Hi

০৩:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বঙ্গীয় সংখ্যালঘু ও বুদ্ধিজীবী মঞ্চ- বাংলা ভাষা ও এস আই আর এর বিরুদ্ধে- মহামিছিল ও রাজ্যপালকে ডেপুটেশন দিলেন।

  • আপডেট : ০৫:২৬:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫
  • ৫৭৪ জন দেখেছে

বঙ্গীয় সংখ্যালঘু ও বুদ্ধিজীবী মঞ্চ- বাংলা ভাষা ও এস আই আর এর বিরুদ্ধে- মহামিছিল ও রাজ্যপালকে ডেপুটেশন দিলেন।

সমরেশ রায় ও শম্পা দাস , কলকাতা পশ্চিমবঙ্গ:
আজ ১৩ ই আগস্ট বুধবার, দুপুর একটায় , বঙ্গীয় সংখ্যালঘু বুদ্ধিজীবী মঞ্চের ডাকে, নজরুল হকের উদ্যোগে, বাংলা ভাষা ও এস আই আর এর বিরুদ্ধে, রামলীলা ময়দান মৌলালি থেকে ধর্মতলা ডরিনা কোচিং পর্যন্ত এক মহা মিছিল ও সভা করলেন এবং রাজ্যপালের কাছে ডেপুটেশন দিলেন।

এই মিছিল ও সভায় উপস্থিত ছিলেন, কলকাতার মহানগরিক ও মন্ত্রী ফিরাদ হাকিম, উপস্থিত ছিলেন উদ্যোক্তা নজরুল হক, নীলিমা বেগম, তুষার শীল, পরিতোষ বিশ্বাস সহ বিভিন্ন জেলার নেতৃবৃন্দ। প্রত্যেকেই সংক্ষিপ্তভাবে বক্তৃতা রাখেন এবং জয় বাংলা স্লোগান দিতে থাকেন, সভা শেষে কয়েকজন প্রতিনিধি মিলে রাজ্যপালের নিকট ডেপুটেশন দিতে যান।

মিছিলের মূল উদ্দেশ্য ছিল পরিযায়ী শ্রমিকদের সুরক্ষা, এবং এস আই আর করতে না দেওয়া তারই প্রতিবাদ, প্রায় কয়েকশো বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সদস্যরা মিছিলে পায়ে পা মেলান, এবং প্রত্যেকের হাতে এস আই আর এর বিরুদ্ধে পোস্টার এমনকি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, সুকান্ত, বিবেকানন্দ, থেকে শুরু করে বিভিন্ন মনীষীদের পোস্টার হাতে নিয়ে মিছিলে পা মেলান।

মহানাগরীক ও মন্ত্রী ফিরাদ হাকিম, সংক্ষিপ্ত ভাষণের মধ্য দিয়ে বলেন, আমরা ভারতবাসী, আমরা পশ্চিমবাংলার মানুষ, আমরা এখানে এস আই আর করতে দেব না। এস আই আরের নামে সকল মানুষকে বিভ্রান্তে ফেলতে চায়, পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর অত্যাচার করছে, পেটের জ্বালায় কাজ করতে গিয়ে পুলিশের হাতে মার খাচ্ছে, আমরা যে কোন ভাষারই মানুষ হই না কেন, শিখ, বৈদ্য, জৈন, হিন্দু , মুসলিম সবাই ভারতবাসী, যে যার ভাষা আলাদা, যে যার ধর্ম আলাদা হলেও , আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলি, এভাষা রবীন্দ্রনাথের , নজরুলের, সুকান্তের, বিদ্যাসাগরের বাংলা ভাষা, এই ভাষা বাদ দিয়ে কোন ভাষা আমরা পশ্চিমবঙ্গে ঢুকতে দেবো না। হতে দেব না, এবং কারো ভোটার লিস্ট থেকে নাম বাদ দিতে দেব না। যদি বাদ দিতে হয়, আগে মোদি ও অমিত শাহের নাম বাদ যাক, তাই সকল সদস্যদের জানিয়ে রাখি, কেউ যদি কোন কিছু চায় এবং কোন কিছুতে সই করাতে চায় আপনারা করবেন না। আমরা বুঝে নেব কিভাবে আদায় করে নিতে হয়, আজ আমাদের দাবি নিয়ে রাজ্যপালের কাছে ডেপুটেশন দিচ্ছি, যদি আমাদের দাবি না মেনে নেয়, আমরা কথা দিচ্ছি, দিল্লিতে গিয়ে বিক্ষোভ করব, দেখব কি করে আইন চালু করতে পারে,

