Hi

০৬:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ২১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে  হুলস্থুল! আ.লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ‘বিগ শট’ নেতারা হাজতে! পুরনো ‘ভাঙচুর’ মামলায় কাঁপছে রাজনীতি! 

  • আপডেট : ০৮:৩৮:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫
  • ৫৩৪ জন দেখেছে

ঝিনাইদহে  হুলস্থুল! আ.লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ‘বিগ শট’ নেতারা হাজতে! পুরনো ‘ভাঙচুর’ মামলায় কাঁপছে রাজনীতি!

 

স্টাফ রিপোর্টার:
ঝিনাইদহ, ৬ অক্টোবর ২০২৫—আজ ঝিনাইদহের রাজনীতিতে যেন ভূমিকম্প! জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দুই সাবেক চেয়ারম্যান-সহ ক্ষমতাসীন দলের তিন হেভিওয়েট নেতা আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে ওঠা গত বছরের বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর-সহ একাধিক মামলার ঘটনায় আদালত তাঁদের সরাসরি জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন!

এই খবর চাউর হতেই ঝিনাইদহের রাজনৈতিক মহলে তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছে। জেলার প্রভাবশালী এই নেতারা স্বেচ্ছায় আদালতে আসায় অনেকেই বলছেন, পরিস্থিতি ছিল ‘হিট’!

💥 কারা এই তিন প্রভাবশালী নেতা? কেন এই আত্মসমর্পণ?
আজ (সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫) সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে ঝিনাইদহের বিভিন্ন জুডিশিয়াল আমলী আদালতে এই তিন নেতা একসঙ্গে আত্মসমর্পণ করেন। এরপরই আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আত্মসমর্পণকারী নেতারা হলেন:
* জাহাঙ্গীর হোসাইন: হরিণাকুন্ডু উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান।
* রানা হামিদ: ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক।
* রাকিবুল হাসান রাসেল: রঘুনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।

এই তিন নেতার বিরুদ্ধে ৪ আগস্ট ২০২৪ সালে বিএনপি কার্যালয়-সহ বিভিন্ন বিরোধীদলীয় নেতৃবৃন্দের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে ভাঙচুর ও হামলার একাধিক মামলা রয়েছে। প্রায় এক বছরের পুরোনো এই মামলার বিচারিক প্রক্রিয়া এড়াতে পারছিলেন না তাঁরা। শেষমেশ, আইনি ঝামেলা থেকে বাঁচতে নয়, বরং আত্মসমর্পণের পথেই হাঁটতে হলো তাঁদের।

⚖️ রাজনৈতিক মহলে ‘টক অফ দ্য টাউন’
দলীয় পদে থাকা ও সাবেক জনপ্রতিনিধিদের এই আকস্মিক আত্মসমর্পণ এবং জেল হাজতে যাওয়ার ঘটনা ঝিনাইদহ জুড়ে এখন ‘টক অফ দ্য টাউন’। বিরোধী দল এই ঘটনাকে ‘ন্যায়বিচারের প্রাথমিক ধাপ’ বলে দাবি করছে। অন্যদিকে, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা এ বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন।

নেতাদের কারাগারে পাঠানোয় তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঝিনাইদহের রাজনীতিতে তাদের অনুপস্থিতি এখন কোন দিকে মোড় নেয়, সেটাই দেখার অপেক্ষা!

লেখক সম্পর্কে তথ্য

জনপ্রিয়

ঝিনাইদহে  হুলস্থুল! আ.লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ‘বিগ শট’ নেতারা হাজতে! পুরনো ‘ভাঙচুর’ মামলায় কাঁপছে রাজনীতি! 

ঝিনাইদহে  হুলস্থুল! আ.লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ‘বিগ শট’ নেতারা হাজতে! পুরনো ‘ভাঙচুর’ মামলায় কাঁপছে রাজনীতি! 

আপডেট : ০৮:৩৮:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫

ঝিনাইদহে  হুলস্থুল! আ.লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ‘বিগ শট’ নেতারা হাজতে! পুরনো ‘ভাঙচুর’ মামলায় কাঁপছে রাজনীতি!

 

স্টাফ রিপোর্টার:
ঝিনাইদহ, ৬ অক্টোবর ২০২৫—আজ ঝিনাইদহের রাজনীতিতে যেন ভূমিকম্প! জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দুই সাবেক চেয়ারম্যান-সহ ক্ষমতাসীন দলের তিন হেভিওয়েট নেতা আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে ওঠা গত বছরের বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর-সহ একাধিক মামলার ঘটনায় আদালত তাঁদের সরাসরি জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন!

এই খবর চাউর হতেই ঝিনাইদহের রাজনৈতিক মহলে তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছে। জেলার প্রভাবশালী এই নেতারা স্বেচ্ছায় আদালতে আসায় অনেকেই বলছেন, পরিস্থিতি ছিল ‘হিট’!

💥 কারা এই তিন প্রভাবশালী নেতা? কেন এই আত্মসমর্পণ?
আজ (সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫) সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে ঝিনাইদহের বিভিন্ন জুডিশিয়াল আমলী আদালতে এই তিন নেতা একসঙ্গে আত্মসমর্পণ করেন। এরপরই আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আত্মসমর্পণকারী নেতারা হলেন:
* জাহাঙ্গীর হোসাইন: হরিণাকুন্ডু উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান।
* রানা হামিদ: ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক।
* রাকিবুল হাসান রাসেল: রঘুনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।

এই তিন নেতার বিরুদ্ধে ৪ আগস্ট ২০২৪ সালে বিএনপি কার্যালয়-সহ বিভিন্ন বিরোধীদলীয় নেতৃবৃন্দের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে ভাঙচুর ও হামলার একাধিক মামলা রয়েছে। প্রায় এক বছরের পুরোনো এই মামলার বিচারিক প্রক্রিয়া এড়াতে পারছিলেন না তাঁরা। শেষমেশ, আইনি ঝামেলা থেকে বাঁচতে নয়, বরং আত্মসমর্পণের পথেই হাঁটতে হলো তাঁদের।

⚖️ রাজনৈতিক মহলে ‘টক অফ দ্য টাউন’
দলীয় পদে থাকা ও সাবেক জনপ্রতিনিধিদের এই আকস্মিক আত্মসমর্পণ এবং জেল হাজতে যাওয়ার ঘটনা ঝিনাইদহ জুড়ে এখন ‘টক অফ দ্য টাউন’। বিরোধী দল এই ঘটনাকে ‘ন্যায়বিচারের প্রাথমিক ধাপ’ বলে দাবি করছে। অন্যদিকে, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা এ বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন।

নেতাদের কারাগারে পাঠানোয় তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঝিনাইদহের রাজনীতিতে তাদের অনুপস্থিতি এখন কোন দিকে মোড় নেয়, সেটাই দেখার অপেক্ষা!