ঢাকা, ১৮ জুন ২০২৫: জাতীয় নির্বাচনের তারিখ সুনির্দিষ্ট হলে দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে শিগগিরই দেশে ফিরবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দেশে ফিরে তিনি রাজধানীর গুলশান এভিনিউর ১৯৬ নম্বর বাড়িতে উঠবেন বলে জানা গেছে। এই বাড়িটি তারেক রহমান থাকার উপযোগী করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে পুরোপুরি প্রস্তুত করা হয়েছে।
বিচারপতি আবদুস সাত্তার সরকারের সময় দেড় বিঘা জমির ওপর নির্মিত এই বাড়িটি পূর্বে খালেদা জিয়ার নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। বাড়িটিতে তিনটি বেডরুম, ড্রয়িংরুম, ডাইনিংরুম, লিভিং রুম, সুইমিং পুলসহ আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। এত বছর বাড়িটি খালেদা জিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এর নামজারি করা ছিল না। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গত ৪ জুন বাড়িটির নামজারির কাগজ খালেদা জিয়ার হাতে তুলে দিয়েছে।
এর আগে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর সিইও (প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা) এ বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ছয় মাস আগে তিনি বাড়িটি ছেড়ে দেন। এরপরই তারেক রহমান থাকার উপযোগী করতে প্রয়োজনীয় সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে এই বাড়িটি বরাদ্দ দেওয়া হয়। এটি গুলশানে তার বর্তমান বাসভবন ‘ফিরোজা’র পাশেই অবস্থিত। এছাড়া ঢাকা সেনানিবাসের ভেতরও আরেকটি বাড়ি খালেদা জিয়াকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর খালেদা জিয়ার সেনানিবাসের ওই বাড়ির বরাদ্দ বাতিল করে তাকে সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয়। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে শহীদ মঈনুল হোসেন রোডের বাড়ি থেকে উচ্ছেদের পর খালেদা জিয়া কিছুদিন ভাই শামীম এস্কান্দারের বাড়িতে ছিলেন। ২০১২ সালের ২১ এপ্রিল তিনি ‘ফিরোজা’য় ওঠেন।
বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীগণ গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন যে, তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানও লন্ডনে ফেরার আগে বাড়িটি ঘুরে দেখে গেছেন।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ৭ মার্চ তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পেয়ে ১১ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য সপরিবারে লন্ডন যান তিনি। তখন থেকেই তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর তারেক রহমান দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান।