Hi

০১:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মেহেদী নিয়ে কাজ করা ঝিনাইদহের সংগ্রামী নারী উদ্যোক্তা ফৌজিয়া আফরোজের অনুপ্রেরণার গল্প

  • আপডেট : ০৪:২৬:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫৬২ জন দেখেছে

মেহেদী নিয়ে কাজ করা ঝিনাইদহের সংগ্রামী নারী উদ্যোক্তা ফৌজিয়া আফরোজের অনুপ্রেরণার গল্প

স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ
বিশ্বজুড়ে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে নারী। এক সময়ের কুসংস্কার ও সামাজিক শৃঙ্খলে আবদ্ধ থেকে নারীরা এখন হয়ে উঠছে স্বাবলম্বী, আত্মপ্রত্যয়ী এবং সফল। বিমানের পাইলট থেকে শুরু করে ডাক্তার, ব্যাংকার, আইনজীবী কিংবা উদ্যোক্তা—সবক্ষেত্রেই নারীর উপস্থিতি দৃশ্যমান।

এমনই একজন সংগ্রামী ও স্বপ্নবাজ নারী ফৌজিয়া আফরোজ। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হাটগোপালপুরের বাসিন্দা তিনি। সরকারি কেসি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক শেষ বর্ষের ছাত্রী হলেও নিজেকে গড়ে তুলেছেন একজন উদ্যোক্তা হিসেবে।

ফৌজিয়ার উদ্যোক্তা হওয়ার পথ মোটেও মসৃণ ছিল না। তবে তার মা–বাবা ও ছোট বোনের সহযোগিতা তাকে এই যাত্রায় এগিয়ে দিয়েছে। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি মেহেদী নিয়ে কাজ শুরু করেন। বর্তমানে অনলাইন ও অফলাইনে সমানতালে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম অনলাইন ভিত্তিক উদ্যোক্তা প্ল্যাটফর্ম “অলটাইম বেচাকেনা” গ্রুপে সক্রিয় রয়েছেন তিনি।

তার নিজস্ব ফেসবুক পেজ “Mehendi By Foujia” এখন জনপ্রিয় নাম। মেহেদীর মান, টেকসই রঙ এবং আন্তরিক সেবার কারণে প্রতিনিয়ত ক্রেতাদের কাছ থেকে প্রশংসা পাচ্ছেন ফৌজিয়া। উৎপাদন থেকে শুরু করে অনলাইন ও অফলাইনে ডেলিভারির পুরো কাজই তিনি নিজ হাতে পরিচালনা করেন।

শুধু নিজের স্বপ্ন নয়, সমাজের অসহায় নারীদেরও এগিয়ে নিতে চান তিনি। তার ইচ্ছা, একদিন একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা যেখানে কাজ করবে গ্রামের বিধবা নারী কিংবা নিম্নবিত্ত পরিবারের স্কুলপড়ুয়া মেয়েরা। তারা আত্মনির্ভরশীল হবে, অন্যের ওপর নির্ভর করতে হবে না। পাশাপাশি অনলাইন প্ল্যাটফর্মকে প্রতারণামুক্ত রাখার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেছেন তিনি।

নতুন উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে ফৌজিয়া আফরোজ বলেন, “অনলাইনে ব্যবসা করলে রাতারাতি লাখপতি হওয়া যায়—এমন মানসিকতা বাদ দিতে হবে। কেউ সফল হয়েছেন মানে এই নয়, আপনিও হবেন। নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ বেছে নিন, পড়াশোনা চালিয়ে যান, পেজে সক্রিয় থাকুন, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করুন। তাহলেই সাফল্য আসবে।”

সংগ্রামী এই তরুণীর গল্প আজ ঝিনাইদহের নারী সমাজকে অনুপ্রাণিত করছে। তিনি প্রমাণ করেছেন, ইচ্ছাশক্তি ও পরিশ্রম থাকলে নারী কোনো ক্ষেত্রেই পিছিয়ে নেই।

