Hi

১০:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জুলাই যোদ্ধাদের জন্য সুখবর: আগামী মাস থেকে ভাতা, আজীবন বিনামূল্যে চিকিৎসা!

ঢাকা, ২৪ জুন ২০২৫: গণ-অভ্যুত্থানে আহত ‘জুলাই যোদ্ধারা’ আগামী মাস থেকে মাসিক ভাতা পাবেন বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। গতকাল সোমবার বাসসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, মাসিক ভাতার পাশাপাশি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত যোদ্ধারা আজীবন সরকারি মেডিক্যাল হাসপাতালগুলোতে বিনা খরচে চিকিৎসাসেবা পাবেন। স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ‘জুলাই যোদ্ধারা’ ক্যাটাগরি অনুযায়ী এককালীন ও মাসিক ভাতা পাবেন।


জুলাই শহীদ ও যোদ্ধাদের স্বীকৃতি ও সুবিধা

জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের ‘জুলাই শহীদ’ এবং আহতদের ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে নাম ঘোষণা করা হয়েছে। আহত জুলাই যোদ্ধারা তাদের আঘাতের মাত্রা অনুযায়ী তিন ক্যাটাগরিতে (এ, বি, সি) মাসিক ভাতা পাবেন:

  • ক্যাটাগরি ‘এ’: মাসে ২০ হাজার টাকা। এই ক্যাটাগরিতে রয়েছেন ৪৯৩ জন যোদ্ধা, যারা গুরুতর আহত হয়ে অন্যের সহায়তা ছাড়া জীবনযাপন করতে পারছেন না (যেমন: যাদের দুটি চোখই অন্ধ হয়ে গেছে বা চলাচলে অক্ষম)। তারা এককালীন ৫ লাখ টাকা পাবেন, যার মধ্যে ২ লাখ টাকা ইতোমধ্যে পেয়েছেন এবং বাকি ৩ লাখ টাকা আগামী জুলাই মাসে পাবেন। এ ছাড়া তারা বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে আজীবন চিকিৎসাসেবা, উপযুক্ত মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশে দেশি-বিদেশি হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা, কর্মসহায়ক প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন সুবিধা এবং পরিচয়পত্র পাবেন। গুরুতর আহত ৭ জনকে ইতোমধ্যে তুরস্কে এবং অনেককে থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।

  • ‘ক্যাটাগরি-বি’: মাসে ১৫ হাজার টাকা। এই ক্যাটাগরিতে রয়েছেন ৯০৮ জন যোদ্ধা, যারা গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন কিন্তু অন্যের আংশিক সহায়তায় মোটামুটি চলাফেরা করতে পারেন (যেমন: যাদের এক চোখ বা এক পা নষ্ট হয়ে গেছে)। তারা এককালীন ৩ লাখ টাকা পাবেন, যার মধ্যে ১ লাখ টাকা ২০২৪-২৫ অর্থবছরে পেয়েছেন এবং বাকি ২ লাখ টাকা আগামী মাসে পাবেন। পাশাপাশি তারা প্রশিক্ষণ ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরকারি ও আধা-সরকারি কর্মসংস্থানে চাকরি এবং পরিচয়পত্র পাবেন।

  • ‘ক্যাটাগরি-সি’: মাসে ১০ হাজার টাকা। চিকিৎসার পর বর্তমানে যারা সুস্থ তাদের এই ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ১০ হাজার ৬৪২ জন ‘জুলাই যোদ্ধাকে’ এই ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তারা এককালীন ১ লাখ টাকা পেয়েছেন এবং আগামী মাস থেকে মাসিক ভাতা পাবেন। একই সাথে তারা পুনর্বাসন সুবিধা ও পরিচয়পত্র পাচ্ছেন।


শহীদ পরিবার ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়া

উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম জানান, গেজেট আকারে ৮৩৪ জন ‘জুলাই শহীদের’ তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। প্রত্যেক জুলাই শহীদ পরিবার এককালীন ৩০ লাখ টাকা পাবে। এর মধ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১০ লাখ টাকা জাতীয় সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে এবং বাকি ২০ লাখ টাকা ২০২৫-২৬ অর্থবছরে, অর্থাৎ আগামী জুলাই মাসে দেওয়া হবে। শহীদ পরিবারকে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা ভাতা দেওয়া হবে এবং শহীদ পরিবারের সক্ষম সদস্যরা সরকারি ও আধা-সরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার পাবেন।


