ঢাকা, ১৬ জুলাই ২০২৫: পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ড ইস্যুতে এবার চাঞ্চল্যকর অগ্রগতি! এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পটুয়াখালী থেকে রেজওয়ান নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে আজ ঘোষণা করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। তবে, ডিএমপি কমিশনার জোর দিয়ে বলেছেন, সোহাগ হত্যাকাণ্ডে কোনো রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নেই।
হত্যাকাণ্ডের পর ‘মব তৈরির চেষ্টা’: পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপ!
আজ বুধবার (১৬ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী জানান, “হত্যার পর অভিযুক্তরা মব তৈরির চেষ্টা করে। পুলিশ বুঝতে পেরে সেই মব থেকেই মহিন ও রবিন নামের দুজনকে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেফতার করে।” পুলিশের এই দ্রুত পদক্ষেপই আরও ৯ জন অভিযুক্তকে শনাক্ত ও গ্রেফতার করতে সাহায্য করেছে।
“রাজনৈতিক পরিচয় থাকতে পারে, তবে হত্যাকাণ্ডে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নেই” – ডিএমপি কমিশনার
যদিও অভিযুক্তদের রাজনৈতিক পরিচয় থাকতে পারে, তবে ডিএমপি কমিশনার দৃঢ়ভাবে বলেছেন যে, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নেই। তার এই মন্তব্য জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে, কারণ অনেক সময় এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পেছনে ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য থাকে বলে সাধারণের বিশ্বাস।
উল্লেখ্য, গত ৯ জুলাই মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর ফটকের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে প্রকাশ্যে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। কংক্রিটের বোল্ডার দিয়ে তার শরীর ও মাথা থেঁতলে দেওয়া হয়েছিল, যা পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। এ ঘটনায় তার বোন মঞ্জুয়ারা বেগম বাদী হয়ে পরেরদিন একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে প্রকৃত কারণ কী এবং কেন এমন নৃশংসভাবে সোহাগকে হত্যা করা হলো, তা নিয়ে এখনো জনমনে প্রশ্ন রয়ে গেছে। পুলিশ যদিও ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে এবং রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছে, তবু এই মামলার চূড়ান্ত ফয়সালা এবং প্রকৃত সত্য উদঘাটনের দিকেই তাকিয়ে আছে সাধারণ মানুষ।
ট্যাগস: #সোহাগহত্যা #মিটফোর্ডহাসপাতাল #পুরানঢাকা #ডিএমপিকমিশনার #রেজওয়ানগ্রেফতার #নৃশংসহত্যা #ব্রেকিংনিউজ #পুলিশেরতদন্ত #হত্যাকাণ্ড