Hi

০৫:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ব্রেকিং: মিটফোর্ডের সোহাগ হত্যাকাণ্ড: রহস্য ফাঁস! ১৭ বছর ধরে ‘পিল্লু কমিশনারের ছত্রছায়ায়’ চলতো চুরি করা তারের ব্যবসা! ডিএমপি’র বিস্ফোরক তথ্য: ‘ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বেই খুন!’

  • আপডেট : ০৯:১১:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
  • ৭৩৫ জন দেখেছে

ঢাকা, ১৬ জুলাই ২০২৫: পুরান ঢাকার মিটফোর্ড এলাকায় আলোচিত ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ডের পেছনের ভয়ংকর রহস্য এবার উন্মোচিত হয়েছে! নিহত লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ ১৭ বছর ধরে ‘হাজী সেলিমের ভাতিজা পিল্লু কমিশনারের ছত্রছায়ায়’ অবৈধভাবে পল্লী বিদ্যুতের অ্যালুমিনিয়ামের তারের ব্যবসা করতেন বলে বিস্ফোরক তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) এস এম মো. নজরুল ইসলাম। আজ বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সোহাগ হত্যা মামলার অগ্রগতি প্রসঙ্গে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই তথ্য প্রকাশ করেন।


 

চাঁদাবাজি নয়, ‘তার চুরি’ আর ‘ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বেই’ সোহাগ খুন!

 

অতিরিক্ত কমিশনার নজরুল ইসলাম চাঁদাবাজির প্রশ্ন উড়িয়ে দিয়ে সরাসরি বলেন, “চাঁদাবাজি ওইভাবে না, এটা ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ছিল।” তিনি আরও জানান, নিহত সোহাগ একসময় হাজী সেলিমের ভাতিজা পিল্লু কমিশনারের ছত্রছায়ায় অ্যালুমিনিয়ামের পল্লী বিদ্যুতের তারের ব্যবসা করতেন।1 “পল্লী বিদ্যুতের যে তার চুরি হতো সেই তার কিনে বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে বিক্রি করতেন। বিগত ১৭ বছর এই কাজ করেছেন নিহত সোহাগ।” ডিএমপি’র এই তথ্য রীতিমতো বোম্বশেল ফেলে দিয়েছে জনমনে।

 


 

৫ আগস্টের পটপরিবর্তন ও নতুন সংঘাত: ‘ভোল পাল্টে আসে সোহাগ!’

 

পুলিশের এই শীর্ষ কর্মকর্তা ব্যাখ্যা করেন, “৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের ফলে সোহাগ তার ভোল পালটে এদিকে আসেন। আরেকটি গ্রুপ তখন আরেকটি ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িয়ে যায়। তখন ব্যবসায়িক বিভেদ তৈরি হয়েছে উভয়ের মধ্যে।” তিনি আরও বলেন, উভয়পক্ষই আগে থেকেই পূর্ব পরিচিত ছিল এবং এই ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ও কোন্দল থেকেই হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছে।


 

পরিকল্পিত নয়, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যও নেই: ডিএমপি!

 

সোহাগ হত্যাকাণ্ডটি পরিকল্পিত ছিল কিনা এবং সামনে নির্বাচনকে ব্যাহত করার জন্য কোনো একটি মহল এ ধরনের মিশনে নেমেছে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার নজরুল ইসলাম বলেন, “আমাদের কাছে এমন মনে হয়নি। ব্যক্তিগত এবং ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব, এই দ্বন্দ্ব থেকেই হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছে। নির্বাচনকে প্রভাবিত করা কিংবা সরকারকে বেকায়দায় ফেলানো বা অন্য কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে এ হত্যাকাণ্ড হয়নি, এখন পর্যন্ত তদন্তে এতটুকু পাওয়া গেছে।”

কোনো রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া গেছে কি না জানতে চাইলে সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, “রাজনৈতিক পরিচয় যে কোনো ব্যক্তির থাকতে পারে। যে কোনো নাগরিক যে কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য, নেতা হতেই পারেন। সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ, এই ঘটনার রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই।”

ডিএমপি’র এই সংবাদ সম্মেলন সোহাগ হত্যার পেছনের অনেক ধোঁয়াশা পরিষ্কার করে দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে চলা একটি অবৈধ ব্যবসার সাম্রাজ্য এবং ক্ষমতার পটপরিবর্তনের সঙ্গে আসা নতুন সংঘাতই যে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ, তা এখন অনেকটাই স্পষ্ট।


ট্যাগস: #সোহাগহত্যা #মিটফোর্ডহাসপাতাল #পুরানঢাকা #ডিএমপিকমিশনার #হাজিসেলিম #পিল্লুকমিশনার #অবৈধব্যবসা #তারচুরি #ব্যবসায়িকদ্বন্দ্ব #ব্রেকিংনিউজ #অপরাধতদন্ত

ট্যাগ :
লেখক সম্পর্কে তথ্য

পলাতক হাসিনার জন্মদিন পালন ও গোপন বৈঠক, কলেজ অধ্যক্ষ বেলাল গ্রেফতার

ব্রেকিং: মিটফোর্ডের সোহাগ হত্যাকাণ্ড: রহস্য ফাঁস! ১৭ বছর ধরে ‘পিল্লু কমিশনারের ছত্রছায়ায়’ চলতো চুরি করা তারের ব্যবসা! ডিএমপি’র বিস্ফোরক তথ্য: ‘ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বেই খুন!’

