Hi

০৩:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ট্রাম্পের কঠোর হুঁশিয়ারি উপেক্ষা: ইসরায়েলকে ‘বোমা না ফেলার’ আহ্বান!

ওয়াশিংটন/জেরুজালেম, ২৪ জুন ২০২৫: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলকে ইরানে বোমা হামলা না চালানোর জন্য কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।1 মঙ্গলবার (২৪ জুন) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনালাপে তিনি বলেন, “ইসরায়েল, বোমা ফেলো না। যদি ফেলো, তা হবে একটি বড় ধরনের চুক্তিভঙ্গ। তোমাদের পাইলটদের এখনই ফিরিয়ে আনো!”

 

যুদ্ধবিরতির মধ্যেই হামলার ঘটনা

এএফপি, অ্যাক্সিওস ও আল জাজিরার খবরে জানা যায়, ট্রাম্প এই ফোনালাপের কয়েক ঘণ্টা আগে ঘোষণা দেন যে, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।

তবে ট্রাম্পের সরাসরি অনুরোধের পরও নেতানিয়াহু জানান, তিনি হামলা বাতিল করতে পারবেন না। তার দাবি, ইরান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে এবং বর্তমান হামলাটি ‘অত্যাবশ্যক’অ্যাক্সিওসের তথ্য অনুযায়ী, নেতানিয়াহু আশ্বস্ত করেন যে, হামলাটি সীমিত পরিসরে পরিচালিত হবে এবং একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে নয়, বরং একটি নির্দিষ্ট টার্গেটেই আঘাত হানবে ইসরায়েলি বাহিনী।

ট্রাম্প তার মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এও একই কড়া বার্তা দেন। তিনি লেখেন, “ইসরায়েল, বোমা ফেলো না। যদি ফেলো, তা হবে একটি বড় ধরনের চুক্তিভঙ্গ। তোমাদের পাইলটদের এখনই ফিরিয়ে আনো!” ট্রাম্পের এই আহ্বানের পেছনে যুক্তি ছিল, যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা। তার ঘোষণায় বলা হয়, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে এবং ইরানও ইঙ্গিত দিয়েছে, ইসরায়েল হামলা বন্ধ করলে তারাও হামলা চালাবে না।

তবে একই সময়ে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানায়, তারা ইরানের ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করেছে।2 এদিকে তেহরান থেকে দাবি করা হয়েছে, তারা নতুন কোনো হামলা চালায়নি।


যুদ্ধবিরতি নিয়ে সংশয় ও উত্তেজনা

এই ঘটনার ফলে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধবিরতির বাস্তবতা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে এবং পরিস্থিতি নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।

লেখক সম্পর্কে তথ্য

জনপ্রিয়

জামালগঞ্জে ৪ ব্যাংকের উদ্যোগে প্রকাশ্যে কৃষি ঋণ বিতরণ: ১১ কৃষক পেলেন পৌনে ১৮ লাখ টাকা

ট্রাম্পের কঠোর হুঁশিয়ারি উপেক্ষা: ইসরায়েলকে ‘বোমা না ফেলার’ আহ্বান!

আপডেট : ০২:১২:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

ওয়াশিংটন/জেরুজালেম, ২৪ জুন ২০২৫: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলকে ইরানে বোমা হামলা না চালানোর জন্য কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।1 মঙ্গলবার (২৪ জুন) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনালাপে তিনি বলেন, “ইসরায়েল, বোমা ফেলো না। যদি ফেলো, তা হবে একটি বড় ধরনের চুক্তিভঙ্গ। তোমাদের পাইলটদের এখনই ফিরিয়ে আনো!”

 

যুদ্ধবিরতির মধ্যেই হামলার ঘটনা

এএফপি, অ্যাক্সিওস ও আল জাজিরার খবরে জানা যায়, ট্রাম্প এই ফোনালাপের কয়েক ঘণ্টা আগে ঘোষণা দেন যে, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।

তবে ট্রাম্পের সরাসরি অনুরোধের পরও নেতানিয়াহু জানান, তিনি হামলা বাতিল করতে পারবেন না। তার দাবি, ইরান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে এবং বর্তমান হামলাটি ‘অত্যাবশ্যক’অ্যাক্সিওসের তথ্য অনুযায়ী, নেতানিয়াহু আশ্বস্ত করেন যে, হামলাটি সীমিত পরিসরে পরিচালিত হবে এবং একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে নয়, বরং একটি নির্দিষ্ট টার্গেটেই আঘাত হানবে ইসরায়েলি বাহিনী।

ট্রাম্প তার মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এও একই কড়া বার্তা দেন। তিনি লেখেন, “ইসরায়েল, বোমা ফেলো না। যদি ফেলো, তা হবে একটি বড় ধরনের চুক্তিভঙ্গ। তোমাদের পাইলটদের এখনই ফিরিয়ে আনো!” ট্রাম্পের এই আহ্বানের পেছনে যুক্তি ছিল, যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা। তার ঘোষণায় বলা হয়, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে এবং ইরানও ইঙ্গিত দিয়েছে, ইসরায়েল হামলা বন্ধ করলে তারাও হামলা চালাবে না।

তবে একই সময়ে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানায়, তারা ইরানের ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করেছে।2 এদিকে তেহরান থেকে দাবি করা হয়েছে, তারা নতুন কোনো হামলা চালায়নি।


যুদ্ধবিরতি নিয়ে সংশয় ও উত্তেজনা

এই ঘটনার ফলে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধবিরতির বাস্তবতা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে এবং পরিস্থিতি নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।