আমাদের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাধারণ মানুষের কথা ভাবেন, আমাদের নিয়ে চলার কথা ভাবেন, উন্নয়নের কথা ভাবেন, আর মোদি সরকার ও অমিত শাহ একের পর এক আইন করে সাধারণ মানুষকে বিব্রস্ত করার চেষ্টা করছে, ভোট লুট করার চেষ্টা করছে, তখনই ভোট আসে, কি করে পশ্চিমবঙ্গকে জব্দ করা যায়, পশ্চিমবঙ্গের মানুষের উপর অত্যাচার করা যায়, তার কথা ভাবেন, আমরা কোনমতেই হতে দেব না, আমরা মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথ অনুসরণ করে চলবো তিনি যেভাবে বলবেন সেইভাবে আমরা এগিয়ে যাবো,

জে বাংলায় ঋষি মনিরা জন্মেছেন, যাদের ভাষায় আমরা বড় হয়েছি, তাদেরি পথ অনুসরণ করে চলবো, যে যার মাতৃ ভাষা নিয়ে কথা বলবে, সে যে দেশেরই লোক হোক, এই ভাষাকে আমরা সম্মান করি, বক্তব্যের সাথে সাথে সমস্ত সদস্যরা জয় বাংলা ধ্বনিতে ভরিয়ে তোলেন।।

 

লেখক সম্পর্কে তথ্য

পলাতক হাসিনার জন্মদিন পালন ও গোপন বৈঠক, কলেজ অধ্যক্ষ বেলাল গ্রেফতার

বঙ্গীয় সংখ্যালঘু ও বুদ্ধিজীবী মঞ্চ- বাংলা ভাষা ও এস আই আর এর বিরুদ্ধে- মহামিছিল ও রাজ্যপালকে ডেপুটেশন দিলেন।

আপডেট : ০৫:২৬:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫

বঙ্গীয় সংখ্যালঘু ও বুদ্ধিজীবী মঞ্চ- বাংলা ভাষা ও এস আই আর এর বিরুদ্ধে- মহামিছিল ও রাজ্যপালকে ডেপুটেশন দিলেন।

সমরেশ রায় ও শম্পা দাস , কলকাতা পশ্চিমবঙ্গ:
আজ ১৩ ই আগস্ট বুধবার, দুপুর একটায় , বঙ্গীয় সংখ্যালঘু বুদ্ধিজীবী মঞ্চের ডাকে, নজরুল হকের উদ্যোগে, বাংলা ভাষা ও এস আই আর এর বিরুদ্ধে, রামলীলা ময়দান মৌলালি থেকে ধর্মতলা ডরিনা কোচিং পর্যন্ত এক মহা মিছিল ও সভা করলেন এবং রাজ্যপালের কাছে ডেপুটেশন দিলেন।

এই মিছিল ও সভায় উপস্থিত ছিলেন, কলকাতার মহানগরিক ও মন্ত্রী ফিরাদ হাকিম, উপস্থিত ছিলেন উদ্যোক্তা নজরুল হক, নীলিমা বেগম, তুষার শীল, পরিতোষ বিশ্বাস সহ বিভিন্ন জেলার নেতৃবৃন্দ। প্রত্যেকেই সংক্ষিপ্তভাবে বক্তৃতা রাখেন এবং জয় বাংলা স্লোগান দিতে থাকেন, সভা শেষে কয়েকজন প্রতিনিধি মিলে রাজ্যপালের নিকট ডেপুটেশন দিতে যান।

