আশুলিয়া, ১২ জুলাই ২০২৫: অবিশ্বাস্য! আশুলিয়ায় একটি নির্মাণাধীন বাড়ির সেফটি ট্যাংকির ভেতর থেকে আট বছরের শিশু বায়জিদ ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ! শুক্রবার গভীর রাতে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে আশুলিয়ার জিরানীর কোনাপাড়া পুকুরপাড় এলাকায়, যা পুরো এলাকায় তীব্র আতঙ্ক ও শোকের সৃষ্টি করেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেলেই রোজেল মিঞার আট বছর বয়সী শিশু ছেলে বায়জিদ ইসলাম নিখোঁজ হয়। এরপর পরিবার ও এলাকাবাসী খোঁজাখুঁজি শুরু করে। এক পর্যায়ে পুকুরপাড় এলাকার বিকেএসপি পাবলিক স্কুলের শিক্ষিকা নাসরিন খানমের নির্মাণাধীন বাড়ির সেফটি ট্যাংকির ভেতরে শিশুটির নিথর দেহ দেখতে পাওয়া যায়!

খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় আশুলিয়া থানা পুলিশ। তারা শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।

শিশুটির বাবা রোজেল মিঞা প্রাথমিকভাবে অভিযোগ করেছেন, “পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুর্বৃত্তরা তার শিশু সন্তানকে নির্মমভাবে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য সেফটি ট্যাংকের ভিতরে ফেলে গেছে।”

আশুলিয়া থানার এসআই আকরাম জানিয়েছেন, “হত্যাকাণ্ডের রহস্য উৎঘাটনে পুলিশ নিবিড়ভাবে কাজ করছে।”

একটি নিষ্পাপ শিশুকে এভাবে নৃশংসভাবে হত্যা করে সেফটি ট্যাংকে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় জনমনে তীব্র ক্ষোভ ও প্রশ্ন উঠেছে। কারা এই নির্মম ঘটনার পেছনে জড়িত? ‘পূর্ব শত্রুতা’র আসল রহস্য কী? পুরো আশুলিয়াজুড়ে এখন একটাই দাবি – দ্রুততম সময়ে এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি!

ট্যাগস: #আশুলিয়া #শিশুহত্যা #বায়জিদইসলাম #সেফটিট্যাংক #নৃশংসহত্যা #পূর্বশত্রুতা #অপরাধ #আইনশৃঙ্খলা #ব্রেকিংনিউজ #বাংলাদেশেরআইনশৃঙ্খলা