চাকসু নির্বাচন: আচরণবিধির খসড়া প্রকাশ, ডোপটেস্টসহ কড়া নির্দেশনা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আচরণবিধির খসড়া প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন কমিশন। বুধবার দুপুরে চাকসু নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে এই বিধিমালা প্রকাশ করা হয়।
আচরণবিধি পাঠ করেন নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. আমির মুহাম্মদ নসরুল্লাহ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন এবং সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. কে. এম. আরিফুল ইসলাম সিদ্দিকী।
উল্লেখযোগ্য নির্দেশনাসমূহ:
মনোনয়নপত্র সংক্রান্ত:
- মনোনয়নপত্র সংগ্রহ, দাখিল ও প্রত্যাহারের সময় মিছিল বা শোভাযাত্রা করা যাবে না।
- একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ পাঁচজন সমর্থক নিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন।
ডোপ টেস্ট:
- প্রার্থীদের জন্য ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক।
- ফল পজিটিভ হলে প্রার্থীতা বাতিল বলে গণ্য হবে।
প্রচার-প্রচারণা:
- প্রচারকাল: প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার দিন থেকে ভোটগ্রহণের ২৪ ঘণ্টা পূর্ব পর্যন্ত।
- সময়সীমা: সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত।
- সন্ধ্যার পর মাইক ব্যবহার নিষিদ্ধ।
- প্রার্থীরা প্রতিটি হলে ১টি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩টি প্রজেকশন মিটিং করতে পারবেন (চীফ রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে)।
প্রচারসামগ্রী:
- শুধুমাত্র সাদা-কালো পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল ব্যবহার করা যাবে।
- পোস্টারের আকার: সর্বোচ্চ ৬০ সে.মি. × ৪৫ সে.মি.
নিষিদ্ধ কার্যক্রম:
- চাঁদা, অনুদান বা অর্থ লেনদেন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
- ভোটারদের খাবার বা পানীয় পরিবেশন করা যাবে না।
- ব্যক্তিগত আক্রমণ, চরিত্র হনন, গুজব, মানহানিকর বক্তব্য, ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক উস্কানি নিষিদ্ধ।
- নির্বাচনের দিনে ভোটকেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে ভোটার স্লিপ প্রদান নিষিদ্ধ।
শাস্তিমূলক ব্যবস্থা:
- আচরণবিধি লঙ্ঘনে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা,
- প্রার্থীতা বাতিল,
- বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার, অথবা
- রাষ্ট্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী শাস্তি।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খসড়া আচরণবিধি নিয়ে সবার মতামত সংগ্রহ করে চূড়ান্ত নীতিমালা প্রকাশ করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বচ্ছ ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন নিশ্চিত করতেই এসব কঠোর নির্দেশনা প্রণয়ন করা হয়েছে।