Hi

১০:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ২১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজশাহী প্রেসক্লাব অবৈধ দখলমুক্ত করার দাবিতে সাংবাদিকদের স্মারকলিপি, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা

রাজশাহী প্রেসক্লাব অবৈধ দখলমুক্ত করার দাবিতে সাংবাদিকদের স্মারকলিপি, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা

রাজশাহী, ১৯ জুন ২০২৫: দেশের অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী সাংবাদিক সংগঠন রাজশাহী প্রেসক্লাবকে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের কবল থেকে রক্ষায় অবিলম্বে প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে রাজশাহীর শতাধিক সিনিয়র ও পেশাদার সাংবাদিক জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহীর সাংবাদিক সমাজের পক্ষে রাজশাহী প্রেসক্লাবের সভাপতি জনাব সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে এই স্মারকলিপি জেলা প্রশাসক বরাবর হস্তান্তর করা হয়। এ সময় জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রায় শতাধিক অভিজ্ঞ ও নিরপেক্ষ সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও অবৈধভাবে সাংবাদিক পরিচয়দানকারী নজরুল ইসলাম জুলু সশস্ত্র সঙ্গীদের নিয়ে রাজশাহী প্রেসক্লাবে হামলা চালিয়ে অবৈধভাবে দখল নেয়। হামলার সময় ক্লাবের তালা ভেঙে অস্ত্রের মুখে প্রকৃত সাংবাদিকদের বের করে দিয়ে ক্লাবের ভেতরে থাকা গুরুত্বপূর্ণ নথি, আসবাবপত্র ও আর্থিক সম্পদ লুটপাট করা হয়।

এছাড়া, জুলু ও তার অনুসারীরা প্রেসক্লাবকে ঘিরে চাঁদাবাজি, জুয়া ও মামলাবাণিজ্যের মতো অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে বলেও স্মারকলিপিতে অভিযোগ করা হয়েছে। এর ফলে প্রকৃত ও পেশাদার সাংবাদিকরা চরম নিরাপত্তাহীনতা ও পেশাগত কাজে হুমকির মুখে পড়েছেন।

স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়, রাজশাহী প্রেসক্লাব ১৯৫৪ সালে এমএনএ জননেতা আতাউর রহমানের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি জাতীয় প্রেসক্লাবের পর দেশের দ্বিতীয় প্রাচীন প্রেসক্লাব হিসেবে পরিচিত। এ ক্লাবটি বহু ঐতিহাসিক গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ ছিল এবং বাকস্বাধীনতার পক্ষে সাহসী ভূমিকা রেখেছে।

স্মারকলিপি প্রদানের সময় সাংবাদিকেরা বলেন, “আমরা রাজশাহীর সাংবাদিক সমাজ জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যাতে দ্রুত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে এই ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানকে অবৈধ দখলমুক্ত করে প্রকৃত সাংবাদিকদের নিকট ফিরিয়ে দেওয়া হয়।”

একইসঙ্গে এই স্মারকলিপির কপি বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, ডিজিএফআই রাজশাহী জেলা শাখা ও র‍্যাব-৫ এর নিকটও প্রেরণ করা হয়েছে। সাংবাদিক নেতারা জানান, ইতোমধ্যে দেশের অন্যান্য জেলার মতো (যেমন পঞ্চগড়) প্রশাসনের সক্রিয় উদ্যোগে প্রেসক্লাব দখলমুক্ত হয়েছে। রাজশাহীতেও তেমন দৃষ্টান্ত স্থাপনের মাধ্যমে প্রশাসন সাংবাদিকতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় ঐতিহাসিক ভূমিকা রাখতে পারে।

ট্যাগ :
লেখক সম্পর্কে তথ্য

শিক্ষকদের পায়ে ফুল, আর সেই সঙ্গে ‘শিক্ষাগুরুর মর্যাদা’ নিয়ে ঝড় তোলা পাঠচক্র! ঝিনাইদহ বন্ধুসভার এক অন্যরকম শিক্ষক দিবস উদযাপন, যা মন জয় করেছে সবার! ঝিনাইদহ: ‘শিক্ষাগুরুর মর্যাদা’ নিয়ে কবিতা-আলোচনা!