মিছিলের মূল উদ্দেশ্য ছিল পরিযায়ী শ্রমিকদের সুরক্ষা, এবং এস আই আর করতে না দেওয়া তারই প্রতিবাদ, প্রায় কয়েকশো বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সদস্যরা মিছিলে পায়ে পা মেলান, এবং প্রত্যেকের হাতে এস আই আর এর বিরুদ্ধে পোস্টার এমনকি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, সুকান্ত, বিবেকানন্দ, থেকে শুরু করে বিভিন্ন মনীষীদের পোস্টার হাতে নিয়ে মিছিলে পা মেলান।

মহানাগরীক ও মন্ত্রী ফিরাদ হাকিম, সংক্ষিপ্ত ভাষণের মধ্য দিয়ে বলেন, আমরা ভারতবাসী, আমরা পশ্চিমবাংলার মানুষ, আমরা এখানে এস আই আর করতে দেব না। এস আই আরের নামে সকল মানুষকে বিভ্রান্তে ফেলতে চায়, পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর অত্যাচার করছে, পেটের জ্বালায় কাজ করতে গিয়ে পুলিশের হাতে মার খাচ্ছে, আমরা যে কোন ভাষারই মানুষ হই না কেন, শিখ, বৈদ্য, জৈন, হিন্দু , মুসলিম সবাই ভারতবাসী, যে যার ভাষা আলাদা, যে যার ধর্ম আলাদা হলেও , আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলি, এভাষা রবীন্দ্রনাথের , নজরুলের, সুকান্তের, বিদ্যাসাগরের বাংলা ভাষা, এই ভাষা বাদ দিয়ে কোন ভাষা আমরা পশ্চিমবঙ্গে ঢুকতে দেবো না। হতে দেব না, এবং কারো ভোটার লিস্ট থেকে নাম বাদ দিতে দেব না। যদি বাদ দিতে হয়, আগে মোদি ও অমিত শাহের নাম বাদ যাক, তাই সকল সদস্যদের জানিয়ে রাখি, কেউ যদি কোন কিছু চায় এবং কোন কিছুতে সই করাতে চায় আপনারা করবেন না। আমরা বুঝে নেব কিভাবে আদায় করে নিতে হয়, আজ আমাদের দাবি নিয়ে রাজ্যপালের কাছে ডেপুটেশন দিচ্ছি, যদি আমাদের দাবি না মেনে নেয়, আমরা কথা দিচ্ছি, দিল্লিতে গিয়ে বিক্ষোভ করব, দেখব কি করে আইন চালু করতে পারে,

আমাদের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাধারণ মানুষের কথা ভাবেন, আমাদের নিয়ে চলার কথা ভাবেন, উন্নয়নের কথা ভাবেন, আর মোদি সরকার ও অমিত শাহ একের পর এক আইন করে সাধারণ মানুষকে বিব্রস্ত করার চেষ্টা করছে, ভোট লুট করার চেষ্টা করছে, তখনই ভোট আসে, কি করে পশ্চিমবঙ্গকে জব্দ করা যায়, পশ্চিমবঙ্গের মানুষের উপর অত্যাচার করা যায়, তার কথা ভাবেন, আমরা কোনমতেই হতে দেব না, আমরা মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথ অনুসরণ করে চলবো তিনি যেভাবে বলবেন সেইভাবে আমরা এগিয়ে যাবো,

জে বাংলায় ঋষি মনিরা জন্মেছেন, যাদের ভাষায় আমরা বড় হয়েছি, তাদেরি পথ অনুসরণ করে চলবো, যে যার মাতৃ ভাষা নিয়ে কথা বলবে, সে যে দেশেরই লোক হোক, এই ভাষাকে আমরা সম্মান করি, বক্তব্যের সাথে সাথে সমস্ত সদস্যরা জয় বাংলা ধ্বনিতে ভরিয়ে তোলেন।।