সম্প্রতি ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জি৭ মিটিং শেষ না করেই ওয়াশিংটনে ফিরে গেছেন এবং তেহরানের সকল নাগরিককে অবিলম্বে শহর ছাড়ার জন্য বলেছেন। ট্রাম্পের এই ঘোষণার পর মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের দামামা বাজতে শুরু করেছে।
ইরানও তাদের জাদুঘর থেকে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সরিয়ে নিচ্ছে এবং দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি দেশবাসীর উদ্দেশে আবেগঘন ভাষণ দিয়েছেন। খামেনি বলেছেন, তাদের নীতির প্রতি অটল থাকতে, এমনকি যদি তাকে হত্যা করা হয় তবুও যেন তারা পিছপা না হয়।
ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) ইসরায়েলের উদ্দেশ্যে হিব্রু ভাষায় একটি সতর্কবার্তা জারি করেছে, যেখানে তারা ইসরায়েলের সম্পূর্ণ অঞ্চল খালি করার কথা বলেছে। আইআরজিসি জানিয়েছে, অধিকৃত অঞ্চলে অবস্থিত যেকোনো শহর, স্থাপন বা কেন্দ্র ইরানের বৈধ সামরিক লক্ষ্যবস্তু হিসেবে বিবেচিত হবে।
এই পরিস্থিতিতে মার্কিন সেনেটর বার্নি স্যান্ডার্স “নো ওয়ার এগেইনস্ট ইরান অ্যাক্ট” নামে একটি বিল উত্থাপন করেছেন। এই বিলের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত রাখা হবে। তবে আত্মরক্ষার ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।
অন্যদিকে, চীন তাদের নাগরিকদের দ্রুত ইসরায়েল ত্যাগ করার পরামর্শ দিয়েছে এবং জর্ডানের স্থলসীমান্ত ব্যবহার করে নিরাপদে বেরিয়ে যাওয়ার কথা বলেছে। কারণ, ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের কারণে সেখানকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে অবশ্য আন্তর্জাতিক সাংবাদিকদের হাইফাতে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না, যা থেকে মনে করা হচ্ছে তারা সেখানকার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ গোপন করতে চাইছে।
বিশ্লেষকদের মতে, আমেরিকা সরাসরি যুদ্ধে অংশ না নিলে ইসরায়েলের পক্ষে ইরানের আকাশসীমা দখল করা সম্ভব হবে না এবং তাদের পিছু হটতে হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যে একটি বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।