🔥 ব্রেকিং: পাঁচবিবিতে কিশোরীকে ‘চেতনানাশক খাইয়ে ধর্ষণ’! মাদকের ডেরা থেকে ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল – ১ আটক, তোলপাড় জয়পুরহাট! 🔥

মোঃ বাবুল হোসেন, পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) সংবাদদাতাঃ
আপডেট : ১২:৪০:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
৭০৩ জন দেখেছে

জয়পুরহাট, ১২ জুলাই ২০২৫, সন্ধ্যা ৭:৩৪: জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে এক ভয়ংকর ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে! কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী আতাউর রহমান এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে চেতনানাশক ঔষধ খাইয়ে এক কিশোরীকে (১৭) ধর্ষণ এবং সেই ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ধারণ করে ব্ল্যাকমেইলের মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে! এই পাশবিক ঘটনায় শনিবার (১২ জুলাই) কিশোরীর পিতা আরমান মন্ডল বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে পাঁচবিবি থানায় ধর্ষণ ও পর্ণোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেছেন (মামলা নং- ১৬/২৫)।

পাঁচবিবি থানার অফিসার ইনচার্জ ময়নুল হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ মামলার ২ নং আসামি সালমা বেগম (৩৫) নামের এক মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই লোমহর্ষক ঘটনাটি ঘটেছিল গতকাল শুক্রবার (১১ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলার বাগজানা ইউনিয়নের কুটুহারা গ্রামে।

গ্রেফতারকৃত আসামি সালমা বেগম ঐ গ্রামের মোঃ নয়ন উদ্দিন ওরফে নুর মোহাম্মদ বিপ্লবের স্ত্রী। অন্য পলাতক আসামিরা হলেন, উপজেলার পশ্চিম রামচন্দ্র গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের পুত্র কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী আতাউর রহমান, এবং কুটুহারা গ্রামের মৃত মোফাজ্জলের পুত্র নয়ন উদ্দিন ওরফে নুর মোহাম্মদ বিপ্লব (৪৫)।

কী ঘটেছিল সেই ভয়ংকর দিনটিতে?

এলাকাবাসী ও মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, আতাউর রহমান এলাকার একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার সহযোগী হিসাবে বিভিন্ন জায়গায় মাদকদ্রব্য সরবরাহ করে নয়ন ও তার স্ত্রী সালমা বেগম।

প্রায় দুই মাস পূর্বে সালমা বেগম প্রতিবেশি আরমান মন্ডলের কিশোরী মেয়ে (১৭) কে নিজ বাড়ীতে কৌশলে ডেকে নেশা জাতীয় দ্রব্য মেশানো ঝালমুড়ি খেতে দেয়! এতে মেয়েটি অচেতন হয়ে পড়ে। এই সুযোগে নয়ন ও তার স্ত্রী সালমা বেগম পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ঘরে থাকা আসামি আতাউর রহমানের নিকট তাকে রেখে বাড়ীর মূল ফটকে তালা দিয়ে সরে পড়েন। এই সুযোগে আতাউর কিশোরীকে ঘরের মধ্যে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং সেই ধর্ষণের ভিডিও নিজ মোবাইলে ধারণ করে!

এ ঘটনার পর আতাউর মোবাইলে ধারণকৃত ধর্ষণের ভিডিও চিত্র প্রকাশের হুমকি দিয়ে কিশোরীটিকে আরও একাধিকবার ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।

ঘটনার দিন শুক্রবার (১১ জুলাই) সকালে আবারও নয়ন ও তার স্ত্রী সালমা বেগম কিশোরীকে তাদের বাড়ীতে ডেকে নিয়ে পূর্ব থেকে থাকা আতাউর রহমানের ঘরে ঢুকিয়ে দিয়ে বাহিরে থেকে ছিটকানি লাগিয়ে দেন। এসময় কিশোরীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করতে থাকলে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে। এই সুযোগে আতাউর রহমান সটকে পড়েন।

পাঁচবিবি থানার অফিসার ইনচার্জ ময়নুল হোসেন আরও বলেন, এ ঘটনায় ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় জড়িত একজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে।

এই পাশবিক ঘটনায় জয়পুরহাটসহ দেশজুড়ে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। মাদক কারবারিদের এমন জঘন্য কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি উঠেছে সর্বমহল থেকে।