Hi

০৪:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ২০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কালীগঞ্জে জামায়াত নেতা ইউনুস আলীর মৃত্যু: পরিবারের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে বিতর্ক, বিএনপি’র ভাবমূর্তি নষ্টের অভিযোগ

ঝিনাইদহ, ১৬ জুন ২০২৫: সম্প্রতি জামাল ইউনিয়নে জামায়াত নেতা ইউনুস আলীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার ভাই ইয়াকুব আলী বিশ্বাসের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। ইয়াকুব আলী বিশ্বাস নিজেকে এবং তার ভাই ইউনুস আলীকে ‘পুরোনো বিএনপি’ কর্মী হিসেবে দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে যাচ্ছেন। তবে তার এই দাবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ইয়াকুব আলী বিশ্বাসের বাড়ি নাকোবাড়িয়া গ্রামে হলেও, যে জামায়াতের সভায় তাকে (ছবিতে লাল বৃত্ত চিহ্নিত) উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে, সেই সভাটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ভিন্ন এলাকা নাটোপাড়া গ্রামে। প্রশ্ন উঠেছে, একজন যদি প্রকৃতই বিএনপির কর্মী হন, তবে তিনি কেন দূরবর্তী স্থানে জামায়াতের একটি সভায় উপস্থিত থাকবেন?

সংশ্লিষ্ট সূত্র ও পর্যবেক্ষকদের দাবি, ধীরে ধীরে ঘটনার পেছনের সত্য উন্মোচিত হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে যে, ইউনুস, মহব্বত, ইয়াকুব, অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান এবং সাংবাদিক বনি আমিনদের পরিবারটি মূলত জামায়াতে ইসলামীর একটি ‘বিশ্বস্ত ঘাঁটি’। ধারণা করা হচ্ছে, কালীগঞ্জে জামায়াতে ইসলামী পরিকল্পিতভাবে বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করতে সুকৌশলে জামায়াত ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সংগঠিত করে সহিংসতার ঘটনা ঘটিয়েছিল। এমনকি, নিজেদের কর্মী নিহতের ঘটনাকেও তারা ‘বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত’ বলে চালিয়ে দিচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে অভিযোগ উঠেছে যে, বিএনপির কিছু ‘পথভ্রষ্ট ও দলবিচ্ছিন্ন’ নেতা জামায়াতের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে বিএনপির ধ্বংসের খেলায় মেতে উঠেছেন। এই ঘটনাগুলো কালীগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনা ও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।


লেখক সম্পর্কে তথ্য

শিক্ষকদের পায়ে ফুল, আর সেই সঙ্গে ‘শিক্ষাগুরুর মর্যাদা’ নিয়ে ঝড় তোলা পাঠচক্র! ঝিনাইদহ বন্ধুসভার এক অন্যরকম শিক্ষক দিবস উদযাপন, যা মন জয় করেছে সবার! ঝিনাইদহ: ‘শিক্ষাগুরুর মর্যাদা’ নিয়ে কবিতা-আলোচনা!

কালীগঞ্জে জামায়াত নেতা ইউনুস আলীর মৃত্যু: পরিবারের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে বিতর্ক, বিএনপি’র ভাবমূর্তি নষ্টের অভিযোগ

আপডেট : ১১:৩৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

ঝিনাইদহ, ১৬ জুন ২০২৫: সম্প্রতি জামাল ইউনিয়নে জামায়াত নেতা ইউনুস আলীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার ভাই ইয়াকুব আলী বিশ্বাসের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। ইয়াকুব আলী বিশ্বাস নিজেকে এবং তার ভাই ইউনুস আলীকে ‘পুরোনো বিএনপি’ কর্মী হিসেবে দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে যাচ্ছেন। তবে তার এই দাবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ইয়াকুব আলী বিশ্বাসের বাড়ি নাকোবাড়িয়া গ্রামে হলেও, যে জামায়াতের সভায় তাকে (ছবিতে লাল বৃত্ত চিহ্নিত) উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে, সেই সভাটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ভিন্ন এলাকা নাটোপাড়া গ্রামে। প্রশ্ন উঠেছে, একজন যদি প্রকৃতই বিএনপির কর্মী হন, তবে তিনি কেন দূরবর্তী স্থানে জামায়াতের একটি সভায় উপস্থিত থাকবেন?

সংশ্লিষ্ট সূত্র ও পর্যবেক্ষকদের দাবি, ধীরে ধীরে ঘটনার পেছনের সত্য উন্মোচিত হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে যে, ইউনুস, মহব্বত, ইয়াকুব, অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান এবং সাংবাদিক বনি আমিনদের পরিবারটি মূলত জামায়াতে ইসলামীর একটি ‘বিশ্বস্ত ঘাঁটি’। ধারণা করা হচ্ছে, কালীগঞ্জে জামায়াতে ইসলামী পরিকল্পিতভাবে বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করতে সুকৌশলে জামায়াত ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সংগঠিত করে সহিংসতার ঘটনা ঘটিয়েছিল। এমনকি, নিজেদের কর্মী নিহতের ঘটনাকেও তারা ‘বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত’ বলে চালিয়ে দিচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে অভিযোগ উঠেছে যে, বিএনপির কিছু ‘পথভ্রষ্ট ও দলবিচ্ছিন্ন’ নেতা জামায়াতের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে বিএনপির ধ্বংসের খেলায় মেতে উঠেছেন। এই ঘটনাগুলো কালীগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনা ও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।