জামালগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, ১৮ জুন ২০২৫: জামালগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বর্তমান উপদেষ্টা, প্রবীণ সাংবাদিক আব্দুল আহাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে মানহানিকর অপচেষ্টা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়ভাবে ব্যাপক আলোচিত এই ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে সদর ইউনিয়নের শাহপুর গ্রামের মৃত হাজী আব্দুল বারিকের ছেলে এবং উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ফখরুল আলম চৌধুরীর নাম উঠে এসেছে। উল্লেখ্য, ফখরুল আলম চৌধুরী পলাতক আওয়ামী লীগ নেতা ‘ডেভিল’ খ্যাত আব্দুল মুকীত চৌধুরীর ছোট ভাই।
সাংবাদিক আব্দুল আহাদ অভিযোগ করে বলেন, সম্প্রতি জামায়াত নেতা এটিএম আযহারুল ইসলাম মুক্তি পাওয়ার পর জামালগঞ্জে আয়োজিত একটি দোয়া মাহফিলের সংবাদ তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করলে, সেটিকে কেন্দ্র করে ফখরুল আলম তার বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক আচরণ শুরু করেন।
আহাদ আরও জানান, গত ঈদুল আযহায় শহীদ সোহাগের বাড়িতে সংবাদ সংগ্রহের সময় সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল মামুনের মোটরসাইকেলে থাকা অবস্থায় জামায়াতের নায়েবে আমির ফখরুল আলম তাদের পথরোধ করে জনসম্মুখে সাংবাদিক আব্দুল আহাদকে উদ্দেশ্য করে আপত্তিকর ও মানহানিকর বক্তব্য দেন। উপস্থিত লোকজনের হস্তক্ষেপে বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়।
এছাড়া, আহাদ অভিযোগ করেন যে, তেলিয়া নতুনপাড়া জামে মসজিদের দুটি সরকারি প্রকল্প (নং ৫৪ ও বি-০৬), যেগুলোর সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন আ. মজিদ ও রমজান আলী, সে প্রকল্প নিয়ে ফখরুল আলম মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করেছেন।
সাংবাদিক আহাদ আরও জানান, ২০০৫ সাল থেকে তার বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা, জিডি ও অপপ্রচার চালিয়ে আসছেন ফখরুল আলম। ২০০৬ সালের একটি জিডি (নং ১০৩, তারিখ: ৩/১১/২০০৬) এবং ২০০৯ সালে জঙ্গি অপবাদ দেওয়ার চেষ্টা তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিক আহাদকে হয়রানির পাশাপাশি এলাকায় নানা ধরনের অপতৎপরতায় লিপ্ত জামায়াতের নায়েবে আমির ফখরুল আলম। তার এসব কর্মকাণ্ডে বড় ভাই আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মুকীত চৌধুরী মদদ দিয়ে আসছিলেন বলেও তারা উল্লেখ করেন।
বর্তমানে জামায়াত পরিচয়ে এলাকায় দাপিয়ে বেড়ানো এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল। তারা বলেন, এ ধরনের মামলাবাজ ও মিথ্যাচারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত, যাতে ভবিষ্যতে কেউ সাংবাদিকদের হয়রানির সাহস না পায়।