আপডেট : ০৯:১১:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

ঢাকা, ১৬ জুলাই ২০২৫: পুরান ঢাকার মিটফোর্ড এলাকায় আলোচিত ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ডের পেছনের ভয়ংকর রহস্য এবার উন্মোচিত হয়েছে! নিহত লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ ১৭ বছর ধরে ‘হাজী সেলিমের ভাতিজা পিল্লু কমিশনারের ছত্রছায়ায়’ অবৈধভাবে পল্লী বিদ্যুতের অ্যালুমিনিয়ামের তারের ব্যবসা করতেন বলে বিস্ফোরক তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) এস এম মো. নজরুল ইসলাম। আজ বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সোহাগ হত্যা মামলার অগ্রগতি প্রসঙ্গে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই তথ্য প্রকাশ করেন।


 

চাঁদাবাজি নয়, ‘তার চুরি’ আর ‘ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বেই’ সোহাগ খুন!

 

অতিরিক্ত কমিশনার নজরুল ইসলাম চাঁদাবাজির প্রশ্ন উড়িয়ে দিয়ে সরাসরি বলেন, “চাঁদাবাজি ওইভাবে না, এটা ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ছিল।” তিনি আরও জানান, নিহত সোহাগ একসময় হাজী সেলিমের ভাতিজা পিল্লু কমিশনারের ছত্রছায়ায় অ্যালুমিনিয়ামের পল্লী বিদ্যুতের তারের ব্যবসা করতেন।1 “পল্লী বিদ্যুতের যে তার চুরি হতো সেই তার কিনে বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে বিক্রি করতেন। বিগত ১৭ বছর এই কাজ করেছেন নিহত সোহাগ।” ডিএমপি’র এই তথ্য রীতিমতো বোম্বশেল ফেলে দিয়েছে জনমনে।

 


 

৫ আগস্টের পটপরিবর্তন ও নতুন সংঘাত: ‘ভোল পাল্টে আসে সোহাগ!’

 

পুলিশের এই শীর্ষ কর্মকর্তা ব্যাখ্যা করেন, “৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের ফলে সোহাগ তার ভোল পালটে এদিকে আসেন। আরেকটি গ্রুপ তখন আরেকটি ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িয়ে যায়। তখন ব্যবসায়িক বিভেদ তৈরি হয়েছে উভয়ের মধ্যে।” তিনি আরও বলেন, উভয়পক্ষই আগে থেকেই পূর্ব পরিচিত ছিল এবং এই ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ও কোন্দল থেকেই হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছে।


 

পরিকল্পিত নয়, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যও নেই: ডিএমপি!

 

সোহাগ হত্যাকাণ্ডটি পরিকল্পিত ছিল কিনা এবং সামনে নির্বাচনকে ব্যাহত করার জন্য কোনো একটি মহল এ ধরনের মিশনে নেমেছে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার নজরুল ইসলাম বলেন, “আমাদের কাছে এমন মনে হয়নি। ব্যক্তিগত এবং ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব, এই দ্বন্দ্ব থেকেই হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছে। নির্বাচনকে প্রভাবিত করা কিংবা সরকারকে বেকায়দায় ফেলানো বা অন্য কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে এ হত্যাকাণ্ড হয়নি, এখন পর্যন্ত তদন্তে এতটুকু পাওয়া গেছে।”

কোনো রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া গেছে কি না জানতে চাইলে সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, “রাজনৈতিক পরিচয় যে কোনো ব্যক্তির থাকতে পারে। যে কোনো নাগরিক যে কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য, নেতা হতেই পারেন। সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ, এই ঘটনার রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই।”

ডিএমপি’র এই সংবাদ সম্মেলন সোহাগ হত্যার পেছনের অনেক ধোঁয়াশা পরিষ্কার করে দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে চলা একটি অবৈধ ব্যবসার সাম্রাজ্য এবং ক্ষমতার পটপরিবর্তনের সঙ্গে আসা নতুন সংঘাতই যে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ, তা এখন অনেকটাই স্পষ্ট।


ট্যাগস: #সোহাগহত্যা #মিটফোর্ডহাসপাতাল #পুরানঢাকা #ডিএমপিকমিশনার #হাজিসেলিম #পিল্লুকমিশনার #অবৈধব্যবসা #তারচুরি #ব্যবসায়িকদ্বন্দ্ব #ব্রেকিংনিউজ #অপরাধতদন্ত