লেখক সম্পর্কে তথ্য

পলাতক হাসিনার জন্মদিন পালন ও গোপন বৈঠক, কলেজ অধ্যক্ষ বেলাল গ্রেফতার

মেহেদী নিয়ে কাজ করা ঝিনাইদহের সংগ্রামী নারী উদ্যোক্তা ফৌজিয়া আফরোজের অনুপ্রেরণার গল্প

আপডেট : ০৪:২৬:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মেহেদী নিয়ে কাজ করা ঝিনাইদহের সংগ্রামী নারী উদ্যোক্তা ফৌজিয়া আফরোজের অনুপ্রেরণার গল্প

স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ
বিশ্বজুড়ে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে নারী। এক সময়ের কুসংস্কার ও সামাজিক শৃঙ্খলে আবদ্ধ থেকে নারীরা এখন হয়ে উঠছে স্বাবলম্বী, আত্মপ্রত্যয়ী এবং সফল। বিমানের পাইলট থেকে শুরু করে ডাক্তার, ব্যাংকার, আইনজীবী কিংবা উদ্যোক্তা—সবক্ষেত্রেই নারীর উপস্থিতি দৃশ্যমান।

এমনই একজন সংগ্রামী ও স্বপ্নবাজ নারী ফৌজিয়া আফরোজ। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হাটগোপালপুরের বাসিন্দা তিনি। সরকারি কেসি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক শেষ বর্ষের ছাত্রী হলেও নিজেকে গড়ে তুলেছেন একজন উদ্যোক্তা হিসেবে।

ফৌজিয়ার উদ্যোক্তা হওয়ার পথ মোটেও মসৃণ ছিল না। তবে তার মা–বাবা ও ছোট বোনের সহযোগিতা তাকে এই যাত্রায় এগিয়ে দিয়েছে। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি মেহেদী নিয়ে কাজ শুরু করেন। বর্তমানে অনলাইন ও অফলাইনে সমানতালে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম অনলাইন ভিত্তিক উদ্যোক্তা প্ল্যাটফর্ম “অলটাইম বেচাকেনা” গ্রুপে সক্রিয় রয়েছেন তিনি।

তার নিজস্ব ফেসবুক পেজ “Mehendi By Foujia” এখন জনপ্রিয় নাম। মেহেদীর মান, টেকসই রঙ এবং আন্তরিক সেবার কারণে প্রতিনিয়ত ক্রেতাদের কাছ থেকে প্রশংসা পাচ্ছেন ফৌজিয়া। উৎপাদন থেকে শুরু করে অনলাইন ও অফলাইনে ডেলিভারির পুরো কাজই তিনি নিজ হাতে পরিচালনা করেন।

শুধু নিজের স্বপ্ন নয়, সমাজের অসহায় নারীদেরও এগিয়ে নিতে চান তিনি। তার ইচ্ছা, একদিন একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা যেখানে কাজ করবে গ্রামের বিধবা নারী কিংবা নিম্নবিত্ত পরিবারের স্কুলপড়ুয়া মেয়েরা। তারা আত্মনির্ভরশীল হবে, অন্যের ওপর নির্ভর করতে হবে না। পাশাপাশি অনলাইন প্ল্যাটফর্মকে প্রতারণামুক্ত রাখার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেছেন তিনি।

নতুন উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে ফৌজিয়া আফরোজ বলেন, “অনলাইনে ব্যবসা করলে রাতারাতি লাখপতি হওয়া যায়—এমন মানসিকতা বাদ দিতে হবে। কেউ সফল হয়েছেন মানে এই নয়, আপনিও হবেন। নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ বেছে নিন, পড়াশোনা চালিয়ে যান, পেজে সক্রিয় থাকুন, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করুন। তাহলেই সাফল্য আসবে।”

সংগ্রামী এই তরুণীর গল্প আজ ঝিনাইদহের নারী সমাজকে অনুপ্রাণিত করছে। তিনি প্রমাণ করেছেন, ইচ্ছাশক্তি ও পরিশ্রম থাকলে নারী কোনো ক্ষেত্রেই পিছিয়ে নেই।