রাজশাহী প্রেসক্লাব অবৈধ দখলমুক্ত করার দাবিতে সাংবাদিকদের স্মারকলিপি, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা

আপডেট : ০৩:০৮:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

রাজশাহী প্রেসক্লাব অবৈধ দখলমুক্ত করার দাবিতে সাংবাদিকদের স্মারকলিপি, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা

রাজশাহী, ১৯ জুন ২০২৫: দেশের অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী সাংবাদিক সংগঠন রাজশাহী প্রেসক্লাবকে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের কবল থেকে রক্ষায় অবিলম্বে প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে রাজশাহীর শতাধিক সিনিয়র ও পেশাদার সাংবাদিক জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহীর সাংবাদিক সমাজের পক্ষে রাজশাহী প্রেসক্লাবের সভাপতি জনাব সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে এই স্মারকলিপি জেলা প্রশাসক বরাবর হস্তান্তর করা হয়। এ সময় জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রায় শতাধিক অভিজ্ঞ ও নিরপেক্ষ সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও অবৈধভাবে সাংবাদিক পরিচয়দানকারী নজরুল ইসলাম জুলু সশস্ত্র সঙ্গীদের নিয়ে রাজশাহী প্রেসক্লাবে হামলা চালিয়ে অবৈধভাবে দখল নেয়। হামলার সময় ক্লাবের তালা ভেঙে অস্ত্রের মুখে প্রকৃত সাংবাদিকদের বের করে দিয়ে ক্লাবের ভেতরে থাকা গুরুত্বপূর্ণ নথি, আসবাবপত্র ও আর্থিক সম্পদ লুটপাট করা হয়।

এছাড়া, জুলু ও তার অনুসারীরা প্রেসক্লাবকে ঘিরে চাঁদাবাজি, জুয়া ও মামলাবাণিজ্যের মতো অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে বলেও স্মারকলিপিতে অভিযোগ করা হয়েছে। এর ফলে প্রকৃত ও পেশাদার সাংবাদিকরা চরম নিরাপত্তাহীনতা ও পেশাগত কাজে হুমকির মুখে পড়েছেন।

স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়, রাজশাহী প্রেসক্লাব ১৯৫৪ সালে এমএনএ জননেতা আতাউর রহমানের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি জাতীয় প্রেসক্লাবের পর দেশের দ্বিতীয় প্রাচীন প্রেসক্লাব হিসেবে পরিচিত। এ ক্লাবটি বহু ঐতিহাসিক গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ ছিল এবং বাকস্বাধীনতার পক্ষে সাহসী ভূমিকা রেখেছে।

স্মারকলিপি প্রদানের সময় সাংবাদিকেরা বলেন, “আমরা রাজশাহীর সাংবাদিক সমাজ জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যাতে দ্রুত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে এই ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানকে অবৈধ দখলমুক্ত করে প্রকৃত সাংবাদিকদের নিকট ফিরিয়ে দেওয়া হয়।”

একইসঙ্গে এই স্মারকলিপির কপি বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, ডিজিএফআই রাজশাহী জেলা শাখা ও র‍্যাব-৫ এর নিকটও প্রেরণ করা হয়েছে। সাংবাদিক নেতারা জানান, ইতোমধ্যে দেশের অন্যান্য জেলার মতো (যেমন পঞ্চগড়) প্রশাসনের সক্রিয় উদ্যোগে প্রেসক্লাব দখলমুক্ত হয়েছে। রাজশাহীতেও তেমন দৃষ্টান্ত স্থাপনের মাধ্যমে প্রশাসন সাংবাদিকতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় ঐতিহাসিক ভূমিকা রাখতে পারে।