Hi

১০:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ২১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাপান এবার নিজস্ব ভূখণ্ডে ভূমি থেকে জাহাজ নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালালো

  • আপডেট : ০৩:৩১:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
  • ৬১৬ জন দেখেছে

টোকিও, ২৫ জুন ২০২৫: জাপান প্রথমবারের মতো নিজস্ব ভূখণ্ডে ভূমি থেকে জাহাজ লক্ষ্য করে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। দেশটির গ্রাউন্ড সেলফ-ডিফেন্স ফোর্স (জিএসডিএফ) উত্তরাঞ্চলীয় হোক্কাইডো দ্বীপের সামরিক ঘাঁটি থেকে টাইপ-৮৮ ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করে। প্রশিক্ষণমূলক এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলে নির্ধারিত লক্ষ্যে সফলভাবে আঘাত হানে।


মহড়ার উদ্দেশ্য ও গুরুত্ব

দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, “বর্তমান কঠিন নিরাপত্তা বাস্তবতায় সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি ও সেনাদের প্রশিক্ষণের জন্য এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মহড়া।”

সাধারণত জাপান এ ধরনের লাইভ-ফায়ার মহড়া যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিতে চালিয়ে আসছিল। তবে ব্যয়বহুল এবং সীমিত অংশগ্রহণের কারণে জাপান এবার নিজস্ব ভূখণ্ডে মহড়া চালানোর কৌশল নিয়েছে। জাপানি ইয়েনের অবমূল্যায়নের কারণে আন্তর্জাতিক মহড়ার ব্যয় বেড়ে যাওয়াও এতে ভূমিকা রেখেছে।


সরকারের বক্তব্য ও আঞ্চলিক প্রভাব

সরকারের মুখপাত্র ইয়োশিমাসা হায়াশি বলেন, “নিজ দেশে এই ধরনের মহড়া বেশি সংখ্যক সেনাকে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়। একইসঙ্গে দ্বীপ ও উপকূলীয় প্রতিরক্ষায় তা অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখবে।”

যদিও জাপান সরকার স্পষ্টভাবে জানায়নি যে এই মহড়াটি কোনো নির্দিষ্ট দেশের বিরুদ্ধে নয়, তবে পূর্ববর্তী নীতিগত বিবৃতিতে চীনকে ‘সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা হুমকি’ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।


প্রতিরক্ষা নীতিতে পরিবর্তন ও চীনের প্রভাব

বিশ্লেষকদের মতে, চীনের আঞ্চলিক আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টার, বিশেষ করে তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের আগ্রাসী কৌশলের পরিপ্রেক্ষিতে জাপান তার প্রতিরক্ষা নীতিতে বড় পরিবর্তন এনেছে।

জাপান বর্তমানে একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রতিরক্ষা কৌশল অনুসরণ করছে, যার অংশ হিসেবে দেশটি তার সামরিক ব্যয় জিডিপির ২ শতাংশে উন্নীত করতে চায়—যা ন্যাটো স্ট্যান্ডার্ডের সমান। পাশাপাশি, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা চুক্তি জোরদার করার পদক্ষেপও চলমান রয়েছে, যাতে আঞ্চলিক উত্তেজনার সময় দ্রুত ও যৌথ প্রতিক্রিয়া জানানো সম্ভব হয়।


ট্যাগ :
লেখক সম্পর্কে তথ্য

শিক্ষকদের পায়ে ফুল, আর সেই সঙ্গে ‘শিক্ষাগুরুর মর্যাদা’ নিয়ে ঝড় তোলা পাঠচক্র! ঝিনাইদহ বন্ধুসভার এক অন্যরকম শিক্ষক দিবস উদযাপন, যা মন জয় করেছে সবার! ঝিনাইদহ: ‘শিক্ষাগুরুর মর্যাদা’ নিয়ে কবিতা-আলোচনা!

জাপান এবার নিজস্ব ভূখণ্ডে ভূমি থেকে জাহাজ নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালালো

আপডেট : ০৩:৩১:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

টোকিও, ২৫ জুন ২০২৫: জাপান প্রথমবারের মতো নিজস্ব ভূখণ্ডে ভূমি থেকে জাহাজ লক্ষ্য করে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। দেশটির গ্রাউন্ড সেলফ-ডিফেন্স ফোর্স (জিএসডিএফ) উত্তরাঞ্চলীয় হোক্কাইডো দ্বীপের সামরিক ঘাঁটি থেকে টাইপ-৮৮ ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করে। প্রশিক্ষণমূলক এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলে নির্ধারিত লক্ষ্যে সফলভাবে আঘাত হানে।


মহড়ার উদ্দেশ্য ও গুরুত্ব

দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, “বর্তমান কঠিন নিরাপত্তা বাস্তবতায় সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি ও সেনাদের প্রশিক্ষণের জন্য এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মহড়া।”

সাধারণত জাপান এ ধরনের লাইভ-ফায়ার মহড়া যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিতে চালিয়ে আসছিল। তবে ব্যয়বহুল এবং সীমিত অংশগ্রহণের কারণে জাপান এবার নিজস্ব ভূখণ্ডে মহড়া চালানোর কৌশল নিয়েছে। জাপানি ইয়েনের অবমূল্যায়নের কারণে আন্তর্জাতিক মহড়ার ব্যয় বেড়ে যাওয়াও এতে ভূমিকা রেখেছে।


সরকারের বক্তব্য ও আঞ্চলিক প্রভাব

সরকারের মুখপাত্র ইয়োশিমাসা হায়াশি বলেন, “নিজ দেশে এই ধরনের মহড়া বেশি সংখ্যক সেনাকে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়। একইসঙ্গে দ্বীপ ও উপকূলীয় প্রতিরক্ষায় তা অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখবে।”

যদিও জাপান সরকার স্পষ্টভাবে জানায়নি যে এই মহড়াটি কোনো নির্দিষ্ট দেশের বিরুদ্ধে নয়, তবে পূর্ববর্তী নীতিগত বিবৃতিতে চীনকে ‘সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা হুমকি’ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।


প্রতিরক্ষা নীতিতে পরিবর্তন ও চীনের প্রভাব

বিশ্লেষকদের মতে, চীনের আঞ্চলিক আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টার, বিশেষ করে তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের আগ্রাসী কৌশলের পরিপ্রেক্ষিতে জাপান তার প্রতিরক্ষা নীতিতে বড় পরিবর্তন এনেছে।

জাপান বর্তমানে একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রতিরক্ষা কৌশল অনুসরণ করছে, যার অংশ হিসেবে দেশটি তার সামরিক ব্যয় জিডিপির ২ শতাংশে উন্নীত করতে চায়—যা ন্যাটো স্ট্যান্ডার্ডের সমান। পাশাপাশি, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা চুক্তি জোরদার করার পদক্ষেপও চলমান রয়েছে, যাতে আঞ্চলিক উত্তেজনার সময় দ্রুত ও যৌথ প্রতিক্রিয়া জানানো সম্ভব হয়।