Hi

১২:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ২০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মৃত্যুর পর মৃত ব্যক্তির আর্তনাদ: হৃদয় বিদারক বাস্তবতা তুলে ধরলেন দুধরচকী

  • আপডেট : ০৯:২০:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫
  • ৬০৪ জন দেখেছে

পর মানবদেহের অভিজ্ঞতা নিয়ে আবেগঘন ও ধর্মীয় মূল্যবোধভিত্তিক একটি বিবরণ প্রকাশ করেছেন বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ, লেখক ও কলামিস্ট হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী। লেখাটিতে তিনি উল্লেখ করেন, একজন মানুষ মারা যাওয়ার পর তার দেহ ও রুহ কী ধরণের কষ্টের মধ্য দিয়ে যায় এবং তার আত্মীয়-স্বজনের প্রতি কী বার্তা রেখে যায়।

তিনি বলেন, মৃত্যুর পর সবচেয়ে কষ্টের সময় হয় যখন মৃত ব্যক্তিকে ঘর থেকে বের করে কবরের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন তার পরিবার কাঁদে, কিন্তু মৃত ব্যক্তি তখন একা ও অসহায়। তার রুহ তখন চিৎকার করে, যা মানুষ ও জিন ব্যতীত অন্য সব সৃষ্টি শুনতে পায়।

আরও উল্লেখ করা হয়, কাপড়, অলংকার খোলা, গোসল দেয়া, কাফন পরানো এমনকি জানাজা শেষে মানুষ চলে যাওয়াও তার জন্য কষ্টদায়ক। এসব সময়ে মৃত ব্যক্তি মনে মনে পরিবার-পরিজনের কাছে অনুরোধ জানায়—একটু সময় দাও, শেষবার দেখা করতে দাও, তাদের ভালো রাখো।

হাফিজ মাছুম আহমদ তাঁর লেখায় আরও বলেন,

“মৃত ব্যক্তি তখন আত্মীয়-স্বজনকে অনুরোধ করে—আমার জন্য দোয়া করো, দান-খয়রাত করো। কারণ তোমাদের জন্য সবকিছু রেখে যাচ্ছি, আর আমি নিয়ে যাচ্ছি শুধু আমার আমল।”

তিনি মনে করিয়ে দেন,

“জীবনের মোহে পড়ে আখিরাতকে ভুলে গেলে মৃত্যু একদিন কঠিন বাস্তবতা হয়ে ধরা দেবে। তাই সময় থাকতেই প্রস্তুতি নিতে হবে, নেক আমল করতে হবে।”

এ লেখাটি পাঠকের হৃদয়ে গভীরভাবে দাগ কেটে যাচ্ছে। সামাজিক মাধ্যমে এর কিছু অংশ ভাইরাল হয়েছে ইতিমধ্যেই, যেখানে মানুষ মৃত্যুর পরবর্তী জীবনের ভাবনায় আত্মচিন্তায় ডুবে যাচ্ছে।

📌 উপসংহার:
ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং মৃত্যুর বাস্তবতা নিয়ে চিন্তা করার জন্য এই লেখাটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে। জীবনের ব্যস্ত সময়ে মানুষ যেন পরকাল ভুলে না যায়—এই শিক্ষাই লেখাটির মূল উদ্দেশ্য।

ট্যাগ :
লেখক সম্পর্কে তথ্য

হাজারো শঙ্খর ধ্বনি ও প্রদীপের আলোয় বিতর্কিত পুজোর– প্রতিমার নিরঞ্জন শোভাযাত্রা।

মৃত্যুর পর মৃত ব্যক্তির আর্তনাদ: হৃদয় বিদারক বাস্তবতা তুলে ধরলেন দুধরচকী

আপডেট : ০৯:২০:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

পর মানবদেহের অভিজ্ঞতা নিয়ে আবেগঘন ও ধর্মীয় মূল্যবোধভিত্তিক একটি বিবরণ প্রকাশ করেছেন বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ, লেখক ও কলামিস্ট হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী। লেখাটিতে তিনি উল্লেখ করেন, একজন মানুষ মারা যাওয়ার পর তার দেহ ও রুহ কী ধরণের কষ্টের মধ্য দিয়ে যায় এবং তার আত্মীয়-স্বজনের প্রতি কী বার্তা রেখে যায়।

তিনি বলেন, মৃত্যুর পর সবচেয়ে কষ্টের সময় হয় যখন মৃত ব্যক্তিকে ঘর থেকে বের করে কবরের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন তার পরিবার কাঁদে, কিন্তু মৃত ব্যক্তি তখন একা ও অসহায়। তার রুহ তখন চিৎকার করে, যা মানুষ ও জিন ব্যতীত অন্য সব সৃষ্টি শুনতে পায়।

আরও উল্লেখ করা হয়, কাপড়, অলংকার খোলা, গোসল দেয়া, কাফন পরানো এমনকি জানাজা শেষে মানুষ চলে যাওয়াও তার জন্য কষ্টদায়ক। এসব সময়ে মৃত ব্যক্তি মনে মনে পরিবার-পরিজনের কাছে অনুরোধ জানায়—একটু সময় দাও, শেষবার দেখা করতে দাও, তাদের ভালো রাখো।

হাফিজ মাছুম আহমদ তাঁর লেখায় আরও বলেন,

“মৃত ব্যক্তি তখন আত্মীয়-স্বজনকে অনুরোধ করে—আমার জন্য দোয়া করো, দান-খয়রাত করো। কারণ তোমাদের জন্য সবকিছু রেখে যাচ্ছি, আর আমি নিয়ে যাচ্ছি শুধু আমার আমল।”

তিনি মনে করিয়ে দেন,

“জীবনের মোহে পড়ে আখিরাতকে ভুলে গেলে মৃত্যু একদিন কঠিন বাস্তবতা হয়ে ধরা দেবে। তাই সময় থাকতেই প্রস্তুতি নিতে হবে, নেক আমল করতে হবে।”

এ লেখাটি পাঠকের হৃদয়ে গভীরভাবে দাগ কেটে যাচ্ছে। সামাজিক মাধ্যমে এর কিছু অংশ ভাইরাল হয়েছে ইতিমধ্যেই, যেখানে মানুষ মৃত্যুর পরবর্তী জীবনের ভাবনায় আত্মচিন্তায় ডুবে যাচ্ছে।

📌 উপসংহার:
ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং মৃত্যুর বাস্তবতা নিয়ে চিন্তা করার জন্য এই লেখাটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে। জীবনের ব্যস্ত সময়ে মানুষ যেন পরকাল ভুলে না যায়—এই শিক্ষাই লেখাটির মূল উদ্দেশ্য।