Hi

০৮:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ২১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শহীদ ইমাম ওমর ফারুক ত্রিপুরার স্মরণে রাঙ্গামাটিতে দোয়া ও আলোচনা সভা

বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলায় নিরীহ ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের সদস্য ইমাম ওমর ফারুক ত্রিপুরাকে নির্মমভাবে হত্যার প্রতিবাদে এবং তাঁর স্মরণে রাঙ্গামাটিতে এক দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম সম-অধিকার আন্দোলন, রাঙ্গামাটি জেলা শাখা আজ (১৮ জুন, ২০২৫) বুধবার সকালে রাঙ্গামাটি বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সের হল রুমে এই সভার আয়োজন করে।

সভায় বক্তারা পার্বত্য চট্টগ্রামের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তাঁরা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বৈষম্য, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, খুন, গুম ও অপহরণের মহোৎসব চলছে, অথচ সরকার ও রাষ্ট্র এ বিষয়ে নীরব। বক্তাদের অভিযোগ, শান্তি চুক্তির নামে একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়া হয়েছে, যার ফলস্বরূপ অন্যান্য জনগোষ্ঠী পরাধীনতার শিকার। তাঁরা আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদকে “মিনি সংসদ” বানিয়ে পুরো প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে, যার কারণে সন্ত্রাসীরা একের পর এক হত্যাকাণ্ড ঘটালেও কোনো বিচার হচ্ছে না। রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা, তদন্ত বা বিচারের অভাবকে এই “বিচারহীনতার সংস্কৃতি”-এর জন্য দায়ী করে বক্তারা বলেন, এটি সন্ত্রাসীদের আরও বেপরোয়া করে তুলেছে। তাঁরা জোর দিয়ে বলেন, হাজার হাজার ওমর ফারুক ত্রিপুরা হত্যা হলেও আজও তাঁরা বিচার থেকে বঞ্চিত।

নুরুল আবছার-এর সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীর কামাল। প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক ও নাগরিক প্রতিনিধি কামাল হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আব্দুল কাদের (টিচার্স ট্রেনার), মাওলানা শামসুল ইসলাম এবং মোঃ সাখাওয়াত হোসেন (সংগঠক, যুব অধিকার পরিষদ, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা)। ছাত্র প্রতিনিধিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন: মো: লোকমান হাকিম, মোঃ ইমাম হোছাইন ইমু, শাহিরুল হক, আনিসুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম সহ আরও অনেকে। সভায় সভাপতিত্ব করেন সম-অধিকার আন্দোলনের প্রবীণ নেতা কাজী জালোয়া।

বক্তারা পার্বত্য চট্টগ্রামে বিদ্যমান সন্ত্রাস ও অবিচারের অবসান দাবি করেন। একইসাথে, তাঁরা অবিলম্বে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী সকল সম্প্রদায়কে সমান সাংবিধানিক অধিকার ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

ট্যাগ :
লেখক সম্পর্কে তথ্য

শিক্ষকদের পায়ে ফুল, আর সেই সঙ্গে ‘শিক্ষাগুরুর মর্যাদা’ নিয়ে ঝড় তোলা পাঠচক্র! ঝিনাইদহ বন্ধুসভার এক অন্যরকম শিক্ষক দিবস উদযাপন, যা মন জয় করেছে সবার! ঝিনাইদহ: ‘শিক্ষাগুরুর মর্যাদা’ নিয়ে কবিতা-আলোচনা!

শহীদ ইমাম ওমর ফারুক ত্রিপুরার স্মরণে রাঙ্গামাটিতে দোয়া ও আলোচনা সভা

আপডেট : ০৩:২৩:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলায় নিরীহ ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের সদস্য ইমাম ওমর ফারুক ত্রিপুরাকে নির্মমভাবে হত্যার প্রতিবাদে এবং তাঁর স্মরণে রাঙ্গামাটিতে এক দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম সম-অধিকার আন্দোলন, রাঙ্গামাটি জেলা শাখা আজ (১৮ জুন, ২০২৫) বুধবার সকালে রাঙ্গামাটি বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সের হল রুমে এই সভার আয়োজন করে।

সভায় বক্তারা পার্বত্য চট্টগ্রামের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তাঁরা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বৈষম্য, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, খুন, গুম ও অপহরণের মহোৎসব চলছে, অথচ সরকার ও রাষ্ট্র এ বিষয়ে নীরব। বক্তাদের অভিযোগ, শান্তি চুক্তির নামে একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়া হয়েছে, যার ফলস্বরূপ অন্যান্য জনগোষ্ঠী পরাধীনতার শিকার। তাঁরা আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদকে “মিনি সংসদ” বানিয়ে পুরো প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে, যার কারণে সন্ত্রাসীরা একের পর এক হত্যাকাণ্ড ঘটালেও কোনো বিচার হচ্ছে না। রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা, তদন্ত বা বিচারের অভাবকে এই “বিচারহীনতার সংস্কৃতি”-এর জন্য দায়ী করে বক্তারা বলেন, এটি সন্ত্রাসীদের আরও বেপরোয়া করে তুলেছে। তাঁরা জোর দিয়ে বলেন, হাজার হাজার ওমর ফারুক ত্রিপুরা হত্যা হলেও আজও তাঁরা বিচার থেকে বঞ্চিত।

নুরুল আবছার-এর সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীর কামাল। প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক ও নাগরিক প্রতিনিধি কামাল হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আব্দুল কাদের (টিচার্স ট্রেনার), মাওলানা শামসুল ইসলাম এবং মোঃ সাখাওয়াত হোসেন (সংগঠক, যুব অধিকার পরিষদ, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা)। ছাত্র প্রতিনিধিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন: মো: লোকমান হাকিম, মোঃ ইমাম হোছাইন ইমু, শাহিরুল হক, আনিসুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম সহ আরও অনেকে। সভায় সভাপতিত্ব করেন সম-অধিকার আন্দোলনের প্রবীণ নেতা কাজী জালোয়া।

বক্তারা পার্বত্য চট্টগ্রামে বিদ্যমান সন্ত্রাস ও অবিচারের অবসান দাবি করেন। একইসাথে, তাঁরা অবিলম্বে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী সকল সম্প্রদায়কে সমান সাংবিধানিক অধিকার ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।