Hi

১০:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জামালপুরে চাঁদাবাজির অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হাবিবুর রহমান গ্রেফতার

জামালপুর, ২১ জুন ২০২৫: চাঁদাবাজির অভিযোগে জামালপুর শহরের শাহপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে নগদ ৫০ হাজার টাকাসহ হাবিবুর রহমান (৩৫) নামে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী।

আজ শনিবার সকালে জামালপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু ফয়সল মো. আতিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গতকাল শুক্রবার (২০ জুন) রাত সাড়ে ১১টার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সমন্বয়ে পরিচালিত যৌথবাহিনীর অভিযানে তাকে আটক করা হয়।

গ্রেফতারকৃত হাবিবুর রহমান জামালপুর পৌর এলাকার শাহপুর মহল্লার স্থায়ী বাসিন্দা। তিনি জামালপুর শহর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে একজন পরিচিত মুখ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শহরের শাহপুর এলাকার বাসিন্দা নজরুল ইসলামের কাছে কিছুদিন ধরে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন হাবিবুর রহমান। বিষয়টি নিয়ে নজরুল ইসলাম আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং শেষমেশ জামালপুর সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে যৌথ অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়। শুক্রবার রাতে সেনাবাহিনীর একটি দল এবং পুলিশের সদস্যরা যৌথভাবে শাহপুর এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে হাবিবুর রহমানকে ঘটনাস্থল থেকেই নগদ ৫০ হাজার টাকাসহ চাঁদাবাজির সময় হাতেনাতে আটক করা হয়।

অভিযান ও গ্রেফতারের পর শহরের সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি বিরাজ করছে। অনেকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে গোপনে বিভিন্ন ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করার অভিযোগ ছিল। তবে কেউ মুখ খুলতে সাহস পেতেন না। অবশেষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর পদক্ষেপে চাঁদাবাজ চক্রের এক সদস্য আইনের আওতায় এসেছে—এতে জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

এ বিষয়ে জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সল মো. আতিক বলেন, “ভুক্তভোগীর সরাসরি অভিযোগের ভিত্তিতে আমাদের পক্ষ থেকে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় অভিযানে নামে যৌথবাহিনী। অভিযানে অভিযুক্ত হাবিবুর রহমানকে চাঁদাবাজির অর্থসহ হাতেনাতে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।” ওসি আরও জানান, অপরাধী যতই প্রভাবশালী হোক না কেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

লেখক সম্পর্কে তথ্য

জনপ্রিয়

জামালগঞ্জে ৪ ব্যাংকের উদ্যোগে প্রকাশ্যে কৃষি ঋণ বিতরণ: ১১ কৃষক পেলেন পৌনে ১৮ লাখ টাকা

জামালপুরে চাঁদাবাজির অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হাবিবুর রহমান গ্রেফতার

আপডেট : ০৬:৪১:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

জামালপুর, ২১ জুন ২০২৫: চাঁদাবাজির অভিযোগে জামালপুর শহরের শাহপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে নগদ ৫০ হাজার টাকাসহ হাবিবুর রহমান (৩৫) নামে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী।

আজ শনিবার সকালে জামালপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু ফয়সল মো. আতিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গতকাল শুক্রবার (২০ জুন) রাত সাড়ে ১১টার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সমন্বয়ে পরিচালিত যৌথবাহিনীর অভিযানে তাকে আটক করা হয়।

গ্রেফতারকৃত হাবিবুর রহমান জামালপুর পৌর এলাকার শাহপুর মহল্লার স্থায়ী বাসিন্দা। তিনি জামালপুর শহর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে একজন পরিচিত মুখ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শহরের শাহপুর এলাকার বাসিন্দা নজরুল ইসলামের কাছে কিছুদিন ধরে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন হাবিবুর রহমান। বিষয়টি নিয়ে নজরুল ইসলাম আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং শেষমেশ জামালপুর সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে যৌথ অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়। শুক্রবার রাতে সেনাবাহিনীর একটি দল এবং পুলিশের সদস্যরা যৌথভাবে শাহপুর এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে হাবিবুর রহমানকে ঘটনাস্থল থেকেই নগদ ৫০ হাজার টাকাসহ চাঁদাবাজির সময় হাতেনাতে আটক করা হয়।

অভিযান ও গ্রেফতারের পর শহরের সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি বিরাজ করছে। অনেকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে গোপনে বিভিন্ন ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করার অভিযোগ ছিল। তবে কেউ মুখ খুলতে সাহস পেতেন না। অবশেষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর পদক্ষেপে চাঁদাবাজ চক্রের এক সদস্য আইনের আওতায় এসেছে—এতে জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

এ বিষয়ে জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সল মো. আতিক বলেন, “ভুক্তভোগীর সরাসরি অভিযোগের ভিত্তিতে আমাদের পক্ষ থেকে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় অভিযানে নামে যৌথবাহিনী। অভিযানে অভিযুক্ত হাবিবুর রহমানকে চাঁদাবাজির অর্থসহ হাতেনাতে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।” ওসি আরও জানান, অপরাধী যতই প্রভাবশালী হোক না কেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।