Hi

১০:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ: তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং হাদিসের সেই কালো পতাকাবাহী বাহিনী!

ঢাকা, ২৪ জুন ২০২৫: মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা এখন চরমে। ইরানইসরায়েলের মধ্যে সামরিক সংঘাত প্রতিদিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। বিশ্লেষকরা সতর্ক করছেন, এই যুদ্ধ যদি পূর্ণমাত্রায় শুরু হয়, তবে তা গোটা বিশ্বকে টেনে নিতে পারে এক ভয়াবহ বৈশ্বিক সংঘাতে—যা অনেকের মতে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধেরও সূচনা হতে পারে।


হাদিসে বর্ণিত ভবিষ্যদ্বাণী ও খোরাসানের রহস্য

এই যুদ্ধ পরিস্থিতিকে ঘিরে চমকপ্রদভাবে সামনে এসেছে একটি হাদিস শরীফের উল্লেখ, যেখানে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন এমন একটি সংঘাতের ব্যাপারে। হাদিসে বলা হয়েছে, খোরাসান অঞ্চল থেকে এক বাহিনী কালো পতাকা হাতে রওনা হবে, যাদের প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কারও থাকবে না—যতক্ষণ না তারা বায়তুল মুকাদ্দাস (জেরুজালেম) বিজয় করে।

ইসলামী গবেষকরা ব্যাখ্যা করেন, হাদিসে বর্ণিত খোরাসান অঞ্চল বর্তমান ইরান, আফগানিস্তান ও তুর্কমেনিস্তানের কিছু অংশকে নির্দেশ করে—যার একটি বৃহৎ অংশ আজকের ইরানের অন্তর্গত। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, ইরান থেকেই সেই কালো পতাকাবাহী বাহিনী উঠে আসবে, যারা আল-আকসা মসজিদ পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রাখবে।

বিশ্ববাসীর কাছে গুরুত্বপূর্ণ এই বায়তুল মুকাদ্দাস বর্তমানে ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মতে পূর্ব জেরুজালেম এখনো ফিলিস্তিনের অংশ। ১৯৮০ সালে ইসরায়েল ‘জেরুজালেম আইন’ পাস করে শহরটিকে রাজধানী ঘোষণা করলেও জাতিসংঘ সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করে।


ইমাম মাহদী ও কেয়ামতের লক্ষণ

মহানবী (সা.)-এর আরও একটি হাদিসে বলা হয়েছে, “যখন খোরাসান থেকে কালো পতাকা আসতে দেখবে, তখন তাদের সঙ্গে যোগ দাও। কারণ তাদের মধ্যেই রয়েছেন আল্লাহর খলিফা—ইমাম মাহদী।” এ বক্তব্যের ভিত্তিতে অনেক ইসলামি চিন্তাবিদ মনে করেন, এই যুদ্ধ হবে কেয়ামতের পূর্ব লক্ষণগুলোর অন্যতম এবং সেই বাহিনীর নেতৃত্বে থাকবেন ইমাম মাহদী।

ইতিহাসে বর্ণিত সবচেয়ে ভয়ংকর যুদ্ধ ‘আল-মালহামা’-র সঙ্গেও এই পরিস্থিতির মিল পাওয়া যাচ্ছে। হাদিস অনুযায়ী, এটি এমন এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হবে যার মাধ্যমে ইসলামি খেলাফতের পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে।


বর্তমান সংঘাতের প্রেক্ষাপট

সম্প্রতি উত্তেজনার আগুনে ঘি ঢেলেছে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান। ১৩ জুন “অপারেশন রাইজিং লায়ন” নামে তারা ইরানে হামলা চালায়। এতে উচ্চপর্যায়ের সেনা কর্মকর্তা, পরমাণু বিজ্ঞানী ও সাংবাদিকসহ বহু ব্যক্তি হতাহত হন। জবাবে ইরানও পাল্টা হামলা চালায়, যার ফলে সংঘাত এখন এক নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে।

এই প্রেক্ষাপটে অনেক মুসলিম বিশ্বজুড়ে প্রশ্ন তুলছেন—তবে কি আমরা কেয়ামতের শেষ অধ্যায়ের খুব কাছাকাছি এসে পড়েছি?

এই প্রশ্নের উত্তর একমাত্র জানেন সৃষ্টিকর্তা। তবে পরিস্থিতির প্রতিটি মোড় যেন হাদিসে বর্ণিত সেই ভবিষ্যদ্বাণীকেই স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে বারবার।

লেখক সম্পর্কে তথ্য

জনপ্রিয়

জামালগঞ্জে ৪ ব্যাংকের উদ্যোগে প্রকাশ্যে কৃষি ঋণ বিতরণ: ১১ কৃষক পেলেন পৌনে ১৮ লাখ টাকা

মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ: তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং হাদিসের সেই কালো পতাকাবাহী বাহিনী!

