ভোলা, ১২ জুলাই ২০২৫, সন্ধ্যা ৬:২৯: চরম চাঞ্চল্য! ভোলা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের কর্মী সুকর্না আক্তার ইপ্সিতার মরদেহ চারদিন পর লক্ষ্মীপুর সংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে! গতরাতে তার বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে খোঁজ পাওয়ার পর পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। তবে এই মৃত্যু নিয়েই দানা বাঁধছে ভয়ংকর সব প্রশ্ন – লঞ্চে কি তাকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল? সেখান থেকে বাঁচতেই কি সে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিল?

জানা গেছে, সুকর্না আক্তার ইপ্সিতা চারদিন পূর্বে ভোলা থেকে ঢাকাগামী একটি লঞ্চে করে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যেই তিনি রহস্যজনকভাবে লঞ্চ থেকে নদীতে পড়ে যান বলে জানা যায়। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ ছিল না। পরিবারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর করা হলেও কোনো তথ্য মেলেনি।

গতরাতে লক্ষ্মীপুর সংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে একটি বেওয়ারিশ মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে ইপ্সিতার পরিবার ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। সেখানেই তারা তাদের প্রিয় সন্তান সুকর্না আক্তার ইপ্সিতার মরদেহ শনাক্ত করেন।

তবে, এই সাধারণ মৃত্যুর পেছনেই লুকিয়ে আছে এক ভয়ংকর অনুমান। ধারণা করা হচ্ছে, লঞ্চে সুকর্না আক্তার ইপ্সিতাকে গণধর্ষণ করা হয়েছিলো! সেই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে নিজেকে রক্ষা করতেই তিনি হয়তো নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। এই লোমহর্ষক অনুমানটি ছড়িয়ে পড়তেই দেশজুড়ে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।

যদি এই ধারণা সত্যি হয়, তবে এটি কেবল একটি মৃত্যু নয়, এটি নারী নিরাপত্তার উপর এক বিরাট আঘাত। কারা জড়িত এই ভয়ংকর ঘটনার পেছনে? লঞ্চে থাকা অবস্থায় কী ঘটেছিল ইপ্সিতার সাথে? পুলিশ কি এই রহস্যের জট খুলতে পারবে? পুরো দেশের চোখ এখন এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার তদন্তের দিকে!

ট্যাগস: #সুকর্নাআক্তারইপ্সিতা #ভোলাসন্তান #ছাত্রদল #মেঘনানদী #গণধর্ষণ #নদীতেঝাঁপ #রহস্যজনকমৃত্যু #নারীনিরাপত্তা #ব্রেকিংনিউজ #বাংলাদেশেরআইনশৃঙ্খলা #ভোলাকলেজ