতিটিই শেষ পর্যন্ত ম্লান হয়ে গেছে।” তিনি আরও লেখেন, “ক্ষমতা হ্রাস পায়। প্রভাব স্থানান্তরিত হয়। বৈধতা মুহূর্তেই মরে যায় যখন এটি অর্জনের পরিবর্তে ধারণা করে নেওয়া হয়। প্রতিটি পতনশীল সাম্রাজ্য অতীত থেকে শিখতে দেরি করেছে। আমেরিকা যদি বিশ্বে সম্মান হারায় তবে তারাও সেই দেরিতেই শিখবে। বিশ্ব এগিয়ে যায়; সবসময়।”

অন্য একটি পোস্টে প্রেসিডেন্ট শি মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হস্তক্ষেপের সমালোচনা করেন। তিনি লেখেন, “যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ও পুলিশি কার্যক্রমে আট ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে। হাজার হাজার আমেরিকান সৈন্য মারা গেছে বা গুরুতরভাবে আহত হয়েছে। অন্য পক্ষে লাখ লাখ মানুষ মারা গেছে। মধ্যপ্রাচ্যে যাওয়া (মার্কিনদের) সবচেয়ে খারাপ সিদ্ধান্ত ছিল।”

চীনের এই কড়া বার্তা ইরান ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মহলে নতুন মাত্রা যোগ করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ককে আরও উত্তপ্ত করে তুলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

লেখক সম্পর্কে তথ্য

হাজারো শঙ্খর ধ্বনি ও প্রদীপের আলোয় বিতর্কিত পুজোর– প্রতিমার নিরঞ্জন শোভাযাত্রা।

ইরানে হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে চীনের কড়া হুঁশিয়ারি: শি জিনপিংয়ের যুক্তরাষ্ট্রকে ‘শিক্ষা নেওয়ার’ আহ্বান

আপডেট : ০৬:০৪:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

বেইজিং, ১৮ জুন ২০২৫: ইরানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য হস্তক্ষেপ সহজভাবে নিচ্ছে না চীন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্পষ্টভাবে তাদের অবস্থান বিশ্বকে জানিয়ে দিয়েছে। এবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের ‘হম্বিতম্বি’র বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছেন এবং সম্মান হারানোর আগেই যুক্তরাষ্ট্রকে ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) এক ‘এক্স’ (সাবেক টুইটার) বার্তায় প্রেসিডেন্ট শি অতীতের পরাক্রমশালী সাম্রাজ্যগুলোর ধ্বংসের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে তিনি লেখেন, “বিশ্ব যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াই এগিয়ে যেতে পারে।”

ইতিহাসের বিভিন্ন সাম্রাজ্যের উদাহরণ টেনে শি লেখেন:

  • “১০০ বছর আগে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য বিশ্ব বাণিজ্যে আধিপত্য বিস্তার করেছিল। বিশ্বের ২০% এরও বেশি সম্পদ নিয়ন্ত্রণ করেছিল। অনেকে বিশ্বাস করতেন এর সূর্য কখনো অস্ত যাবে না।”
  • “২০০ বছর আগে ফ্রান্স ইউরোপের মঞ্চে প্রভাব বিস্তার করেছিল। এর সেনাবাহিনী ভয়ের কারণ হয়ে উঠেছিল। এর সংস্কৃতি ঈর্ষার বিষয় ছিল। নেপোলিয়ন নিজেকে অমর ঘোষণা করেছিলেন।”
  • “৪০০ বছর আগে স্প্যানিশ রাজত্ব ম্যানিলা থেকে মেক্সিকো পর্যন্ত শাসন করেছিল। এর ধনরাশি বহনকারী জাহাজগুলো রুপো ও রেশমে ভরা ছিল। রাজারা ভেবেছিলেন তাদের গৌরব চিরস্থায়ী হবে।”

শি জিনপিং জোর দিয়ে বলেন, “প্রতিটি সাম্রাজ্য নিজেকে অপরিহার্য বলে ঘোষণা করেছিল। প্রতিটিই শেষ পর্যন্ত ম্লান হয়ে গেছে।” তিনি আরও লেখেন, “ক্ষমতা হ্রাস পায়। প্রভাব স্থানান্তরিত হয়। বৈধতা মুহূর্তেই মরে যায় যখন এটি অর্জনের পরিবর্তে ধারণা করে নেওয়া হয়। প্রতিটি পতনশীল সাম্রাজ্য অতীত থেকে শিখতে দেরি করেছে। আমেরিকা যদি বিশ্বে সম্মান হারায় তবে তারাও সেই দেরিতেই শিখবে। বিশ্ব এগিয়ে যায়; সবসময়।”

অন্য একটি পোস্টে প্রেসিডেন্ট শি মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হস্তক্ষেপের সমালোচনা করেন। তিনি লেখেন, “যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ও পুলিশি কার্যক্রমে আট ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে। হাজার হাজার আমেরিকান সৈন্য মারা গেছে বা গুরুতরভাবে আহত হয়েছে। অন্য পক্ষে লাখ লাখ মানুষ মারা গেছে। মধ্যপ্রাচ্যে যাওয়া (মার্কিনদের) সবচেয়ে খারাপ সিদ্ধান্ত ছিল।”

চীনের এই কড়া বার্তা ইরান ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মহলে নতুন মাত্রা যোগ করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ককে আরও উত্তপ্ত করে তুলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।