আপডেট : ০৬:১৯:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

ঢাকা, ২৪ জুন ২০২৫: মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা এখন চরমে। ইরানইসরায়েলের মধ্যে সামরিক সংঘাত প্রতিদিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। বিশ্লেষকরা সতর্ক করছেন, এই যুদ্ধ যদি পূর্ণমাত্রায় শুরু হয়, তবে তা গোটা বিশ্বকে টেনে নিতে পারে এক ভয়াবহ বৈশ্বিক সংঘাতে—যা অনেকের মতে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধেরও সূচনা হতে পারে।


হাদিসে বর্ণিত ভবিষ্যদ্বাণী ও খোরাসানের রহস্য

এই যুদ্ধ পরিস্থিতিকে ঘিরে চমকপ্রদভাবে সামনে এসেছে একটি হাদিস শরীফের উল্লেখ, যেখানে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন এমন একটি সংঘাতের ব্যাপারে। হাদিসে বলা হয়েছে, খোরাসান অঞ্চল থেকে এক বাহিনী কালো পতাকা হাতে রওনা হবে, যাদের প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কারও থাকবে না—যতক্ষণ না তারা বায়তুল মুকাদ্দাস (জেরুজালেম) বিজয় করে।

ইসলামী গবেষকরা ব্যাখ্যা করেন, হাদিসে বর্ণিত খোরাসান অঞ্চল বর্তমান ইরান, আফগানিস্তান ও তুর্কমেনিস্তানের কিছু অংশকে নির্দেশ করে—যার একটি বৃহৎ অংশ আজকের ইরানের অন্তর্গত। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, ইরান থেকেই সেই কালো পতাকাবাহী বাহিনী উঠে আসবে, যারা আল-আকসা মসজিদ পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রাখবে।

বিশ্ববাসীর কাছে গুরুত্বপূর্ণ এই বায়তুল মুকাদ্দাস বর্তমানে ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মতে পূর্ব জেরুজালেম এখনো ফিলিস্তিনের অংশ। ১৯৮০ সালে ইসরায়েল ‘জেরুজালেম আইন’ পাস করে শহরটিকে রাজধানী ঘোষণা করলেও জাতিসংঘ সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করে।


ইমাম মাহদী ও কেয়ামতের লক্ষণ

মহানবী (সা.)-এর আরও একটি হাদিসে বলা হয়েছে, “যখন খোরাসান থেকে কালো পতাকা আসতে দেখবে, তখন তাদের সঙ্গে যোগ দাও। কারণ তাদের মধ্যেই রয়েছেন আল্লাহর খলিফা—ইমাম মাহদী।” এ বক্তব্যের ভিত্তিতে অনেক ইসলামি চিন্তাবিদ মনে করেন, এই যুদ্ধ হবে কেয়ামতের পূর্ব লক্ষণগুলোর অন্যতম এবং সেই বাহিনীর নেতৃত্বে থাকবেন ইমাম মাহদী।

ইতিহাসে বর্ণিত সবচেয়ে ভয়ংকর যুদ্ধ ‘আল-মালহামা’-র সঙ্গেও এই পরিস্থিতির মিল পাওয়া যাচ্ছে। হাদিস অনুযায়ী, এটি এমন এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হবে যার মাধ্যমে ইসলামি খেলাফতের পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে।


বর্তমান সংঘাতের প্রেক্ষাপট

সম্প্রতি উত্তেজনার আগুনে ঘি ঢেলেছে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান। ১৩ জুন “অপারেশন রাইজিং লায়ন” নামে তারা ইরানে হামলা চালায়। এতে উচ্চপর্যায়ের সেনা কর্মকর্তা, পরমাণু বিজ্ঞানী ও সাংবাদিকসহ বহু ব্যক্তি হতাহত হন। জবাবে ইরানও পাল্টা হামলা চালায়, যার ফলে সংঘাত এখন এক নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে।

এই প্রেক্ষাপটে অনেক মুসলিম বিশ্বজুড়ে প্রশ্ন তুলছেন—তবে কি আমরা কেয়ামতের শেষ অধ্যায়ের খুব কাছাকাছি এসে পড়েছি?

এই প্রশ্নের উত্তর একমাত্র জানেন সৃষ্টিকর্তা। তবে পরিস্থিতির প্রতিটি মোড় যেন হাদিসে বর্ণিত সেই ভবিষ্যদ্বাণীকেই স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে বারবার।