Hi

১২:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নগর ভবনের অচলাবস্থা নিয়ে ইশরাকের ক্ষমা চাওয়ার দাবির জবাবে আসিফ মাহমুদের পাল্টা প্রশ্ন

ঢাকা, ২৫ জুন ২০২৫: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবন ৩৯ দিন তালাবদ্ধ থাকার ঘটনায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের মধ্যে চলমান কথার লড়াই আরও তীব্র হয়েছে। গত সোমবার (২৩ জুন) সকালে নগর ভবনের তালা খুলে দেওয়ার পর এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য চলছিল।

আজ বুধবার (২৫ জুন) এই বিষয়ে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ আবারও তাঁর ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন, যেখানে তিনি ইশরাক হোসেনের ক্ষমা চাওয়ার দাবির বিপরীতে বেশ কিছু পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন।


আসিফ মাহমুদের প্রশ্নাবলি

ফেসবুক স্ট্যাটাসে আসিফ মাহমুদ লিখেছেন:

  • “অকারণে আমার ছবিতে জুতা মারার জন্য কেউ ক্ষমা চেয়েছে?”
  • “গুজবকে কেন্দ্র করে আমার পিতাকে ‘চালচোর’ বলে স্লোগান দেওয়ার জন্য কেউ ক্ষমা চেয়েছে?”
  • “শুরুতেই সরকারপক্ষ থেকে সমাধান চেষ্টা যারা দম্ভভরে প্রত্যাখ্যান করে ভোগান্তির জন্য দায়ী তারা ক্ষমা চেয়েছে?”
  • “নগর ভবন বন্ধ করে ১ কোটির বেশি নগরবাসীকে কষ্ট দেওয়ার জন্য কেউ ক্ষমা চেয়েছে?”
  • “নগর ভবন দখলকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ এবং আহত হওয়ার ঘটনায় কেউ ক্ষমা চেয়েছে?”
  • “ইশরাক হোসেনের বক্তব্য অনুযায়ী উপদেষ্টা পরিষদের সম্মিলিত সিদ্ধান্তের জন্য আমাকে বারবার ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ, আমার পরিবারকে আক্রমণ, জবাই করার স্লোগান দেওয়াসহ অব্যাহত মানহানির জন্য কেউ ক্ষমা চেয়েছে?”

আন্দোলনের পেছনের কারণ ও আসিফ মাহমুদের অবস্থান

আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া আরও লিখেছেন, “কিন্তু আমাকে ক্ষমা চাইতে হবে কারণ আমি বলেছি কয়েকজন নেতার প্ররোচনায় এই আন্দোলন হয়েছে। আমি সত্যি বলেছি, এবং সত্যি যে বলেছি এটা তিনিও জানেন। তাঁকে যে ট্র্যাপে ফেলা হয়েছে, ফর এ বেটার নেগোসিয়েশন ব্যবহার করা হয়েছে তা তিনি ভালো করেই জানেন এবং আমার পরিচিত একাধিক ব্যক্তির কাছে স্বীকারও করেছেন।”

তিনি বলেন, “এত নোংরামি করার পরও গত দেড়মাসে একবারের জন্যও ভদ্রতার লাইন ক্রস করিনি। একবারও ব্যক্তি আক্রমণ করা কিংবা ছোট করে কথা বলিনি। আমার লড়াই, রাজপথ, রাজনৈতিক পথচলা কিংবা পরিবার কেউই আমাকে এই শিক্ষা দেয়নি। আমি ধৈর্য ধরেছি, জবাব দেইনি বলে যে এসব অন্যায় জবাবহীন থেকে যাবে এমনটা না। ইতিহাস সবাইকেই যার যার প্রাপ্য বুঝিয়ে দেয়।”



ট্যাগ :
লেখক সম্পর্কে তথ্য

জনপ্রিয়

মৌলভীবাজারে ‘জুলাই মঞ্চ’-এর জেলা কাঠামো প্রকাশ: আহ্বায়ক তানজিয়া শিশির, মুখপাত্র মো. তানিম হোসেন রুহিন

