আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার মন্তব্য করেছেন যে, পিয়ন পদের মতো সাধারণ চাকরির জন্য অনেক উচ্চশিক্ষিত মানুষ আবেদন করছেন।
শিক্ষিত বেকারের চিত্র
- উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর নিয়োগ প্রক্রিয়ার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, পিয়ন পদের জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা এসএসসি হলেও অনেক স্নাতক ডিগ্রিধারী আবেদন করেছেন।
- একইভাবে, মুদ্রাক্ষরিক পদের জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা এইচএসসি হলেও বহু স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী প্রার্থীরা আবেদন করেছেন।
এই পরিস্থিতি দেখে তিনি প্রশ্ন তোলেন, “আমাদের উচ্চশিক্ষার কী মূল্য আছে? আমরা এখনো কেরানি হওয়ার মানসিকতা থেকে বের হতে পারিনি।”
সমাধানের উপায়
অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, উচ্চশিক্ষিত বেকারদের কর্মসংস্থানে যুক্ত করতে হলে কর্মমুখী শিক্ষার ওপর জোর দিতে হবে। এর মাধ্যমে তারা দক্ষতা অর্জন করে নিজেদের জনসম্পদে পরিণত করতে পারবে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, দারিদ্র্যের কারণে অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়ে। এই সমস্যা সমাধানে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। কারণ তারা দক্ষতাভিত্তিক সাক্ষরতা, জীবনব্যাপী শিক্ষা এবং বাজারের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে কাজ করছে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, যুব ও ক্রীড়া সচিব মো. মাহবুব উল আলম এবং বাংলাদেশে ইউনেসকোর প্রতিনিধি সুজান ভাইজ। অনুষ্ঠানে প্রদীপ বিশ্বাস এবং ইউসেপ বাংলাদেশ-কে ‘উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা সম্মাননা’ প্রদান করা হয়।