সরকারের আন্তরিকতা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়নে ৫৪ বছর লাগলেও, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মাত্র সাত-আট মাসের মধ্যে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শহীদ ও আহতদের চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করেছে। এটিকে তিনি সরকারের আন্তরিকতা ও দায়িত্ববোধের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি আরও জানান, আগামীতে আহত যোদ্ধারা যাতে তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি বা ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারেন, সেভাবে তাদের পুনর্বাসনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে।

জুলাই যোদ্ধাদের পুনর্বাসনের জন্য ইতোমধ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ১০ম তলায় একটি আলাদা অধিদপ্তর স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে ২০ জন কর্মকর্তা জুলাই যোদ্ধাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সার্বক্ষণিক কাজ করছেন। উপদেষ্টা বলেন, জুলাই যোদ্ধারা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ, এবং বাংলাদেশ তাদের ত্যাগকে আজীবন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।


নিখোঁজদের সন্ধান ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস

ফারুক-ই-আজম আরও জানান, যদি গণ-অভ্যুত্থানের এতোদিন পরেও কেউ অধিদপ্তরে এসে অভিযোগ করেন যে তার কোনো স্বজন নিখোঁজ রয়েছেন এবং তার সন্ধান চান, সেক্ষেত্রে যাদের গণকবর দেওয়া হয়েছে সেখান থেকে ডিএনএ সংগ্রহ করে হলেও সরকার আন্তরিকতার সাথে বিষয়টি বিবেচনা করবে।

এছাড়া, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রতি বছর ৫ আগস্টকে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। এটি জাতীয় দিবস হিসেবে আগামীতে যথাযথ গুরুত্ব সহকারে পালন করা হবে। উপদেষ্টা আশা করেন, ৮৩৪ শহীদ পরিবারের মধ্যে ওয়ারিশ জটিলতার কারণে যেসব পাওনা পরিশোধে বিলম্ব হচ্ছে, তা দ্রুত সমাধান করা সম্ভব হবে। আহত যোদ্ধাদের তালিকায় যেসব ভুল পরিলক্ষিত হয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে সেগুলোরও সমাধান করা হচ্ছে।


ট্যাগ :
লেখক সম্পর্কে তথ্য

জনপ্রিয়

জামালগঞ্জে ৪ ব্যাংকের উদ্যোগে প্রকাশ্যে কৃষি ঋণ বিতরণ: ১১ কৃষক পেলেন পৌনে ১৮ লাখ টাকা

জুলাই যোদ্ধাদের জন্য সুখবর: আগামী মাস থেকে ভাতা, আজীবন বিনামূল্যে চিকিৎসা!

আপডেট : ০৮:২১:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

ঢাকা, ২৪ জুন ২০২৫: গণ-অভ্যুত্থানে আহত ‘জুলাই যোদ্ধারা’ আগামী মাস থেকে মাসিক ভাতা পাবেন বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। গতকাল সোমবার বাসসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, মাসিক ভাতার পাশাপাশি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত যোদ্ধারা আজীবন সরকারি মেডিক্যাল হাসপাতালগুলোতে বিনা খরচে চিকিৎসাসেবা পাবেন। স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ‘জুলাই যোদ্ধারা’ ক্যাটাগরি অনুযায়ী এককালীন ও মাসিক ভাতা পাবেন।


জুলাই শহীদ ও যোদ্ধাদের স্বীকৃতি ও সুবিধা

জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের ‘জুলাই শহীদ’ এবং আহতদের ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে নাম ঘোষণা করা হয়েছে। আহত জুলাই যোদ্ধারা তাদের আঘাতের মাত্রা অনুযায়ী তিন ক্যাটাগরিতে (এ, বি, সি) মাসিক ভাতা পাবেন:

  • ক্যাটাগরি ‘এ’: মাসে ২০ হাজার টাকা। এই ক্যাটাগরিতে রয়েছেন ৪৯৩ জন যোদ্ধা, যারা গুরুতর আহত হয়ে অন্যের সহায়তা ছাড়া জীবনযাপন করতে পারছেন না (যেমন: যাদের দুটি চোখই অন্ধ হয়ে গেছে বা চলাচলে অক্ষম)। তারা এককালীন ৫ লাখ টাকা পাবেন, যার মধ্যে ২ লাখ টাকা ইতোমধ্যে পেয়েছেন এবং বাকি ৩ লাখ টাকা আগামী জুলাই মাসে পাবেন। এ ছাড়া তারা বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে আজীবন চিকিৎসাসেবা, উপযুক্ত মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশে দেশি-বিদেশি হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা, কর্মসহায়ক প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন সুবিধা এবং পরিচয়পত্র পাবেন। গুরুতর আহত ৭ জনকে ইতোমধ্যে তুরস্কে এবং অনেককে থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।