নগর ভবনের অচলাবস্থা নিয়ে ইশরাকের ক্ষমা চাওয়ার দাবির জবাবে আসিফ মাহমুদের পাল্টা প্রশ্ন

আপডেট : ১১:৩৬:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

ঢাকা, ২৫ জুন ২০২৫: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবন ৩৯ দিন তালাবদ্ধ থাকার ঘটনায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের মধ্যে চলমান কথার লড়াই আরও তীব্র হয়েছে। গত সোমবার (২৩ জুন) সকালে নগর ভবনের তালা খুলে দেওয়ার পর এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য চলছিল।

আজ বুধবার (২৫ জুন) এই বিষয়ে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ আবারও তাঁর ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন, যেখানে তিনি ইশরাক হোসেনের ক্ষমা চাওয়ার দাবির বিপরীতে বেশ কিছু পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন।


আসিফ মাহমুদের প্রশ্নাবলি

ফেসবুক স্ট্যাটাসে আসিফ মাহমুদ লিখেছেন:

  • “অকারণে আমার ছবিতে জুতা মারার জন্য কেউ ক্ষমা চেয়েছে?”
  • “গুজবকে কেন্দ্র করে আমার পিতাকে ‘চালচোর’ বলে স্লোগান দেওয়ার জন্য কেউ ক্ষমা চেয়েছে?”
  • “শুরুতেই সরকারপক্ষ থেকে সমাধান চেষ্টা যারা দম্ভভরে প্রত্যাখ্যান করে ভোগান্তির জন্য দায়ী তারা ক্ষমা চেয়েছে?”
  • “নগর ভবন বন্ধ করে ১ কোটির বেশি নগরবাসীকে কষ্ট দেওয়ার জন্য কেউ ক্ষমা চেয়েছে?”
  • “নগর ভবন দখলকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ এবং আহত হওয়ার ঘটনায় কেউ ক্ষমা চেয়েছে?”
  • “ইশরাক হোসেনের বক্তব্য অনুযায়ী উপদেষ্টা পরিষদের সম্মিলিত সিদ্ধান্তের জন্য আমাকে বারবার ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ, আমার পরিবারকে আক্রমণ, জবাই করার স্লোগান দেওয়াসহ অব্যাহত মানহানির জন্য কেউ ক্ষমা চেয়েছে?”

আন্দোলনের পেছনের কারণ ও আসিফ মাহমুদের অবস্থান

আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া আরও লিখেছেন, “কিন্তু আমাকে ক্ষমা চাইতে হবে কারণ আমি বলেছি কয়েকজন নেতার প্ররোচনায় এই আন্দোলন হয়েছে। আমি সত্যি বলেছি, এবং সত্যি যে বলেছি এটা তিনিও জানেন। তাঁকে যে ট্র্যাপে ফেলা হয়েছে, ফর এ বেটার নেগোসিয়েশন ব্যবহার করা হয়েছে তা তিনি ভালো করেই জানেন এবং আমার পরিচিত একাধিক ব্যক্তির কাছে স্বীকারও করেছেন।”

তিনি বলেন, “এত নোংরামি করার পরও গত দেড়মাসে একবারের জন্যও ভদ্রতার লাইন ক্রস করিনি। একবারও ব্যক্তি আক্রমণ করা কিংবা ছোট করে কথা বলিনি। আমার লড়াই, রাজপথ, রাজনৈতিক পথচলা কিংবা পরিবার কেউই আমাকে এই শিক্ষা দেয়নি। আমি ধৈর্য ধরেছি, জবাব দেইনি বলে যে এসব অন্যায় জবাবহীন থেকে যাবে এমনটা না। ইতিহাস সবাইকেই যার যার প্রাপ্য বুঝিয়ে দেয়।”