Hi

০৪:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইরান কি পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে? তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের চাঞ্চল্যকর মন্তব্য!

তেহরান, ২৪ জুন ২০২৫: আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ইরানের এনপিটি (পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি) থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফোয়াদ ইজাদি

কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ইরান আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা’র (IAEA) সাথে সহযোগিতা করে আসছে কারণ দেশটি পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির (NPT) সদস্য। কিন্তু এই সহযোগিতা তেহরানের জন্য কোনও লাভজনক বলে বিবেচিত হয়নি।

তাই ইরান সম্ভবত চুক্তির ১০ নম্বর অনুচ্ছেদ ব্যবহার করবে, যা একটি সদস্য দেশকে চুক্তিটি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পথ তৈরি করে দেয়। তিনি আরও বলেন, এনপিটি চুক্তির সদস্য হতেই হবে বিষয়টি এমন নয়, এমন কোনো বাধ্যবাধকতাও নেই। পৃথিবীতে এমন অনেক দেশ আছে যারা সদস্য নয়, যেমন—ইসরায়েল। আর বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনায় ইরানেরও সেখানে থাকার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।

কারণ হিসেবে অধ্যাপক ফোয়াদ ইজাদি বলেন, আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার তত্ত্বাবধানে থাকা ইরানি পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে যে আক্রমণ হয়েছে, তা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি। অথচ এই চুক্তির আওতায় থাকার কারণে স্থাপনাগুলো হামলা থেকে মুক্ত থাকার কথা ছিল। যেহেতু এমনটা হয়নি, তাই আর এনপিটিতে থাকার প্রয়োজন নেই। পার্লামেন্টের অধিকাংশ সদস্যও এ থেকে বের হতে চায় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এ সময়, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ইরানে এই বিষয়ে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে বলেও মনে করেন তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক।

লেখক সম্পর্কে তথ্য

জনপ্রিয়

জামালগঞ্জে ৪ ব্যাংকের উদ্যোগে প্রকাশ্যে কৃষি ঋণ বিতরণ: ১১ কৃষক পেলেন পৌনে ১৮ লাখ টাকা

ইরান কি পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে? তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের চাঞ্চল্যকর মন্তব্য!

আপডেট : ১০:২১:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

তেহরান, ২৪ জুন ২০২৫: আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ইরানের এনপিটি (পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি) থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফোয়াদ ইজাদি

কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ইরান আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা’র (IAEA) সাথে সহযোগিতা করে আসছে কারণ দেশটি পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির (NPT) সদস্য। কিন্তু এই সহযোগিতা তেহরানের জন্য কোনও লাভজনক বলে বিবেচিত হয়নি।

তাই ইরান সম্ভবত চুক্তির ১০ নম্বর অনুচ্ছেদ ব্যবহার করবে, যা একটি সদস্য দেশকে চুক্তিটি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পথ তৈরি করে দেয়। তিনি আরও বলেন, এনপিটি চুক্তির সদস্য হতেই হবে বিষয়টি এমন নয়, এমন কোনো বাধ্যবাধকতাও নেই। পৃথিবীতে এমন অনেক দেশ আছে যারা সদস্য নয়, যেমন—ইসরায়েল। আর বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনায় ইরানেরও সেখানে থাকার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।

কারণ হিসেবে অধ্যাপক ফোয়াদ ইজাদি বলেন, আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার তত্ত্বাবধানে থাকা ইরানি পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে যে আক্রমণ হয়েছে, তা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি। অথচ এই চুক্তির আওতায় থাকার কারণে স্থাপনাগুলো হামলা থেকে মুক্ত থাকার কথা ছিল। যেহেতু এমনটা হয়নি, তাই আর এনপিটিতে থাকার প্রয়োজন নেই। পার্লামেন্টের অধিকাংশ সদস্যও এ থেকে বের হতে চায় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এ সময়, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ইরানে এই বিষয়ে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে বলেও মনে করেন তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক।