Hi

০৫:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সেনাবাহিনী নিয়ে অগাস্টিনা চাকমার ‘মিথ্যাচার’: অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে জাতিসংঘে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ

  • লেখক: ওমর ফারুক
  • আপডেট : ০৫:৫২:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
  • ৬৩৩ জন দেখেছে

ঢাকা, ১৭ জুলাই ২০২৫: সম্প্রতি ১৫ জুলাই ২০২৫, সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের এক্সপার্ট মেকানিজম অন দ্য রাইটস অফ ইন্ডিজিনাস পিপলস (EMRIP)-এর ১৮তম অধিবেশনে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) প্রতিনিধি অগাস্টিনা চাকমা যেভাবে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে বক্তব্য দিয়েছেন, তাকে নিছক মিথ্যাচার ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। ২০২২ সালের অধিবেশনে তিনি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে প্রথম আলোচনায় আসেন।


 

অগাস্টিনা চাকমার অভিযোগ ও তার পাল্টা যুক্তি

 

অগাস্টিনা চাকমা তার বক্তব্যে দাবি করেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে নাকি সেনাবাহিনীর নীরব উপস্থিতি পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর জীবনে ভয়ভীতি ও নিপীড়নের ছাপ রেখে চলেছে। তিনি ১৯৯৭ সালের শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ার দায় সেনাবাহিনীর উপর চাপিয়ে, অপারেশন উত্তরণের মাধ্যমে পাহাড়কে নাকি ‘সামরিক নিয়ন্ত্রণে’ রাখা হচ্ছে—এমন বক্তব্যও দেন। অথচ বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন বলে এই প্রতিবেদনের লেখক দাবি করেছেন।

সেনাবাহিনী পাহাড়ের স্থিতিশীলতার অন্যতম স্তম্ভ:

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি শান্তি রক্ষায় অপরিহার্য ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্বের অংশ। পার্বত্য চুক্তির কোথাও বলা হয়নি, সেনাবাহিনীর সকল ক্যাম্প প্রত্যাহার করে পাহাড়কে নিরাপত্তাহীন করে তুলতে হবে। সেনাবাহিনী কেবল নিরাপত্তার জন্য নয়, পাহাড়ে অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ মানবিক সেবায়ও বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছে। পার্বত্য এলাকায় প্রশাসনিকভাবে সবসময় উপজাতি বেসামরিক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমেই পরিচালনা চলছে, সেনাবাহিনী এখানে কোথাও ‘শাসক’ নয়। জনপ্রতিনিধিসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের শীর্ষ পদে একতরফা উপজাতিরা আছেন, যেমন- আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান, পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পার্বত্য ভূমি কমিশন, টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদ ও আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য দুই-তৃতীয়াংশ উপজাতি, সার্কেল চিপ-বোমাং, মং, চাকমাসহ অগাস্টিনার স্বজাতি।

অপারেশন উত্তরণ নিয়ে অপপ্রচার:

অপারেশন উত্তরণ ২০০১ সালে কেবল নিরাপত্তা ব্যবস্থার সমন্বয়ের জন্য চালু হয়, কোনো সামরিক শাসন চাপিয়ে দিতে নয়। অপারেশন উত্তরণের অধীনে প্রশাসনিক নিরাপত্তা কাঠামো বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতা করে। পাহাড়ে অস্ত্রধারী বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী, চাঁদাবাজি, চোরাচালান, হত্যা, ভ্রাতৃত্ব সন্ত্রাসবাদ ঠেকাতে সেনাবাহিনী কার্যকর বলেই পাহাড়ে আর বড় ধরণের তেমন রক্তক্ষয় হচ্ছে না বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।


 

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে টার্গেট করার অপচেষ্টা

 

অগাস্টিনা চাকমা জাতিসংঘের কাছে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে শান্তিরক্ষা মিশন থেকে বাদ দেওয়ার সুপারিশ করার অনুরোধ জানিয়ে প্রমাণ করেছেন, তাদের উদ্দেশ্য শান্তি নয়, বরং বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি নষ্ট করা। এমনকি পার্বত্য চট্টগ্রামকে ছলেবলে কৌশলে বিচ্ছিন্ন করা। অথচ বাংলাদেশের সেনাবাহিনী বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ পেশাদার ও ন্যায়নিষ্ঠ শান্তিরক্ষী বাহিনী। জাতিসংঘ নিজেই এই বাহিনীর পেশাদারিত্বের স্বীকৃতি দিয়েছে বারবার। পার্বত্য চট্টগ্রামে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সেনাবাহিনীর অভিযান কার্যক্রম চলমান থাকার কথা পার্বত্য চুক্তিতেও স্পষ্টত উল্লেখ রয়েছে। সুতরাং পার্বত্য চট্টগ্রামে বিচ্ছিন্নতাবাদী থেকে অবৈধ ভারি অস্ত্র উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত সেনাবাহিনীর সন্ত্রাস দমন কার্যক্রম থাকাটা ন্যায় সংগত, কোনো বিতর্কিত নয়। যারা উদ্দেশ্যপ্রনোদিত হয়ে বিতর্কিত করছেন আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে তারাই মূলত দেশের শত্রু ও বিচ্ছিন্নতাবাদী।


 

অগাস্টিনার বক্তব্য: পুরনো স্বার্থান্বেষী ষড়যন্ত্রের অংশ

 

পার্বত্য চট্টগ্রাম ইস্যুকে আন্তর্জাতিকরণ ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো জেএসএস, উইপিডিএফ-এর পুরনো এজেন্ডা। এই ধরনের বক্তব্যের মাধ্যমে বারবার ভুয়া মানবাধিকার নাটক সাজিয়ে আন্তর্জাতিক সহানুভূতি আদায়ের অপচেষ্টা চলে। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, পাহাড়ের সাধারণ জনগণও জানে, আজ পাহাড়ে শান্তি-শৃঙ্খলা আছে সেনাবাহিনীর কারণেই। অগাস্টিনা চাকমা নিজেও স্বীকার করেছেন, তিনি পাহাড়ে বড় হননি, বাস্তব অবস্থার চেয়ে রাজনৈতিক ছকে সাজানো গল্প বলাই তার উদ্দেশ্য। অগাস্টিনা চাকমা ও জেএসএস পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রকৃত বাস্তবতা আড়াল করে আন্তর্জাতিক মঞ্চে সেনাবাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে উঠেপড়ে লেগেছে। অথচ পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনী শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের প্রতীক। যারা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে এই অপপ্রচার চালায়, প্রকৃতপক্ষে তারা পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের স্বার্থে নয়, বরং নিজেদের রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক সুবিধা আদায়ের ফাঁদে কাজ করছে। চলতি বছরের ২২ এপ্রিল ২০২৫ জাতিসংঘের আদিবাসী বিষয়ক স্থায়ী ফোরামের (UNPFII) ২৪তম অধিবেশনে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) প্রতিনিধি অগাস্টিনা চাকমার বক্তব্যে শুধু মিথ্যাচার ও তথ্য বিকৃতির দৃষ্টান্ত নয়, বরং পার্বত্য চট্টগ্রামে রাষ্ট্রবিরোধী প্রোপাগান্ডার (প্রচারণা) অংশ বলেই প্রতীয়মান হয়।


 

সরকারের প্রতি আহ্বান

 

বাংলাদেশ সরকার ও সংশ্লিষ্ট মহলকে এসব মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে তথ্যপ্রমাণসহ আন্তর্জাতিক মহলে জবাব দেওয়া উচিত। শান্তি শুরু হয় দায়িত্বশীল আচরণ দিয়ে, মিথ্যাচার দিয়ে নয়। জনগণের উচিত জাতীয় ঐক্য ধরে রাখার জন্য ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, জাতি নির্বিশেষে এসব মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থাকা।

উৎস: পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি, প্রথম আলো, হিল নিউজ, পার্বত্য নিউজ, নিজস্ব অভিজ্ঞাসহ আঞ্চলিক গণমাধ্যম।


ট্যাগ :
লেখক সম্পর্কে তথ্য

পলাতক হাসিনার জন্মদিন পালন ও গোপন বৈঠক, কলেজ অধ্যক্ষ বেলাল গ্রেফতার

সেনাবাহিনী নিয়ে অগাস্টিনা চাকমার ‘মিথ্যাচার’: অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে জাতিসংঘে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ

আপডেট : ০৫:৫২:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

ঢাকা, ১৭ জুলাই ২০২৫: সম্প্রতি ১৫ জুলাই ২০২৫, সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের এক্সপার্ট মেকানিজম অন দ্য রাইটস অফ ইন্ডিজিনাস পিপলস (EMRIP)-এর ১৮তম অধিবেশনে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) প্রতিনিধি অগাস্টিনা চাকমা যেভাবে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে বক্তব্য দিয়েছেন, তাকে নিছক মিথ্যাচার ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। ২০২২ সালের অধিবেশনে তিনি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে প্রথম আলোচনায় আসেন।


 

অগাস্টিনা চাকমার অভিযোগ ও তার পাল্টা যুক্তি

 

অগাস্টিনা চাকমা তার বক্তব্যে দাবি করেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে নাকি সেনাবাহিনীর নীরব উপস্থিতি পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর জীবনে ভয়ভীতি ও নিপীড়নের ছাপ রেখে চলেছে। তিনি ১৯৯৭ সালের শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ার দায় সেনাবাহিনীর উপর চাপিয়ে, অপারেশন উত্তরণের মাধ্যমে পাহাড়কে নাকি ‘সামরিক নিয়ন্ত্রণে’ রাখা হচ্ছে—এমন বক্তব্যও দেন। অথচ বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন বলে এই প্রতিবেদনের লেখক দাবি করেছেন।

সেনাবাহিনী পাহাড়ের স্থিতিশীলতার অন্যতম স্তম্ভ:

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি শান্তি রক্ষায় অপরিহার্য ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্বের অংশ। পার্বত্য চুক্তির কোথাও বলা হয়নি, সেনাবাহিনীর সকল ক্যাম্প প্রত্যাহার করে পাহাড়কে নিরাপত্তাহীন করে তুলতে হবে। সেনাবাহিনী কেবল নিরাপত্তার জন্য নয়, পাহাড়ে অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ মানবিক সেবায়ও বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছে। পার্বত্য এলাকায় প্রশাসনিকভাবে সবসময় উপজাতি বেসামরিক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমেই পরিচালনা চলছে, সেনাবাহিনী এখানে কোথাও ‘শাসক’ নয়। জনপ্রতিনিধিসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের শীর্ষ পদে একতরফা উপজাতিরা আছেন, যেমন- আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান, পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পার্বত্য ভূমি কমিশন, টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদ ও আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য দুই-তৃতীয়াংশ উপজাতি, সার্কেল চিপ-বোমাং, মং, চাকমাসহ অগাস্টিনার স্বজাতি।

অপারেশন উত্তরণ নিয়ে অপপ্রচার:

অপারেশন উত্তরণ ২০০১ সালে কেবল নিরাপত্তা ব্যবস্থার সমন্বয়ের জন্য চালু হয়, কোনো সামরিক শাসন চাপিয়ে দিতে নয়। অপারেশন উত্তরণের অধীনে প্রশাসনিক নিরাপত্তা কাঠামো বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতা করে। পাহাড়ে অস্ত্রধারী বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী, চাঁদাবাজি, চোরাচালান, হত্যা, ভ্রাতৃত্ব সন্ত্রাসবাদ ঠেকাতে সেনাবাহিনী কার্যকর বলেই পাহাড়ে আর বড় ধরণের তেমন রক্তক্ষয় হচ্ছে না বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।


 

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে টার্গেট করার অপচেষ্টা

 

অগাস্টিনা চাকমা জাতিসংঘের কাছে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে শান্তিরক্ষা মিশন থেকে বাদ দেওয়ার সুপারিশ করার অনুরোধ জানিয়ে প্রমাণ করেছেন, তাদের উদ্দেশ্য শান্তি নয়, বরং বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি নষ্ট করা। এমনকি পার্বত্য চট্টগ্রামকে ছলেবলে কৌশলে বিচ্ছিন্ন করা। অথচ বাংলাদেশের সেনাবাহিনী বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ পেশাদার ও ন্যায়নিষ্ঠ শান্তিরক্ষী বাহিনী। জাতিসংঘ নিজেই এই বাহিনীর পেশাদারিত্বের স্বীকৃতি দিয়েছে বারবার। পার্বত্য চট্টগ্রামে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সেনাবাহিনীর অভিযান কার্যক্রম চলমান থাকার কথা পার্বত্য চুক্তিতেও স্পষ্টত উল্লেখ রয়েছে। সুতরাং পার্বত্য চট্টগ্রামে বিচ্ছিন্নতাবাদী থেকে অবৈধ ভারি অস্ত্র উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত সেনাবাহিনীর সন্ত্রাস দমন কার্যক্রম থাকাটা ন্যায় সংগত, কোনো বিতর্কিত নয়। যারা উদ্দেশ্যপ্রনোদিত হয়ে বিতর্কিত করছেন আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে তারাই মূলত দেশের শত্রু ও বিচ্ছিন্নতাবাদী।


 

অগাস্টিনার বক্তব্য: পুরনো স্বার্থান্বেষী ষড়যন্ত্রের অংশ

 

পার্বত্য চট্টগ্রাম ইস্যুকে আন্তর্জাতিকরণ ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো জেএসএস, উইপিডিএফ-এর পুরনো এজেন্ডা। এই ধরনের বক্তব্যের মাধ্যমে বারবার ভুয়া মানবাধিকার নাটক সাজিয়ে আন্তর্জাতিক সহানুভূতি আদায়ের অপচেষ্টা চলে। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, পাহাড়ের সাধারণ জনগণও জানে, আজ পাহাড়ে শান্তি-শৃঙ্খলা আছে সেনাবাহিনীর কারণেই। অগাস্টিনা চাকমা নিজেও স্বীকার করেছেন, তিনি পাহাড়ে বড় হননি, বাস্তব অবস্থার চেয়ে রাজনৈতিক ছকে সাজানো গল্প বলাই তার উদ্দেশ্য। অগাস্টিনা চাকমা ও জেএসএস পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রকৃত বাস্তবতা আড়াল করে আন্তর্জাতিক মঞ্চে সেনাবাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে উঠেপড়ে লেগেছে। অথচ পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনী শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের প্রতীক। যারা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে এই অপপ্রচার চালায়, প্রকৃতপক্ষে তারা পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের স্বার্থে নয়, বরং নিজেদের রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক সুবিধা আদায়ের ফাঁদে কাজ করছে। চলতি বছরের ২২ এপ্রিল ২০২৫ জাতিসংঘের আদিবাসী বিষয়ক স্থায়ী ফোরামের (UNPFII) ২৪তম অধিবেশনে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) প্রতিনিধি অগাস্টিনা চাকমার বক্তব্যে শুধু মিথ্যাচার ও তথ্য বিকৃতির দৃষ্টান্ত নয়, বরং পার্বত্য চট্টগ্রামে রাষ্ট্রবিরোধী প্রোপাগান্ডার (প্রচারণা) অংশ বলেই প্রতীয়মান হয়।


 

সরকারের প্রতি আহ্বান

 

বাংলাদেশ সরকার ও সংশ্লিষ্ট মহলকে এসব মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে তথ্যপ্রমাণসহ আন্তর্জাতিক মহলে জবাব দেওয়া উচিত। শান্তি শুরু হয় দায়িত্বশীল আচরণ দিয়ে, মিথ্যাচার দিয়ে নয়। জনগণের উচিত জাতীয় ঐক্য ধরে রাখার জন্য ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, জাতি নির্বিশেষে এসব মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থাকা।

উৎস: পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি, প্রথম আলো, হিল নিউজ, পার্বত্য নিউজ, নিজস্ব অভিজ্ঞাসহ আঞ্চলিক গণমাধ্যম।