  • ‘ক্যাটাগরি-বি’: মাসে ১৫ হাজার টাকা। এই ক্যাটাগরিতে রয়েছেন ৯০৮ জন যোদ্ধা, যারা গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন কিন্তু অন্যের আংশিক সহায়তায় মোটামুটি চলাফেরা করতে পারেন (যেমন: যাদের এক চোখ বা এক পা নষ্ট হয়ে গেছে)। তারা এককালীন ৩ লাখ টাকা পাবেন, যার মধ্যে ১ লাখ টাকা ২০২৪-২৫ অর্থবছরে পেয়েছেন এবং বাকি ২ লাখ টাকা আগামী মাসে পাবেন। পাশাপাশি তারা প্রশিক্ষণ ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরকারি ও আধা-সরকারি কর্মসংস্থানে চাকরি এবং পরিচয়পত্র পাবেন।

  • ‘ক্যাটাগরি-সি’: মাসে ১০ হাজার টাকা। চিকিৎসার পর বর্তমানে যারা সুস্থ তাদের এই ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ১০ হাজার ৬৪২ জন ‘জুলাই যোদ্ধাকে’ এই ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তারা এককালীন ১ লাখ টাকা পেয়েছেন এবং আগামী মাস থেকে মাসিক ভাতা পাবেন। একই সাথে তারা পুনর্বাসন সুবিধা ও পরিচয়পত্র পাচ্ছেন।


শহীদ পরিবার ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়া

উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম জানান, গেজেট আকারে ৮৩৪ জন ‘জুলাই শহীদের’ তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। প্রত্যেক জুলাই শহীদ পরিবার এককালীন ৩০ লাখ টাকা পাবে। এর মধ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১০ লাখ টাকা জাতীয় সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে এবং বাকি ২০ লাখ টাকা ২০২৫-২৬ অর্থবছরে, অর্থাৎ আগামী জুলাই মাসে দেওয়া হবে। শহীদ পরিবারকে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা ভাতা দেওয়া হবে এবং শহীদ পরিবারের সক্ষম সদস্যরা সরকারি ও আধা-সরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার পাবেন।


সরকারের আন্তরিকতা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়নে ৫৪ বছর লাগলেও, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মাত্র সাত-আট মাসের মধ্যে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শহীদ ও আহতদের চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করেছে। এটিকে তিনি সরকারের আন্তরিকতা ও দায়িত্ববোধের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি আরও জানান, আগামীতে আহত যোদ্ধারা যাতে তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি বা ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারেন, সেভাবে তাদের পুনর্বাসনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে।

জুলাই যোদ্ধাদের পুনর্বাসনের জন্য ইতোমধ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ১০ম তলায় একটি আলাদা অধিদপ্তর স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে ২০ জন কর্মকর্তা জুলাই যোদ্ধাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সার্বক্ষণিক কাজ করছেন। উপদেষ্টা বলেন, জুলাই যোদ্ধারা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ, এবং বাংলাদেশ তাদের ত্যাগকে আজীবন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।


নিখোঁজদের সন্ধান ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস

ফারুক-ই-আজম আরও জানান, যদি গণ-অভ্যুত্থানের এতোদিন পরেও কেউ অধিদপ্তরে এসে অভিযোগ করেন যে তার কোনো স্বজন নিখোঁজ রয়েছেন এবং তার সন্ধান চান, সেক্ষেত্রে যাদের গণকবর দেওয়া হয়েছে সেখান থেকে ডিএনএ সংগ্রহ করে হলেও সরকার আন্তরিকতার সাথে বিষয়টি বিবেচনা করবে।

এছাড়া, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রতি বছর ৫ আগস্টকে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। এটি জাতীয় দিবস হিসেবে আগামীতে যথাযথ গুরুত্ব সহকারে পালন করা হবে। উপদেষ্টা আশা করেন, ৮৩৪ শহীদ পরিবারের মধ্যে ওয়ারিশ জটিলতার কারণে যেসব পাওনা পরিশোধে বিলম্ব হচ্ছে, তা দ্রুত সমাধান করা সম্ভব হবে। আহত যোদ্ধাদের তালিকায় যেসব ভুল পরিলক্ষিত হয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে সেগুলোরও সমাধান করা হচ্ছে।