Hi

১০:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নড়াইলে লালন সাধককে মারধর ও বাদ্যযন্ত্র ভাঙচুরের অভিযোগ, সংস্কৃতিকর্মীদের মানববন্ধন

নড়াইলে লালন সাধক হারেজ ফকিরকে (৭০) মারধর করে তার হারমোনিয়াম, তবলা, একতারা, বাঁশিসহ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র ভেঙে ফেলার অভিযোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) নড়াইল প্রেসক্লাব চত্বরে আয়োজিত এ মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শিল্প-সংস্কৃতির ওপর আঘাত কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এ ধরনের ঘটনা আমরা আর দেখতে চাই না।

গত ৩১ আগস্ট থানায় দেয়া লিখিত অভিযোগে লালন সাধক হারেজ ফকির জানান, ২৭ আগস্ট রাত ১০টার দিকে স্থানীয় ভক্তদের নিয়ে গান পরিবেশন করছিলেন তিনি। এ সময় পুরুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম মনি মিয়ার বড় ভাই জামাত নেতা আলী মিয়া, মিন্টু শেখসহ তার লোকজন হারেজ ফকিরকে মারধর করে বাদ্যযন্ত্রসহ বিভিন্ন মালপত্র ভাঙচুর করে।

অবশ্য অভিযোগ দেয়ার দুদিন পর, গতকাল থানায় গিয়ে হারেজ ফকির তার অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন কালিয়া থানার ওসি শেখ তাসমীম আলম। হারেজ ফকির পুলিশকে বলেছেন, ভুল বোঝাবুঝির জের ধরে আলী মিয়া ও মিন্টু শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছিলেন তিনি। ভেঙে ফেলা বাদ্যযন্ত্রগুলোও অভিডুক্তরা কিনে দেবেন। লালন সাধক হারেজ জানান, অভিযুক্ত আলী মিয়ার ফুফাতো বোনকে বিয়ে করেছে তিনি। তারা পরস্পর আত্মীয়।

অভিযুক্ত আলী মিয়ার বক্তব্য, হারেজ ফকির গান-বাজনার আড়ালে গাঁজা সেবন ও বেচাকেনা করে আসছেন। এর মাধ্যমে তিনি এলাকার যুব সমাজকে ধ্বংস করছেন। তাকে বিভিন্ন সময় নিষেধ করা সত্ত্বেও মাদক বেচাকেনা বন্ধ হয়নি। তবে হারেজ ফকিরের বাদ্যযন্ত্র ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীবকার করেছেন তিনি।

লেখক সম্পর্কে তথ্য

জনপ্রিয়

মৌলভীবাজারে ‘জুলাই মঞ্চ’-এর জেলা কাঠামো প্রকাশ: আহ্বায়ক তানজিয়া শিশির, মুখপাত্র মো. তানিম হোসেন রুহিন

নড়াইলে লালন সাধককে মারধর ও বাদ্যযন্ত্র ভাঙচুরের অভিযোগ, সংস্কৃতিকর্মীদের মানববন্ধন

আপডেট : ১০:২৪:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

নড়াইলে লালন সাধক হারেজ ফকিরকে (৭০) মারধর করে তার হারমোনিয়াম, তবলা, একতারা, বাঁশিসহ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র ভেঙে ফেলার অভিযোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) নড়াইল প্রেসক্লাব চত্বরে আয়োজিত এ মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শিল্প-সংস্কৃতির ওপর আঘাত কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এ ধরনের ঘটনা আমরা আর দেখতে চাই না।

গত ৩১ আগস্ট থানায় দেয়া লিখিত অভিযোগে লালন সাধক হারেজ ফকির জানান, ২৭ আগস্ট রাত ১০টার দিকে স্থানীয় ভক্তদের নিয়ে গান পরিবেশন করছিলেন তিনি। এ সময় পুরুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম মনি মিয়ার বড় ভাই জামাত নেতা আলী মিয়া, মিন্টু শেখসহ তার লোকজন হারেজ ফকিরকে মারধর করে বাদ্যযন্ত্রসহ বিভিন্ন মালপত্র ভাঙচুর করে।

অবশ্য অভিযোগ দেয়ার দুদিন পর, গতকাল থানায় গিয়ে হারেজ ফকির তার অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন কালিয়া থানার ওসি শেখ তাসমীম আলম। হারেজ ফকির পুলিশকে বলেছেন, ভুল বোঝাবুঝির জের ধরে আলী মিয়া ও মিন্টু শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছিলেন তিনি। ভেঙে ফেলা বাদ্যযন্ত্রগুলোও অভিডুক্তরা কিনে দেবেন। লালন সাধক হারেজ জানান, অভিযুক্ত আলী মিয়ার ফুফাতো বোনকে বিয়ে করেছে তিনি। তারা পরস্পর আত্মীয়।

অভিযুক্ত আলী মিয়ার বক্তব্য, হারেজ ফকির গান-বাজনার আড়ালে গাঁজা সেবন ও বেচাকেনা করে আসছেন। এর মাধ্যমে তিনি এলাকার যুব সমাজকে ধ্বংস করছেন। তাকে বিভিন্ন সময় নিষেধ করা সত্ত্বেও মাদক বেচাকেনা বন্ধ হয়নি। তবে হারেজ ফকিরের বাদ্যযন্ত্র ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীবকার করেছেন তিনি।