টাঙ্গাইল, ২০ জুন ২০২৫: মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী মো. জুনায়েদ হোসেনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (২০ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী সন্তোষ পুরাতন পাড়ার একটি মেস থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. ইমাম হোসেন জানান, সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান তাকে ঘটনাটি জানালে তিনি উপাচার্যসহ জুনায়েদের মেসে যান। কাগমারী পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দিলে তারা এসে রুমের ভেতর থেকে লাশ উদ্ধার করে। প্রক্টর প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন, জুনায়েদ অনেকদিন ধরে হতাশায় ভুগছিলেন, যার কারণে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।
কাগমারী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ছাইফুল ইসলাম জানান, “গতকাল সকালে জুনায়েদ পাশের রুমের এক শিক্ষার্থীকে বলেন, ‘আমি ঘুমাবো, আমাকে ডাকিস না।’ এরপর সারারাত কেউ তাকে ডাকেনি। পরদিন সকাল ও দুপুরে ঘুম থেকে না ওঠায় সন্দেহ জাগে। অনেক ডাকাডাকি করেও সাড়া না পাওয়ায় বিষয়টি প্রক্টরকে জানানো হয়। তার ফোন পাওয়ার পর আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করি। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই ধারণা করা হচ্ছে। তবে তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।”
জুনায়েদের মৃত্যুতে তার সহপাঠীরাও শোকাহত। তারা জানান, জুনায়েদ ছিলেন অত্যন্ত শান্ত স্বভাবের ও ভদ্র একজন মানুষ। সহপাঠীদের সঙ্গে সবসময় ভদ্র ব্যবহার করতেন এবং কারও সঙ্গে উচ্চস্বরে কথা বলতে কখনও দেখা যায়নি।
এদিকে, জুনায়েদের রুমের দেওয়ালে আমেরিকান ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার ও সাংবাদিকের একটি উক্তি লেখা ছিল: “World is a fine place and worth fighting for.” (পৃথিবীটা একটা চমৎকার জায়গা এবং এর জন্য লড়াই করা মূল্যবান)।
জুনায়েদ হোসেনের গ্রামের বাড়ি গাজীপুর জেলার পূবাইল গ্রামে। তার মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার সহপাঠী ও শিক্ষকরা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।