Hi

১১:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসলামের বিপক্ষে কোন আইন কার্যকর হবে না: হাসিনুর রহমান

শেখ হাসিনার শাসনামলে দুইবার গুমের শিকার হওয়া বীর প্রতীকপ্রাপ্ত সাবেক সেনা কর্মকর্তা হাসিনুর রহমান বলেছেন, “ইসলামের বিপক্ষে কোনো আইন বা কমিশন কার্যকর হতে দেওয়া যাবে না।” তিনি অভিযোগ করেন, বর্তমান সরকারের সময়ে নারীনীতি বা সংশ্লিষ্ট কমিশনের মতো কিছু উদ্যোগ ইচ্ছাকৃতভাবে বিতর্ক তৈরি করতে এবং সমাজে বিভ্রান্তি ছড়াতে গ্রহণ করা হয়েছে।

নারী উন্নয়ন কমিশনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাসিনুর বলেন, “যে দেশে প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, বিরোধী দলীয় নেত্রী নারী, সেখানে নারী-সমাজের ক্ষমতায়নে ঘাটতি কোথায়? ১৬ বছর ধরে নারীরা সর্বোচ্চ পর্যায়ে নেতৃত্বে ছিল—তাহলে হঠাৎ করে কমিশনের প্রয়োজন কেন?” তিনি মন্তব্য করেন, “এই কমিশনের মাধ্যমে আমাদের ধর্মীয় মূল্যবোধ ও পারিবারিক সামাজিক কাঠামোকে চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে।”

নিজের পারিবারিক জীবন থেকে উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, “আমি আমার মা, স্ত্রী ও কন্যাদের সর্বোচ্চ সম্মানের চোখে দেখি। আমাদের নারীরা আরবের নারীদের মতো নন, তারা মূল্যবোধসম্পন্ন। আমরা কোনোভাবেই নারীদের পণ্য হিসেবে দেখতে চাই না।” তিনি আরও বলেন, ইসলামে নারীর অধিকার ও মর্যাদা স্পষ্টভাবে নির্ধারিত এবং তা নিয়ে সংশয় তোলা অর্থহীন। “কিছু উশৃঙ্খল পুরুষের কর্মকাণ্ডকে কেন্দ্র করে পুরো সমাজব্যবস্থাকে বদলে ফেলার প্রয়াস কাম্য নয়।”

হাসিনুর রহমান বলেন, “আমরা বাঙালি মুসলমানরা এক স্বর্গীয় সমাজ ব্যবস্থায় বাস করি। এই সমাজব্যবস্থাকে ধ্বংস করা যাবে না। আমরা পরিবারে যে মূল্যবোধে বড় হয়েছি, তা-ই আমাদের শক্তি।” তিনি নারী উন্নয়ন কমিশনের ধারণাটিকে “বিদেশি অনুকরণ” ও “সামাজিক অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা” বলে আখ্যা দেন।

ট্যাগ :
লেখক সম্পর্কে তথ্য

জনপ্রিয়

মৌলভীবাজারে ‘জুলাই মঞ্চ’-এর জেলা কাঠামো প্রকাশ: আহ্বায়ক তানজিয়া শিশির, মুখপাত্র মো. তানিম হোসেন রুহিন

ইসলামের বিপক্ষে কোন আইন কার্যকর হবে না: হাসিনুর রহমান

আপডেট : ০৬:৪৬:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

শেখ হাসিনার শাসনামলে দুইবার গুমের শিকার হওয়া বীর প্রতীকপ্রাপ্ত সাবেক সেনা কর্মকর্তা হাসিনুর রহমান বলেছেন, “ইসলামের বিপক্ষে কোনো আইন বা কমিশন কার্যকর হতে দেওয়া যাবে না।” তিনি অভিযোগ করেন, বর্তমান সরকারের সময়ে নারীনীতি বা সংশ্লিষ্ট কমিশনের মতো কিছু উদ্যোগ ইচ্ছাকৃতভাবে বিতর্ক তৈরি করতে এবং সমাজে বিভ্রান্তি ছড়াতে গ্রহণ করা হয়েছে।

নারী উন্নয়ন কমিশনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাসিনুর বলেন, “যে দেশে প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, বিরোধী দলীয় নেত্রী নারী, সেখানে নারী-সমাজের ক্ষমতায়নে ঘাটতি কোথায়? ১৬ বছর ধরে নারীরা সর্বোচ্চ পর্যায়ে নেতৃত্বে ছিল—তাহলে হঠাৎ করে কমিশনের প্রয়োজন কেন?” তিনি মন্তব্য করেন, “এই কমিশনের মাধ্যমে আমাদের ধর্মীয় মূল্যবোধ ও পারিবারিক সামাজিক কাঠামোকে চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে।”

নিজের পারিবারিক জীবন থেকে উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, “আমি আমার মা, স্ত্রী ও কন্যাদের সর্বোচ্চ সম্মানের চোখে দেখি। আমাদের নারীরা আরবের নারীদের মতো নন, তারা মূল্যবোধসম্পন্ন। আমরা কোনোভাবেই নারীদের পণ্য হিসেবে দেখতে চাই না।” তিনি আরও বলেন, ইসলামে নারীর অধিকার ও মর্যাদা স্পষ্টভাবে নির্ধারিত এবং তা নিয়ে সংশয় তোলা অর্থহীন। “কিছু উশৃঙ্খল পুরুষের কর্মকাণ্ডকে কেন্দ্র করে পুরো সমাজব্যবস্থাকে বদলে ফেলার প্রয়াস কাম্য নয়।”

হাসিনুর রহমান বলেন, “আমরা বাঙালি মুসলমানরা এক স্বর্গীয় সমাজ ব্যবস্থায় বাস করি। এই সমাজব্যবস্থাকে ধ্বংস করা যাবে না। আমরা পরিবারে যে মূল্যবোধে বড় হয়েছি, তা-ই আমাদের শক্তি।” তিনি নারী উন্নয়ন কমিশনের ধারণাটিকে “বিদেশি অনুকরণ” ও “সামাজিক অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা” বলে আখ্যা দেন।